Friday, March 24, 2017

ইতিহাসের স্বাধীনতা সংগ্রাম বনাম বাংলাদেশ


ইতিহাসের স্বাধীনতা সংগ্রাম বনাম বাংলাদেশ
আলী ফোরকান 
মানুষ কিসের জন্য সংগ্রাম করে। যুদ্ধ করে? দেশের জন্য? সামান্য সত্য। তবে দেশ যদি সবার জন্য হয়। ধর্মের জন্য? কিছুটা সত্য। ব্যক্তি ও পারিবারিক স্বাধীনতার জন্য? সর্ব সত্য। সব মানুষেরই স্বপ্ন থাকে। ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে পরনির্ভর না হয়ে স্বাধীন থাকতে। স্বাধীনভাবে তার প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে। প্রত্যেক স্বাভাবিক মানুষের জীবনে থাকে নানা অভিলাষ, স্বপ্ন। সেসব অভিলাষ-স্বপ্ন বা¯Íবায়নে একজন ব্রতী হতে পারে। তখনই যখন সে সর্বত্রভাবে স্বাধীন। অর্থাৎ তার চিন্তা ও কর্মকান্ড যখন কোন সামাজিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন না হয়। তখনই সে স্বাধীন। এই স্বাধীনতাই মানবাধিকারের সারকথা। মানবাধিকার অর্জনের জন্য মানুষ সংগ্রাম করে। যুদ্ধ করে। জীবন দান করে।
ব্রিটেনের পার্লামেন্ট রাজা স্বৈরাচারী দ্বিতীয় জেমসকে উৎখাত করে (১৬৬৮) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ‘বিল অব রাইটস’ বা অধিকারের সনদ। এ বিপ্লবের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হল পার্লামেন্টের তথা জনগণের সার্বভৌমত্ব। ব্রিটেনের এ বিপ্লবকে বলা হয় গৌরবান্বিত বিপ্লব। কেন গৌরবান্বিত বিপ্লব? কারণ এ বিপ্লব প্রতিষ্ঠা করল মানুষের অধিকার। সামন্ত আধিপত্য থেকে মুক্ত হয়ে ব্রিটিশরা নিজ নিজ প্রতিভা বিকাশের সুযোগ লাভ করল। ব্রিটেনে প্রথমে কৃষি-বিপ্লব, তারপর বাণিজ্য-বিপ্লব এবং পরে শিল্প-বিপ্লব হয়। এসব বিপ্লব মানুষের প্রতিভা বিকাশে সুযোগ সৃষ্টি হওয়ার ফল। ব্রিটেনের বিরুদ্ধে মার্কিনিরা যুদ্ধ ঘোষণা (১৭৭৫) করেছিল একটি আদর্শের ভিত্তিতে। সেটি হল মানুষের অধিকার। সে অধিকার আদায়ের জন্য তারা ব্রিটেনের বিরুদ্ধে প্রায় সাত বছর পর্যন্ত যুদ্ধ করে। লাভ করল সে আরাধ্য স্বাধীনতা। সে স্বাধীনতার ভিত্তি ছিল মানবাধিকার। তেরোশ’ শব্দের স্বাধীনতা ঘোষণাপত্রের অধিকাংশই ছিল মানুষের অধিকারবিষয়ক। ব্যক্তি ও ধর্মীয় স্বাধীনতা ছিল মার্কিনিদের স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল ভিত্তি। তাদের শাসনতন্ত্রের (১৭৮৯) প্রারম্ভিক কথা হল : ‘আমাদের স্বাধীনতার ল্য হল জাতিধর্ম নির্বিশেষে। সবার জন্য সমান বিচার ব্যবস্থা করা। সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। সবার জন্য কল্যাণ নিশ্চিত করা এবং ব্যক্তি স্বাধীনতার আশীর্বাদ গ্রহণ।’
মুক্তিযুদ্ধের আগে এবং কিছুকাল পরও আমেরিকা ছিল সম্পূর্ণ কৃষিভিত্তিক। জীবনযাত্রা ছিল সরল, ভোগবিলাসশূন্য। কৃষিপণ্যের বাইরে সব শিল্পপণ্যের জন্য মার্কিনিরা ছিল ইউরোপ ও এশিয়া থেকে আমদানির ওপর নির্ভরশীল। আর্থিক লেনদেন হতো মূলত বার্টার বা পণ্যবিনিময়ের মাধ্যমে। কিন্তু স্বাধীনতা মার্কিনিদের চরিত্র এমনভাবে পাল্টে দেয় যে, মুক্তিযুদ্ধের প্রথম পঁয়ত্রিশ বছরের মধ্যেই আমেরিকার মাথাপিছু আয় ইউরোপকে ছাড়িয়ে যায়। ১৮৩০ সালে আমেরিকার শিার হার ছিল শতকরা ৯০, আর একই সময়ে ব্রিটেনের শিার হার ছিল শতকরা ৪৩।
স্বাধীনতা কিভাবে একটি দেশের মানুষকে বদলে দিতে পারে। এর দুয়েকটি প্রমাণ দেয়া যাক এশিয়া থেকে। দণি কোরিয়া ছিল একটি সামন্ত দেশ। অধিকাংশ মানুষ ছিল সামন্ত দাস। ১৯৬০ সালে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পরিচালিত একটি দীর্ঘ সংগ্রামের ফলে সামন্ত সরকারের পতন ঘটে। প্রতিষ্ঠিত হয় তরুণদের দিয়ে গঠিত গণতান্ত্রিক সরকার। সরকার সামন্ত প্রথা বিলুপ্ত করে সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করে। সবার জন্য শিা ও প্রশিণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করে। বারো বছরের মধ্যে কোরিয়ার সারতা শতকরা ১০ থেকে ৭৫-এ উন্নীত হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় শত শত প্রশিণ কেন্দ্র। বর্তমানে সেই সামন্তদের দেশ অর্থাৎ দাসদের দেশ কোরিয়া কোথায় বিরাজ করছে। তা আমাদের সবার জানা। জানা নেই শুধু তাদের বৈপ্লবিক উন্নয়নের কারণ। সবার জন্য শিা, প্রশিণ এবং সমান মানবাধিকারই জাতীয় মেধাকে উšে§াচিত করে দিল।
আরেকটি উদাহরণ দেয়া যাক জাপানকে উপাত্ত করে। আমরা জানি যে, উনিশ শতকের শেষ সিকি পর্যন্ত জাপান ছিল একটি সামন্ত সমাজ। সামন্তপ্রভুদের অধীনে ছিল দাসশ্রেণী। সামন্তদের সামন্ত ছিল টুকুগয়া সুগানেট বা সামরিক গোষ্ঠী। যারা জাপানের প্রায় সব সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করত। তাদের অধীনে জাপান ছিল পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন এবং দুর্বল। সামন্তশ্রেণী ছাড়া আর কোন শ্রেণীর কোন অধিকার ছিল না। ১৮৬৮ সালে মেজিশ্রেণী অর্থাৎ নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণী সংগঠিত হয়। এর পর তারা একটি রাজনৈতিক সামাজিক বিপ্লব রচনা করল। তারা টুকুগয়া সামরিক আধিপত্যকে উৎখাত করে জাপানের রাজাকে মতা প্রদান করে। একটি নির্বাচিত পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠা করে জাপানকে একটি আধুনিক রাষ্ট্র করার সিদ্ধান্ত নেয়। মেজি-বিপ্লবের ত্রিশ বছরের মধ্যে জাপান একটি শক্তিশালী আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়।
এবার ফিরে আসা যাক বাংলাদেশ বিপ্লবের ঘটনায়। পাকি¯Íান প্রতিষ্ঠায় মানুষের একটি স্বপ্ন ছিল। স্বপ্নটি ছিল এই যে, বাংলার মানুষ জমিদার, জোতদার, তালুকদার, মহাজন শ্রেণীর শাসন-শোষণ থেকে মুক্ত হবে। জীবন গড়ে তুলবে তারা নিজের মতো করে। কিন্তু পারল না। সামাজিক স্বাধীনতা আসেনি। বরং পুরনো শাসক শ্রেণীর জায়গায় স্থাপিত হল নতুন পাকি¯Íানি আমলা। সেনাবাহিনী, পুঁজিপতি শ্রেণী। আগের চেয়ে শোষণ আরও বেড়ে গেল। পাকি¯Íান রাষ্ট্র জনগণের স্বপ্ন পূরণ করতে ব্যর্থ হল। এ ব্যর্থতার ফল বাংলাদেশ বিপ্লব। কিন্তু এ বিপ্লব থেকে জনগণ কি পেল? যা তারা চেয়েছিল তা ঘটেনি। তারা চেয়েছিল গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেতায় বৈশিষ্ট্যপূর্ণ একটি রাষ্ট্র। কিন্তু এ কল্পতরু অংকুরেই বিনষ্ট হয়ে গেল।
এ ব্যর্থতার বি¯Íারিত বর্ণনার প্রয়োজন ্েনই। ব্যর্থতার কারণ? তাও বর্ণনার প্রয়োজন নেই। আমরা জানি কেন। এ বিপ্লবের একটি স্বপ্ন ছিল। সোনার বাংলা গড়ে তোলা। অর্থাৎ বাঙালির জন্য এমন এক বাংলা গড়ে তোলা। যেখানে থাকবে সবার স্বাধীনতা। সবার নিরাপত্তা, সবার সম্মানজনক অ¯িÍত্ব। প্রতিভা বিকাশের সমান সুযোগ। তাই তো মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। যার হাতে যা আছে তা দিয়েই লড়াই করেছে। দেশকে শত্রæমুক্ত করেছে।
তারপরই প্রত্যাশা। সমান অধিকার, সমান সুযোগ। কিন্তু কোথায় সে সমান অধিকার, সমান সুযোগ? মার্কিন, ব্রিটিশ, জাপান, কোরিয়াতে এ প্রত্যাশা থেকে কাউকে হতাশ হতে হয়নি। কিন্তু বাংলাদেশের বিপ্লবোত্তর অবস্থা চরম হতাশাব্যঞ্জক। ছয়চলিøশ বছর পরও তাই। বাংলাদেশ এখন ধনী-দরিদ্রে একটি বিভক্ত জাতি। দরিদ্র বেশি, ধনী কম। অতএব আক্রোশ, আইন-শৃংখলার পতন, এমনকি জঙ্গিবাদের আবির্ভাব। আস্থা নেই কেউ কারোর ওপর। এ নরক তো মুক্তিযুদ্ধ থেকে প্রত্যাশা করেনি? প্রত্যাশা ছিল সুষম উৎপাদন বিতরণ ব্যবস্থা। ঘরে ঘরে শিার বি¯Íার। সবার জন্য কর্মসংস্থান। সাহিত্য জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রসার। কিন্তু কোথায় কি হয়ে গেল?
সবার একই প্রশ্ন, এর কারণ কি? কেন এ বিপ্লব মানুষের অধিকার তথা মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। কেন পারেনি একটি দুর্নীতিমুক্ত দ প্রশাসনযন্ত্র তৈরি করতে? কেন বিপ্লবের পর দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ক্রমেই দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়ে উঠল? কেন রাজনৈতিক নেতৃত্ব জনগণের সেবায় ব্রতী না হয়ে কেবল নিজের সেবায় ব্যাপৃত হল?
রাজনীতিক শ্রেণী নিজেদের সম্পর্কে যাই সাফাই গাক না কেন। রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সরকার প্রথম থেকেই এমন দুর্বল এবং জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছিল। এদের থেকে দেশের সাধারণ মানুষের সামাজিক-অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে এ আশা পরিণত হল দুরাশায়। এমন হতাশাব্যঞ্জক পরিস্থিতির প্রথম শিকার হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বয়ং। এরপর দেশের রাজনীতি ও প্রশাসন বিভক্ত হতে শুরু করল কয়েকটি ধারায়Ñ যেমন এক সিকি স্বার্থান্বেষী সেনা, এক সিকি আমলাতন্ত্র, এক সিকি রাজাকার, আরেক সিকি সুবিধাবাদী পলিটিশিয়ান। এদের অনেককেই দেখতে পাই একাধারে মুক্তিযোদ্ধা, বঙ্গবন্ধু হত্যা, স্বৈরশাসনের দোসর এবং নগ্ন লুটেরা হিসেবে।  যা হওয়ার তাই হল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষ হারাল তার আত্মবিশ্বাস। তার গর্ব, মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর স্বপ্ন ও শক্তি। এ সুযোগে গা-ঝাড়া দিয়ে উঠল একটি মহল। নির্বাচনের সময় এখন এদের সহযোগিতা চায় সবাই। কেননা তারা সংখ্যায় বিপুল না হলেও তাদের পছন্দ কোন দলকে মতায় বসানোর জন্য তারা যথেষ্ট শক্তিশালী।
প্রশ্ন হল, কেন এমন হল? ব্রিটেন, আমেরিকা, কোরিয়া, জাপান, চীন, ভিয়েতনাম, কিউবা প্রভৃতি দেশ যদি সংগ্রামের মাধ্যমে মুক্তি পেতে পারল। আমরা কেন পারলাম না? এ না পারার শেষই বা কোথায়। অন্ধকারাচ্ছন্ন লম্বা গুহার কোন প্রান্তে কোন আলোর শিখা তো দেখতে পাচ্ছি না। আবার কেন এমনটি ঘটল? যেখানে আমাদের প্রত্যাশা ছিল মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে বিশ্ব সমাজের সঙ্গে সমানতালে। সমান ইজ্জত নিয়ে বিরাজ করার সেখানে কিনা আমরা এখন বিশ্বের শ্রমিক সরবরাহ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছি। গার্মেন্টস শ্রমিক আর আদম শ্রমিকের ঘাম থেকে নিঃসৃত আয় দিয়ে সরকার কেনাকাটা করে। বিদেশ ভ্রমণ করে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দেখায়।
মাও সে তুং-এর একটি বিপ্লবী প্রচারপত্রে পাই, ‘সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা চীনা শ্রমিকরা পুঁজিপতিদের মুনাফা তৈরি করছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা আমাদের বিপ্লবের আরেকটি ল্য।’ চীনা শ্রমিকরা ঘরে ফিরছে। অবদান রাখছে চীনের শিল্প-বিপ্লবে। আমাদের শ্রমিকরা কবে ফিরবে। কে ফিরিয়ে আনবে? ফিরিয়ে আনা দূরে থাক। আরও কিভাবে শ্রমিক পাঠানো যায় সে পরিকল্পনা করে সরকার। সরকার কর্মসংস্থান করতে পারে না। অতএব সরকার চায় যেসব দেশে কাজ পাওয়া যায়। যেখান থেকে পয়সা পাঠানো যায়। শ্রমিকরা যেন দ্রæতবেগে সে দেশে চলে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। এ ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা সদাপ্রস্তুত। এ যেন সেই দুঃখিনী মায়ের পথে তাকিয়ে থাকার চালচিত্র। কবে শহরে কাজ করা তার ছেলেটি দুটি পয়সা পাঠাবে। তারপর সে চাল-ডাল কিনবে।
এ ভয়াবহ চিত্র তো মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখে ছিল না। তাদের সম্মুখে ছিল একটি সুন্দর সম্মানজনক ভবিষ্যৎ। এ ভবিষ্যৎ ছয়চলিøশ বছর পরও বর্তমান হয়ে ওঠেনি। কেন ওঠেনি? এর অনেক কারণ। তবে সবচেয়ে বড় কারণ হল মুক্তিযুদ্ধের পাশাপাশি কোন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ছিল না। যুদ্ধের পর কীভাবে দেশকে গড়ে তোলা হবে। এ ব্যাপারে কোন সুনির্দিষ্ট আর্থ-সামাজিক পরিকল্পনা ছিল না। পাকি¯Íান আন্দোলনের সময় মোহাম্মদ আলী জিন্নাকে একবার এক ব্রিটিশ সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘পাকি¯Íান অর্জিত হলে আপনি কিভাবে নতুন দেশকে ম্যানেজ করবেন। আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?’ জিন্নার ঝটপট উত্তর ছিল, ‘আগে পাকি¯Íান দিন, তারপর কথা’। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বও তাত্তি¡কভাবে জিন্নার মতোই আচরণ করেছেন। তবে প্রশ্ন হল, বিরক্ত হয়ে আমরা পাকি¯Íান থেকে বেরিয়ে এলাম। এবার আমাদের কৃষক-শ্রমিকরা যাবে কোথায়? ভদ্রলোকেরা এদেশ ওদেশে চলে যেতে পারবেন, যাচ্ছেনও। কিন্তু কৃষক-শ্রমিকদের কোন জায়গা নেই যাওয়ার। তত্ত¡ মতে, কৃষক-মজুরের মুক্তির ল্েয আরেকটি বিপ্লব ছাড়া বোধহয় এদের আর কোন বিকল্প নেই।
লেখক: গবেষক 
০১৬১১৫৭৯২৬৭
dr.fourkanali@gmail.com




0 comments:

Post a Comment