Wednesday, July 20, 2016

মাদক:সীমান্ত পথকে সুরক্ষিত করা দরকার

মাদক:সীমান্ত পথকে সুরক্ষিত করা দরকার
আলী ফোরকান
দেশের বিভিন্ন সীমান্ত পথ দিয়ে মাদক প্রবেশ করছে। তা রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ সারাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়ছে বলে পত্রিকার রিপোর্টে জানা গেছে। মাদক পাচার ও ব্যবসাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে নতুন নতুন সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেট কোটি কোটি টাকার হেরোইন, ফেনসিডিল, ইয়াবা, কোরেক্স, গাঁজা ও মদসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক আনছে ভারত ও মায়নামার থেকে। এসব মাদকের নীল থাবায় হারিয়ে যাচ্ছে যুবসমাজ। আসল মাদকের সঙ্গে নকল মাদকও আসছে বলে জানা যায়। আসল মাদকের মরণনেশায় যেমন যুব ও কিশোরসমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তেমনি নকল মাদক সেবনে যুবসমাজ আক্রান্ত হচ্ছে দুরারোগ্য ব্যাধিতে।
বাংলাদেশ-ভারত.মায়নমার সীমান্তপথ পাহারা দেওয়ার জন্য রয়েছে উভয় দেশের গার্ডবাহিনী। এরপরও কোনো কোনো সীমান্তপথ চোরাকারবারিদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যশার,সাতক্ষীরা,বেনাপোল, টেকসাফ সীমান্তপথ সম্পর্কে প্রায়ই শোনা যায় বিভিন্ন অভিযোগ। মাদক, অস্ত্র ইত্যাদি ভয়ঙ্কর বস্তু পাচারের রুট হিসেবেই উল্লেখিত সীমান্ত গুলোর নাম আসে পত্রিকায়। দেশের সীমান্তাঞ্চলে সন্ত্রাসী কমর্ঞ্চকান্ড চলে সবচেয়ে বেশি। এরও প্রধান কারণ মাদক, অস্ত্র এবং মাদককারবারিদের দৌরাত্ম্য। প্রশ্ন ওঠে, তাহলে সীমাসবত পাহারাদাররা কি করে বা এলাকার পুলিশ? মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরসহ প্রশাসনের কাজ কি? পত্রিকার রিপোর্টেই জানা গেছে, প্রভাবশালী মাদককারীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগু¡েলার একশ্রেণীর কমর্ঞ্চকর্তার অনৈতিক লেনদেনের সম্পর্ক রয়েছে। যার কারণে বিজিবি, পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও র‌্যাব সদস্যদের হাতে মাঝে মাঝে মাদকের বড় চালান ধরা পড়লেও বিপুলসংখ্যক মাদক থেকে যায় আড়ালে এবং একসময় তা ছড়িয়ে দেওয়া হয় সারাদেশে। সরিষার মধ্যে ভূত থাকলে তা দিয়ে ওঝার পক্ষে ভূত ছাড়া নো যেমন সম্ভব হয় না তেমনি যারা মাদক নিয়ন্ত্রণ করবে তাদের ভেতর অসাধু ব্যক্তি থাকলেও মাদক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। আসলেও তেমনটিই ঘটছে। এদিকে এইভাবে চলতে চলতে দেশের, যুবসমাজের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। যারা মাদকের চোরাকারবার করে কোটি কোটি  টাকা বানাচ্ছে, তাদের কাছ থেকে শুভ বুদ্ধি আশা করা যায় না। তারা সমাজের ও দেশের শত্রু। এদের কারণে সম্ভাবনাময়, মেধাবী তরুণরা হচ্ছে নিঃশেষ। জীবনমরণ সংকটেও ভুগছে।
দেশে বহু সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যার মধ্যে মাদক সমস্যা গুরুত্বহীন নয়। মাদক পাচার, ব্যবসা বন্ধ করতে হলে আগে সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে হবে। বিজিবি সদস্যদের আরও সতর্ক থাকতে হবে। যারা দেশের অভ্যন্তরে সরকারি সংস্থার বেতনভোগী কর্র্মচারী হওয়া সত্ত্বেও মাদক সিন্ডিকেটের সঙ্গে অনৈতিক লেনদেনে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতেই হবে। মাদক সিন্ডিকেট নির্মূল করাও এখন সময়ের দাবি।

0 comments:

Post a Comment