Monday, June 20, 2016

পরিবেশ: রেলপথ বনাম সড়কপথ

পরিবেশ: রেলপথ বনাম সড়কপথ
আলী ফোরকান
এদেশে পরিবহন মাধ্যমে হিসেবে নৌপথই ছিল একমাত্র অবলম্বন। যুগের পরিবর্তন আর মানুষের প্রয়োজনে সৃষ্টি হয় রেলপথ ও সড়কপথ। সেই রেলপথ আর সড়ক পথ বৈশ্বিক পরিবেশের ওপর কি প্রভাব ফেলছে তার তুলনামূলক মূল্যায়ন এখন প্রয়োজন।
উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে রেলপথের আবির্ভাব ঘটে সর্বপ্রথম বাশীয় ইঞ্জিন আবিস্কারের পথ ধরে। যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে রেলপথের প্রবর্তন মানব সভ্যতাকে গতিশীল ও পরিপূর্ণ করেছিল। এদেশেও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, শিল্প কারখানা ইত্যাদি সৃষ্টিতে রেলপথ এক নিয়ামক ভূমিকা পালন করে। বলা যায়, কৃষিনির্ভর বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের সামাজিক ও অর্থনেতিক অবস্থার আমূল পরিবর্তনে রেলপথের প্রবর্তন একটি যুগান্তকারী ঘটনা। আজ থেকে প্রায় ১৫৪ বছর আগে ইংরেজ বেনিয়া গোষ্ঠী ব্রিটিশ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থেকে কুষ্টিয়া জেলার জগতি আখ মাড়াই কল পর্যন্ত ৫৩.১১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ব্রড গেজ রেলপথ নির্মাণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রথম রেলপথের সূচনা করে। ব্রিটিশ সরকারের শেষ ৮৫ বছরে অর্থাৎ ১৯৪৭ সাল অবধি তৎকালীন বাংলাদেশে রেলপথের বিস্তৃতি ঘটে ২৬১০ কিলোমিটার। পাশাপাশি সে সময় দাউদকান্দি ফেরি সার্ভিসসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রাঙ্ক রোড ছাড়া তেমন উল্লেখযোগ্য কোন সড়কপথ চোখে পড়ার মতো ছিল না। ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭০ সাল অবধি পাক উপনিবেশিক আমলের ২৩ বছরে রেলপথ ২০৩.৬৩ কিলোমিটার বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ২৮১৩.৬৩ কিলোমিটারে। অথচ দেশ স্বাধীনের পর থেকে বিগত ৪৫ বছরে রেল সঙ্কোচননীতির ফলে বহু শাখা লাইন বন্ধ করে দেয়ায় মূলত রেলপথ বৃদ্ধি পায় মাত্র ২১.৩৭ কিলোমিটার। রেলওয়ে গেজেট অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ের দৈর্ঘ্য মাত্র ২৮৩৫ কিলোমিটার।
প্রাগৈতিহাসিক আমলে এদেশে নদীপথে মালামাল ও পণ্য সম্ভার পরিবহন করা হলেও, ব্রিটিশ উপনিবেশিক আমলে রেলপথ সৃষ্টির পর নদীপথে বাহিত পণ্য রেলওয়েতে পরিবহনের নিমিত্তে সৃষ্টি হয়েছিল ঘাট স্টেশন। তখন সড়কপথ ছিল একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে। শহর-বন্দরে নির্মিত রাস্তাগুলো ছিল নগরকেন্দ্রিক সীমাবদ্ধ। পাক উপনিবেশিক আমলের প্রথমদিকে বিভিন্ন পণ্যসম্ভার সড়কপথে পরিবহনের প্রয়োজনে রেল স্টেশনকেন্দ্রিক কিছু রাস্তাঘাট নির্মিত হয়। সীমান্ত দিয়ে পণ্যসম্ভার ভারতে আমদানি-রপ্তানির জন্য এদেশে আন্তঃদেশীয় সড়ক নির্মাণ ও সে সঙ্গে মোটরযানের আমদানি ঘটে। ফলে তখন থেকেই এদেশে পাকা রাস্তা ও ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ শুরু হয়। ঢাকা ও চট্টগ্রামে তখন বেশ কিছু শিল্প কারখানা গড়ে ওঠায় উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী সারাদেশে সরবরাহের নিমিত্তে পাক উপনিবেশিক আমলে রেলপথ ছাড়াও নৌপথের পাশাপাশি সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়। তখন থেকে সড়ক পথে পণ্য ও জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে আমদানি করা হয় বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন মোটরযান। পাক উপনিবেশিক আমলের শেষ পর্যায়ে এসে দেখা যায়, রেলপথের চেয়ে সড়কপথের বৃদ্ধি ঘটে ব্যাপকহারে। উপনিবেশিক আমলের শেষ বর্ষে কাঁচা রাস্তা ৬ হাজার কিলোমিটারসহ সর্বসাকুল্যে ১০ হাজার কিলোমিটার সড়কপথের বিস্তৃতি ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় স্বাধীন বাংলাদেশে শম্বুক গতিতে রেলপথ বৃদ্ধি পেলেও সড়কপথের বৃদ্ধি ঘটে দ্রুততার সঙ্গে। বিগত ৪৫ বছরে দেশে কাঁচা-পাকা মিলে সর্বসাকুল্যে সড়কপথ ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৫০ হাজার কিলোমিটারে এসে দাঁড়িয়েছে, যা প্রকৃতি, পরিবেশ ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। কেননা তুলনামূলকভাবে রেলপথের চেয়ে সড়কপথের কারণেই পরিবেশ ও ভূ-প্রকৃতির বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
নদীমাতৃক বাংলাদেশে তৎকালে নৌপথের পরেই যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ছিল রেলপথের স্থান। সড়কপথের বৃদ্ধির প্রয়োজন আছে, তবে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি কোন মতেই দেশের মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। সড়কপথে মোটরযান চলবে যানযটহীনভাবে, আর রেলগাড়িও চলবে রেলপথে একইভাবে। কিন্তু সড়কপথে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হবে আর রেলপথ ঘণার পর ঘণা ফাঁকা থাকবে এটা কাম্য হতে পারে না। সড়কপথের এহেন অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে একদিকে আবাদি জমি নষ্ট হয়ে দেশ ক্রমান¦য়ে মারাত্মক খাদ্যঘাটতির ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে শত সহস্র ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণের ফলে নদী-নালা, খাল-বিল ভরাট হয়ে নদ-নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত করছে, নদীগুলো হারাচ্ছে তার নাব্য, সঙ্কুচিত হয়ে আসছে নৌ-পথ আর জলাধার। ফলে এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে প্রকৃতি ও জীববৈচিত্রের ওপর। এছাড়াও সড়কপথে অস্বাভাবিকভাবে মোটরযান বৃদ্ধির ফলে কোটি কোটি ডলারের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ে আমদানি করতে হচ্ছে জ্বালানি তৈল। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, ১টি রেলগাড়ি ১ ট্রিপ দিয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যে পরিমাণ যাত্রী বা মালামাল পরিবহন করে, সেই সম সংখ্যক যাত্রী বা মালামাল পরিবহনে সড়কপথের মোটরযানকে ৪ গুণ জ্বালানি পোড়াতে হয়। সড়কপথে অত্যধিক জ্বালানি ব্যবহারের ফলে নষ্ট হচ্ছে ভূ-প্রাকৃতিক পরিবেশ। সঙ্গে সঙ্গে জনস্বাস্থ্য ও জীববৈচিত্র্যের ওপর এর কু-প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। অধিক জ্বালানি তৈল পোড়ানোর ফলে বাতাসে সীসা ও কার্বনযুক্ত গ্যাসের আধিক্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, বৃদ্ধি পাচ্ছে গ্রিন হাউজ এফেক্ট। ফলশ্রুতিতে বৈশ্বিক উষতা বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। এরই ফলে উত্তরের জমাট বরফ আর হিমবাহ গলতে শুরু হয়ে গেছে, যা আমাদের মতো সমুদ্র তীরবর্তী রাষ্ট্রগুলোর জন্য ভবিষ্যতে এক ভয়াবহ ও অকল্পনীয় দুর্যোগ ডেকে আনবে। সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে গিয়ে উপকূলীয় অঞ্চল তলিয়ে যাবে সমুদ্রগর্ভে। সুনামি, সিডরের মতো জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও খরা প্রভৃতি প্রাকৃতিক দুর্যোগে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হবে। উদ্বাস্ত আর শরণার্থী হিসেবে লাখ লাখ লোক বোঝা হয়ে দাঁড়াবে; যা দেশের অর্থনীতিতে ফেলবে বিরূপ প্রভাব। এহেন পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়তে বাধ্য হবে। গ্রিন হাউজ এফেক্ট থেকে বিশ্ববাসীকে রক্ষার জন্য দেশে দেশে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো এ ব্যাপারে সোচার হয়ে উঠেছে। নৌপথ পুনরুদ্ধার ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধসহ ভূ-প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন দেশে পরিবেশবাদী আন্দোলন জোরদার হচ্ছে। পরিবেশ বিপর্যয় রোধকল্পে সমগ্র বিশ্বে পরিবেশবান্ধব পরিবহন হিসেবে রেলওয়ের কদর বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সড়কপথের দেশী-বিদেশী বেনিয়াদের স্বার্থ রক্ষায় একটি স্বার্থানে¦ষী মহল বাংলাদেশ রেলওয়েকে অকার্যকর করে রাখতে সচেষ্ট। যা শুধু পরিবেশেরই নয় বরং জনস্বার্থেরই পরিপন্থি।
সম্প্রতি সরকার ঢাকা-চট্টগ্রাম ফোর লেন নির্মাণের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিয়েছে। এই ফোর লেন নির্মিত হলে দেশের শত শত একর আবাদি জমি বিনষ্ট হবে, ধ্বংস হবে বহু বাড়িঘর আর স্থাপনা। এতে দেশ আরও খাদ্যঘাটতির দিকে ঝুঁকে পড়বে, দেখা দেবে অর্থনৈতিক ও সামাজিক নৈরাজ্য। এখন জনগণের প্রশ্ন এই ফোর লেন করা হচ্ছে কার স্বার্থে? ফোর লেন মানে আরও লাখ লাখ মোটরযান আমদানি, আরও কোটি কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় করে জ্বালানি তেল আমদানি। ফোর লেন মানে আবাদি জমি বিনষ্টসহ জলবায়ু আর ভূ-প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস করা। ফোর লেন মানে সমষ্টির স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ব্যক্তি স্বার্থরক্ষা তথা সড়কপথের বেনিয়া আর বহুজাতিক মোটর কোম্পানির একচেটিয়া মুনাফার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া, যা জাতীয়স্বার্থেরও পরিপন্থি। যে পরিকল্পনা সমষ্টির স্বার্থ জলাঞ্জলী দেয়, জনস্বার্থ ক্ষুণœ করে এহেন কর্মকান্ড রাষ্ট্র কর্তৃক গ্রহণ না করাই শ্রেয়।
সম্প্রতি শেষ হয়ে গেল বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন। এই সম্মেলনে কোন দেশ কার্বনযুক্ত বিষাক্ত গ্যাস কত অধিক হারে নিঃসরণের মাধ্যমে পরিবেশ ধ্বংস করছে তার সমালোচনায় বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ছিল মুখর। সেসব দেশকে অপরাধীর কাঠ গড়ায় দাঁড় করে আদায় করা হচ্ছে ক্ষতিপূরণ তথা এডাপটেশন ফান্ড বা অভিযোজন তহবিল। সেই অভিযোজন তহবিল থেকে বড় অংশ প্রাপ্তির আশা করছে- বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় থাকা আমাদের বাংলাদেশ (যদিও বাস্তবে সম্ভাবনা ক্ষীণ)। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বিশ্বমানবের আসন্ন বিপর্যয় রোধ করাটাই হলো বিশ্ব রাষ্ট্রনায়কোচিত কাজ। পৃথিবীতে উন্নত দেশগুলো কর্তৃক নিঃসরণকৃত কার্বনের বেশির ভাগই আমেরিকা থেকে নির্গত হচ্ছে। সে দেশের রাষ্ট্র প্রধান বারাক ওবামা সমঝোতার নামে নিজ দেশের অপরাধ ঢাকার ও মিথ্যে বাহাবা কুড়ানোর লক্ষ্যে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে হস্তক্ষেপ করে অভিযোজন তহবিলে প্রদানের অঙ্গীকার করেছে মাত্র ৩৩ ভাগ অর্থ (৭৫ ভাগের পরিবর্তে), যা মোটেও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের সরকারকে ভর্তুকি প্রত্যাহারে বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ প্রভৃতি সংস্থার মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করলেও নিজ দেশে মন্দা মোকাবেলার জন্য ভর্তুকি দিয়েছে ৭০ হাজার কোটি ডলার। অথচ পুঁজিবাদী বিশ্বের মোড়ল ওবামা প্রশাসন তাদেরই সৃষ্ট আসন্ন বিশ্ব বিপর্যয় মোকাবেলায় ক্ষতিপূরণ তহবিলে দিচ্ছেন ১ হাজার কোটি ডলার যা সত্যি হাস্যকর বিষয়। তার দেশসহ উন্নত বিশ্ব ৩ হাজার কোটি ডলার অভিযোজন তহবিলে চাঁদা প্রদান ও কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়টি আইনি বাধ্যবাধকতায় আনতে পারেনি। ফলে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন মূলত ব্যর্থই বলা চলে। কার্বন নিঃসরণ না কমালে বৈশ্বিক উষ্ঞতা কমবে না এ সত্য থেকে শিক্ষা নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী দেশ হিসেবে আমরা আমাদের কাজে ও কথায় মিল না রাখতে পারলে অর্থাৎ কার্বন নিঃসরণ কমাতে উদ্যোগী না হলে বিশ্ব বিপর্যয়রোধ কলে অন্যদের কার্বন নিঃসরণ কমানোর কথা বলাটা যুক্তিযুক্ত হবে না। অতএব, সড়ক পথের কালো ধোঁয়া নির্গমণকারী যান প্রত্যাহার ও বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার (ক্লিন ফুয়েল) বাড়ানোটাই হবে এক্ষণে মানবতাবাদী ও বিজ্ঞ রাষ্ট্রনায়কোচিত কাজ। এ অবস্থায় ক্লিন ফুয়েল ব্যবহার নিশ্চিত না করা পর্যন্ত ফোর বাইলেন নির্মাণের মহাপরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা আবশ্যক মর্মে অভিজ্ঞ মহল মনে করছে।
বর্ণিত পরিবেশ ধ্বংসকারী এহেন কর্মকান্ডের পরিবর্তে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের অর্ধসমাপ্ত ডাবল লাইন প্রকপ্লের কাজটি সমাপ্ত করার গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলে একদিকে যেমন কোন জমি হুকুম-দখলের প্রয়োজন হবে না, তেমনি নষ্ট হবে না কোন আবাদি জমি ও স্থাপনা, অন্যদিকে কমবে সড়কপথের যানজট। এতে জ্বালানি খরচ ও বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় এ দুটোই সাশ্রয় হবে, রক্ষা পাবে ভূ-প্রাকৃতিক পরিবেশ। স্বল ভাড়ায় জনগণ পরিবেশবান্ধব ও আরামদায়ক পরিবহন মাধ্যম বাংলাদেশ রেলওয়েতে স্বাচ্ছন্দ্যময় ভ্রমণের সুযোগ পাবে। সে সঙ্গে লাকসাম-ঢাকা কর্ড রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগে গ্রহণ ও বাস্তবায়ন হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ভ্রমণের সময় বাঁচবে ২ ঘন্টা, হবে জ্বালানি সাশ্রয়, অর্থাৎ সব দিক দিয়েই দেশ হবে লাভবান। রেলওয়েতে ভ্রমণের ফলে গণমানুষের পরিবহন খাতে খরচ কমবে, বাড়বে ক্রয় ক্ষমতা। জাতীয় প্রতিষ্ঠান রেলের উন্নয়ন মানে দেশ ও জনগণের উন্নয়ন। বাংলাদেশ রেলওয়ের সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন এখন সময়ের দাবি, যার কোন বিকল্প নেই।
তাই জনস্বার্থে পরিবেশবান্ধব পরিবহন মাধ্যম হিসেবে জাতীয় রেল উন্নয়ন আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ হোক, এটাই জনগণের প্রত্যাশা। লেখক: গবেষক ও কলামিষ্ট
০১৭১১৫৭৯২৬৭



0 comments:

Post a Comment