পরিবেশ: পানি ও বন্যপ্রাণী
আলী ফোরকান
পরিবেশ ও প্রতিবেশের ভারসাম্যহীনতার কারণে বন্যপ্রাণী হারিয়ে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণীর বাসস্থান ও বিচরণ ভূমি বিনষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণেই এরা হারিরয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে বন্যপ্রানীর তেমন কোনো রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা নেই। না আছে এদের ব্যাপারে কোনো সচেতনতা। অবাধে শিকার করা হয় বন্যপ্রাণী। তাদের প্রতি শিকারীদের নিষ্ঠুর আচরনের কারণে এই অঞ্চলকে আর অভয়ারন্য মনে করে না। ছুটে যায় তার নিরাপদ স্থানে। আবার বনভূমি উজাড়করার কারণেও বন্যপ্রাণী উধাও হয়ে যাচ্ছে। জলোচ্ছাস ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিপুল পরিমান বনভূমি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এতে একদিকে বন্যপ্রাণীর বিচরন ক্ষেত্র বিনষ্ট হচ্ছে আর অন্যদিকে বন্যপ্রানীল খাদ্য সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে। এসব কারণে বন্যপ্রাণী এ অঞ্চলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
সুন্দরবন ছিল রয়েল বেঙ্গল টাইগারের অভয়ারণ্য। এটি ছিল রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বিশাল বিচরন ভূমি। এজন্য বিশ্বে বাংলাদেশের খ্যাতিও রয়েছে। কিন্তু সুন্দরবনের গাছ কেটে উজাড় করা বেং শিকারীদের অমানবিক খ্যাতিও রয়েছে। কিন্তু সুন্দরবনের গাছ কেটে উজাড় করা এবং শিকারীদের অমানবিক আচরনের কারণে রয়েল বেঙ্গল টাইগার পাড়ি জমিয়েছে অন্যত্র। দিন দিনই রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এছাড়া বিড়াল প্রজাতির প্রাণীগুলো ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। কুমির প্রজাতির প্রাণী এতোই লোপ পেয়েছে যে,এখন আর কুমির সচরাচর দেখা যায় না। অথচ এক যুগ আগেও এদেশের নদ-নদীগুলো ছিল কুমিরের অবাধ বিচরন ক্ষেত্র। কাঁকড়া, গুইসাপ, কচ্ছপ ও ব্যাঙ রপ্তানির কারণে এই চার প্রজাতির প্রাণী দ্রুত বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে পরিবেশ হয়ে পড়ছে ভারসাম্যহীন। পরিবেশের কথা চিন্তা করে সরকার এই চার প্রজাতির প্রাণী ধরা এবং রপ্তানি করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীদের একটি চক্র এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করাতে সক্ষম হয়েছে। ফলে এই চার প্রজাতির প্রাণী সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রজাতির বানরও দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে। অল্প কিছু সংখ্যক বানর মধুপুরের গজারিবন, চট্টগ্রামের শালবন, সুন্দরবন এবং অন্যান্য বনজঙ্গলে দেখা যায়। বিগত ১৯৮৭, ৮৮, ৯৮,৯১ সালের ভয়াবহ বন্যায় অসংখ্য বানর মারা গেছে। খাদ্র সংকট এবং বিচরন ভূমি না থাকার কারণে অনেক বানর দেশ ছেড়েছে। একই অবস্থা সিংহ ও হাতির। বাংলাদেশে এই দুই প্রজাতির বন্যপ্রাণীও পুরোপুরি বিলুপ্ত হওয়ার পথে। বন দখলকারীদের বিরুপ আচরনের কারণে তারা নিরাপত্তাহনি হয়ে পড়েছে। সিংহ তা এখন বিরল প্রজাতির প্রাণীতে পরিণত হয়েছে। আর হাতি প্রায়শ মারা পড়ছে বিভিন্ন স্থানে। বাংলাদেশ-মিযানমার সীমান্ত বরাবর মিয়ানমার সরকারের নাসাকা বাহিনরি পুতে রাখা মাইনে মানুষের পাশাপাশি হাতিও মরছে। মাইন বিস্ফোরণে বেশ কিছু হাতি মারা গেছে বলে জানা গেছে। চিত্রা ও মেছো বাঘের করুণ পরিণতির কথাও আজ বলতে হচ্ছে। আগে সাধারণ বনে জঙ্গলেও এসব বাঘ দেখা যেত। এখন গহীন জঙ্গলেও এগুলোর সন্ধান পাওয়া যায় না। বনভূমি ক্রমশ কমে যাওয়ার কারণে এগুলো উধাও হয়ে গেছে। আসলে অভয়ারণ্য ছাড়া বন্যপ্রাণীরা বনে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। তারা সব সময় তাদের নিরাপদ স্থান খুঁজবেই। এই বন্যপ্রাণীদের ধরে রাখার জন্যই শুধু নয় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য বন্যপ্রাণীদের রক্ষা করা বিশেষ প্রয়োজন। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী রক্ষা আইন আছে। কিন্তু এই আইনের কোনো বাস্তবায়ন নেই। পশু বিশেষজ্ঞরা বন্যপ্রাণী রক্ষায় পৃথক বিভাগ প্রতিষ্ঠা এবং এতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোক নিয়োগ করে বন্যপ্রাণীদের রক্ষা করতে হবে। অন্যথায় বন্যপ্রাণীদের রক্ষা করা যাবে না। একই সঙ্গে বন্যপ্রাণী শিকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে এবং এ ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে গণমাধ্যমে প্রচার প্রচারনা ব্যাপকভাবে করতে হবে। এছাড়া পানি সমস্যা ও বন্যপ্রাণী বিলুপ্তির বড় কারণ। পানি সংকট এদেশের পরিবেশের ওপর বড় ধরণের আগাদ হেনেছে। অব্যাহতভাবে পানি হ্রাসের কারণে বিগত দুই দশকে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নীচে নেমে গেছে। যা পরিবেশ ও প্রকৃতিগত সমস্যার অন্যতম কারণ। এর ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চল বিশেষ করে সুন্দরবন ব্যাপক লবণাক্ততার শিকার। এরফলে দেশের বৃহত্তর বনভূমি ধ্বংসের মুখে পতিত হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, শুকনো মৌসুমে গঙ্গার পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় লবণাক্ততা এতোই বেড়েছে যে, ১৯৭৪ সালে যে এলাকার লবনাক্ততা ছিল ৩৮০ মাইক্রো এমএইচওএস; ১৯৯১ সালে তা বেড়ে ২৬ হাজার মাইক্রো এমএইচওএস -এ দাঁড়িয়েছে। এর মাত্রা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। পানির অতিরিক্ত লবণাক্ততার কারনে বৃহত্তর কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, ফরিদপুর এবং বরিশাল জেলা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। জমির ফলন কমে যাচ্ছে। যেসব এলাকার লোকজন গৃহস্থালিতে নদীর পানি ব্যবহার করছে সেসব এলাকায় টাইফয়েড, হেপারটাইটস, ডায়রিয়া, কলেরা প্রবৃতি রোগের প্রকাপ দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয় অতিরিক্ত লবণাক্ততার কারণে অনেক গাছপালা মরে যাচ্ছে; আবার অনেকগুলো উপযোগীতা হােিয় ফেলছে। একইসঙ্গে মিঠা মিঠা পানির মাছের বিচরণ ক্ষেত্রও নিঃেশেষিত হচ্ছে। ১৯৯৭ সালে প্রনীত জাতীয়ভিত্তিক এক জরিপ রিপোর্টে জানা যায়, গ্রামের ৯০ শতাংশ লোক খাবারের জন্য নলকুপের পানি ব্যবহার করে। কিন্তু গোসল ধোঁয়ামোছা ও রান্নার কাজে ব্যবহার করে ভূপৃষ্ঠের পানি। গঙ্গানির্ভর অঞ্চলের ভূপৃষ্ঠস্থ পানি স্বল্পতার কারণে মানুষের ব্যবহারের জন্য পানি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। পুকুরের পানি এখন আর নিরাপদ নয়। আগে গঙ্গানির্ভর অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানি তোলার জন্য পাম্প ব্যবহার করা হতো। এখনো তার স্থলে আরো উন্নত তারা পাম্প ব্যবহার করতে হচ্ছে। খুলনা, বাগেরহাট ও পিরোজপুর জেলার ভূগর্ভস্থ পানিতে লবনাক্ততা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরফলে ৫ বছরের নীচের বয়সের শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। তাছাড়া পানিতে আর্সেনিক দূষণের কারণে পানি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই অঞ্চলের অধিকাংশ মহিলারা আর্সেনিকযুক্ত পানি ব্যবহার করায় তারা পুষ্টিহীনতার শিকার হচ্ছে এবং নানা ধরনের রোগে ভূগছে। ভৈরব, মাথাভাঙ্গা, চিত্রা এবঙ নবগঙ্গা গঙ্গানদী থেকে বিছিন্ন হয়ে পড়ায় বর্ষঅর পানিই এই নদীগুলোর একমাত্র ভরসা। এই নদীতে পানি সরবরাহ বাড়ানোর জন্য দ্রুত গড়াই নদীতে পানি প্রবাহ বাড়ানা প্রয়োজন। অন্যথায় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই গড়াই খনন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দক্ষিণ অংশের প্রায় পুরোটাই ছিল বনাঞ্চল। কিন্তু বিগত বছরগুলিতে গাছপালা কেটে এবং কৃষি কাজের মাধ্যমে বনাঞ্চল কমিয়ে ফেলা হয়েছে। পানি সমস্যা সুন্দরবনকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। পৃথিবীল সর্ববৃহৎ গড়াই কাঠের বন হচ্ছে সুন্দরবন। সুন্দরবনের পুরো এলাকা পায় ৫ লাখ ৮০ হাজার হেক্টর। অর্থাৎ বাংলাদেশের পুরো অঞ্চলের ৮ ভাগের এক ভাগ। এই বনের গাছপালা ও জীবজন্তু ক্রমান্বয়ে বিলোপ সাধিত হচ্ছে। রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ অন্যান্য জীবজন্তু রক্ষার জন্য এই অঞ্চলের সুপেয় পানি সরবরাহের কোনো বিকল্প নেই। দক্ষিণাঞ্চলের জেলা পটুয়াখালী, খুলনা এবং বাগেরহাটে ব্যাপকভাবে চিংড়ি খামারের উন্নয়ণ এবং এর ফলে বাংলাদেশেল মূল্যবান রপ্তানি শিল্পের বিকাশ লাভ করেছে। কিন্তু এই শিল্পের বিকাশ স্থানীয় জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে এবং পরিবেশের ওপর প্রভাব পড়েছে। অথচ খুলনা ছিল ধান উৎপাদনের একটি বড় অঞ্চল। ভূগর্ভে ক্রমশ পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ায় প্রকৃতিগত সমস্যা প্রকট হয়ে উঠছে। ঘন ঘন ভূমিকম্পও প্রকৃতিগত সমস্যার অন্যতম কারণ। শুধু তাই নয়, শুকনো মৌসুমে পানি স্বল্পতার কারণে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে কৃষি উৎপাদন মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে। এ সমস্যা সমাধানের তাগিদ দিয়েছেন পানি বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, এজন্য নদীতে বড় বড় ড্যাম করা যেতে পারে।
গঙ্গার পানি বিবাদ ঃ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে মরুকরণের কবল থেকে বাঁচাতে সরকার অভীন্ন আর্ন্তজাতিক নদ-নদীল পানি বন্টনের ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়। অভীন্ন নদ-নদীর পানি বন্টন প্রসংগে আলোচনা করতে হলে এর অতীত সম্পর্কে কিছু পর্যালোচনা প্রয়োজন। কলকাতা মূলত হুমগিল নির্ভর। কলকাতা ব্যারাজ খেলা রাখার জন্য হুগলিতে পানি প্রবাহ এক শতাব্দি ধরে উত্তপ্ত বিতর্ক হয়েছে। ১৮৫৩ থেকে ১৯৫৩ সালের মধ্যে বিভিন্নমুখী প্রস্তাবও এসেছে। অধিকাংশ প্রস্তাবেই বলা হয়েছে যে, গঙ্গার সীমান্তে ব্যারাজ নির্মাণের মাধ্যমে হুগলিতে পানি প্রবাহ বাড়ানো যায়। ১৯৬১ সালে ভারত সরকার ফারাক্কা ব্যারাজ নির্মাণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্ত থেকে ১৭ কিলোমিটার উপরের দিকে এই ব্যারাজ নির্মানের কাজ শুরু হয়। ১৯৭৫ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এ সময় পাকিস্তান সরকার ফারাক্কা ব্যারাজের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেও কোনো ফল হয়নি। ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশ সরকার গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা দাবি করে। পরে বঙ্গবন্ধু সরকার ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানি বন্টনে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করতে সক্ষম হয়। এরপর ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান সরকারের আমলে ৫ বছর মেয়াদি একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। কিন্তু গঙ্গার পানি বন্টন বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমাধানে পৌঁছাতে না পারায় বাংলাদেশের পরিবেশ ও প্রকৃতির উপর মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়ে। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর পরই ভারতের সঙ্গে পানি সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়। প্রায় ৪মাস ধরে একাধিক বৈঠক এবং আলোচনা পর ৩০ বছর মেয়াদি একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে সক্ষম হয়। এতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবে গৌড়া। এই চুত্তির ফলে দেশের পরিবেশ ও প্রকৃতিতে রক্ষা করার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। চুিক্তর সুফল পাওয়ার সুযোগ গঙ্গার পানি বন্টন চুিক্তর ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষি, শিল্প ও পরিবেশকে রক্ষা করতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে। শুকনো মওসুমে অনেক নদীর পানি শুকিয়ে যায়। এর ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর মারাত্মকভাবে নীচে নেমে যায়। চুক্তির আগে এ সমস্যাটি প্রকট ছিল। এতে প্রকৃতিগত সমস্যাও মারাত্মক রূপ নিয়েছিল। কিন্তু গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তির পর প্রকৃতিগত সমস্যাটি ধীরে ধীরে কাটতে শুরু করেছে। পানির অভাবে খুলনা এলাকার অধিকাংশ শিল্প বন্ধ ছিল। তাছাড়া দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পানি আর্সেনিক দূষণের শিকার। সুপেয় পানি প্রবাহ অব্যাহত থাকলে এ সমস্যাটি মোকাবেলা করা সম্ভব হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খুলনায় বন্ধ শিল্পগুলো পুনরুজ্জীবিত করতে পারলে প্রায় ১০ লাখ লোক উপকৃত হবে। সুন্দরবন এলাকায় সুপেয় পানি প্রবাহ অব্যাহত থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। কারণ পানিতে অতিরিক্ত লবণাক্ততার কারণে নদীর তীরবর্তী গাছগুলো মরে যাচ্ছে। সবুজ প্রকৃতি হয়ে যাচ্ছ হলদে বর্নের। চিংড়ি চাষের জন্য সুপেয় এবং লবনাক্ত দুধরনের পানিই দরকার। গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তির ফলে এটা সম্ভব হবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন। সর্বোপরী দেশকে মরুকরণের হাত থেকে বাঁচাতে হলে ব্যাপক সুপেয় পানি প্রবাহ অত্যাবশ্যক। আমরা আশাকরি বর্তমান সরকার বন্ধুপ্রতিম প্রতিশেী দেশের সাথে আমাদের পানির ন্যায্য ভাগ আনতে সক্ষম হবে। অন্যথায় এদেশ মরুভূমিতে পরিণত হবে।
0 comments:
Post a Comment