Wednesday, June 29, 2016

পরিবেশ বাঁচান পৃথিবী বাঁচবে

পরিবেশ বাঁচান পৃথিবী বাঁচবে
আলী ফোরকান
রেশমি কিংবা রেশমা- এরকম নাম আমাদের খুব চেনা। নাম শুনে যে কারো মনে পড়ে যেতে পারে চঞ্চলা কোনো বালিকার হাসিমাখা মুখ। কিন্তু সমুদ্রজলে উথালপাথাল ঢেউ জাগিয়ে, বাতাস তোলপাড় করে যে রেশমি জনপদে হানা দেয়, সে নির্দয়। সবকিছু তছনছ করে দেয়, কেড়ে নেয় জীবন ও সম্পদ। নামে রেশমি হলেও স্বভাব ও শক্তিতে সে দানবীয়, সর্বসংহারি। কি জানি, কি ভেবে বিজ্ঞানীরা এই ভয়ংকরের এমন একটা মিষ্টি নাম রেখেছেন! মধ্যরাতে রেশমি আঘাত হানে উপকূলীয় অঞ্চলে।  এর পরের বছরের অক্টোবরে এসেছিলো সিডর। সিডর মানে ভয়ংকর চোখ। সেই ভয়ংকর চোখের বাণে যারা সর্বস্বান্ত হয়েছিলেন, তারা সে আঘাতের ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই এসে পড়লো সর্বনাশী রেশমি। আবহাওয়াবিদরা বলেছিলেন যে, সিডরের পর আঘাত হানতে পারে নার্গিস। সেও সুন্দর নাম। ছোট্ট সুন্দর একটা ফুল আছে এই নামে। কাজী নজরুল ইসলামের ব্যক্তিগত জীবনে এক যন্ত্রণার নাম ছিল নার্গিস। তবে আবহাওয়াবিদরা যে ভয়াল নার্গিসের আশংকা করেছিলেন সে এখনও আসেনি, এসেছে রেশমি। অদূর ভবিষ্যতে নার্গিস অথবা আর কোনো প্রিয় নামের দুর্যোগ এসে হামলে পড়বে না। সে কথা অবশ্য কেউ বলেনি।বরঞ্চ অনুরূপ বা এর চাইতে আরও অনেক বেশি বিভীষিকাময়। ভয়াল দুর্যোগ হানা দেবার আশংকা এদেশে-বিদেশে সবখানেই এখন প্রবল। প্রাকৃতিক দুর্যোগ-দুর্বিপাক নতুন কোনো বিষয় নয়। প্রাগৈতিহাসিক কালেও ঝড়ে-ঝঞ্চায়, বানে-ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত হয়েছে মানুষ ও প্রাণীকুল। প্রাচীনকালে নিসর্গের কাছাকাছি থেকেও মানুষ ভাল করে প্রকৃতিকে পড়তে পারতো না। বুঝতো না। পৌরাণিক গ্রীসে আকাশে যখন বিদ্যুৎ চমকাতো, যখন গুড়গুড় শব্দে মেঘ গর্জন করতো তখন লোকে ভাবতো দেবতা জিউস যুদ্ধে যাচ্ছেন কিংবা যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। ভয়ংকর যুদ্ধ বেঁধেছে অলিম্পাস পর্বতের চূড়ায়। নিক্ষেপ করা হচ্ছে অগ্নিবাণ। আকাশে তারই ঝিলিক, তারই গর্জন। খ্রিষ্টপূর্ব ৩৪০ অব্দে এরিস্টটল রচনা করেন, যেখানে তিনি মেঘ, বৃষ্টি, বরফ এবং আবহাওয়া সম্পর্কে আলোচনা করেন। গ্রীক শব্দ গবঃবড়ৎড়ং মানে ঊর্ধ্বাকাশ। তারও বহু বর্ষ পরে ১৪ শত থেকে ১৭ শত খ্রিস্টাব্দের মধ্যে আবহাওয়াবিদ্যার উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধিত হয়। মানুষ সক্ষম হয় আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাঠ করার পদ্ধতি আয়ত্ত করতে। আর এখন বিষয়টি তো বলতে গেলে বিজ্ঞানীদের নখদর্পণে। নিসর্গের গতি-প্রকৃতি, স্বভাব ও স্পর্শকাতরতা, প্রায় সবকিছুই মানুষ এখন বুঝে ও জানে। কোন্ রাসায়নিকটি প্রকৃতিতে কিভাবে কাজ করে, কোথায় কি প্রতিক্রিয়া হয় তা যেমন জানেন বিজ্ঞানীরা, তেমনই অনেক কিছু জানেন সাধারণ মানুষও। প্রকৃতির প্রতিটি আচরণই একালের মানুষ পাঠ করতে পারে। ভাবনার বিষয় এই যে, মানুষ যখন প্রকৃতিকে পাঠ করতে পারতো না, নিসর্গের মন বুঝতো না তখন তারা ছিলো প্রকৃতির কাছাকাছি। নিসর্গের সাথে তার কোনো বিরোধ ছিলো না। কিছু না জেনেও সে প্রকৃতিকে ভালবাসতো। আকাশের তারা দেখে সমুদ্রে নাবিক পথ চিনে নিতে পারতো। আর এখন প্রকৃতিকে জেনেশুনেও, তার কেমেস্ট্রি বুঝেও মানুষ প্রকৃতির সাথে বিরোধ করে চলেছে। এর ফল কিন্তু ভাল হচ্ছে না। প্রকৃতিও যেন হয়ে উঠতে চাইছে প্রতিশোধপরায়ণ। এই কথাটাই আরও সুন্দর করে বলেছেন নোবেল বিজয়ী রসায়নবিদ ড. আর নস্ট। ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে তিনি বলেন, এই মহাবিশ্বে টিকে থাকার জন্য মানুষ ও প্রকৃতির পরস্পর সহায়ক হওয়ার কথা। কিন্তু এখন পরিস্থিতি হয়েছে উল্টো। মানুষ ও প্রকৃতি মুখোমুখি। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, প্রকৃতি চায় মানুষ থেকে এবং মানুষ চায় প্রকৃতির হাত থেকে বাঁচতে। ড. আর নস্টের মতে, মানুষের যথেচ্ছ আচরণের কারণেই প্রকৃতি বিরূপ হয়ে উঠছে। বাড়ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এ যে কত বড় সত্য, সেটা অনুধাবন করার জন্য খুব দূরে তাকাবার প্রয়োজন পড়ে না। বাস্তবিকই প্রকৃতি যে কতভাবে প্রতিশোধ নিতে শুরু করেছে, তা বলে শেষ করা যায় না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেনবা সাংবাৎসরিক ব্যাপার হয়ে দেখা দিয়েছে। ঘন ঘন আঘাত হেনে চলেছে ঝড়-জলোচ্ছ্বাস। বছরে একাধিকবার ভূমিকম্প হচ্ছে, যদিও এখন পর্যন্ত এদেশে বড় কোনো বিপর্যয় দেখা দেয়নি। দুয়েক বছর পর পর দেশ ভাসে কাল এবং অকাল বন্যায়। বেড়ে চলেছে রোগ-ব্যাধির প্রকোপ। ভূগর্ভস্থ পানি বিষিয়ে গেছে। দেশে বেশিরভাগ জেলায় এখন আর্সেনিকের সমস্যা- খাবার পানির তীব্র সংকট। আর্সেনিকোসিস রোগ ইতিমধ্যে কেড়ে নিয়েছে বহু মানুষের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা। দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে অনেকের জীবন। সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য সমস্যা প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। নিরোগ দেহের মানুষ সমাজে এখন খুঁজে পাওয়া কঠিন। অন্যদিকে বায়ুমন্ডলের উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ায় বরফ গলে বেড়ে চলেছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা। ইতিমধ্যে সুন্দরবনের এক বিরাট এলাকা তলিয়ে গেছে। দক্ষিণের উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততার কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফসলের জমি। সুন্দরবনের সুন্দরী গাছের আগামরা রোগের যে সমস্যা, তারও পশ্চাতে কারণ; অনেকে বলেন অতিমাত্রার লবণাক্ততা। বিজ্ঞানীরা বলেন, বায়ুমন্ডলে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় আগামী তিরিশ বছরের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে ৩০ সেন্টিমিটার। এর ফলে উপকূলীয় অনেক জনপদ তলিয়ে যাবে। গৃহহীন হয়ে পড়বে ৩০ লাখ আদম সন্তান।তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে নানা নামে বেড়ে চলেছে ঘূর্ণিঝড়ের দুর্যোগ। ভবিষ্যতে বৃষ্টিপাত আরো কম হবে। ফলে কৃষি উৎপাদন হ্রাস পাবে। বায়ুমন্ডলের এই পরিবর্তনের ফলে এবং জমিতে ক্রমাগত উচ্চ মাত্রায় রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগের ফলে বদলে যাচ্ছে মৃত্তিকার চরিত্র। মাটি হারাচ্ছে তার উর্বরাশক্তি। ফলে বছর বছর আরও বেশি মাত্রায় রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হচ্ছে। অন্যদিকে মাটির চরিত্র বদলে যাওয়ায় ফসলের খাদ্যমান নষ্ট হচ্ছে। যে শস্যে যে উপাদান যে মাত্রায় থাকার কথা তা আর থাকছে না। ফলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে। এদিকে নদ-নদী, খাল-বিল ভরাট হয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ মিঠা পানির দুর্ঘট এখন বিশ্বজুড়ে। এইরূপ প্রতিকূল পরিস্থিতি কিন্তু আমরাই সৃষ্টি করেছি। মানুষের বেহিসাবি আচরণ এবং বিজ্ঞান-প্রযুক্তির অপব্যবহারের কারণেই আজ দেখা দিয়েছে পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা। বিষিয়ে গেছে বাতাস, পানি ও মৃত্তিকা। বায়ুমন্ডলে দেখা দিয়েছে গ্রীন হাউস এ্যাফেক্ট। বলাবাহুল্য, গ্রীন হাউস এ্যাফেক্টেরই ফল হচ্ছে বায়ুমন্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধি। প্রধানত কার্বনডাই অক্সাইড, মিথেন, নিট্রয়াস অক্সাইড, সালফার, হেক্সাফ্লোরাইড প্রভৃতি গ্যাসের মিশ্রণে তৈরি হয় ঐঋঈং এবং চঋঈং গ্যাস। শিল্প কারখানা ও যন্ত্রযান থেকে প্রতিনিয়ত এইসব গ্যাস নির্গত হচ্ছে। পক্ষান্তরে এইসব গ্যাস শুষে নেয়ার জন্য যে বিপুল সংখ্যায় গাছপালা থাকা প্রয়োজন তাও নেই। বরঞ্চ দিনে দিনে অরণ্য সংহার করে সৃষ্টি করা হয়েছে এক ভয়ানক ভারসাম্যহীন পরিস্থিতি।বাংলাদেশে আমরা বনজঙ্গল শেষ করেছি। নিঃশেষ করেছি নদী প্রকৃতি। যেকোনো দেশের মোট আয়তনের কমপক্ষে ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা দরকার। আমাদের এক্ষণে আট ন’ ভাগ আছে কিনা সন্দেহ। অন্যদিকে, আমাদের ছিলো প্রায় তেরশ নদী। এখন দুই আড়াইশর বেশি নেই। তাও বেশিরভাগই শীতকালে শুকিয়ে যায়। কোনোমতে বেঁচে থাকা এইসব নদীর গতিপথে অনেক জায়গায় শুকিয়ে ফসলের মাঠ হয়ে গেছে। প্রধান নদী প্রবাহগুলোও বিপর্যস্ত। তলা ভরাট হয়ে গেছে। বর্ষায় উজান থেকে আসা পানি বহন করতে এসব নদী অক্ষম। অল্পতেই দুকূল ছাপিয়ে ভাসিয়ে দেয় গ্রাম জনপদ। আবার কোনো কোনো বছর এমনও হয় যে, বর্ষাকালেও নদী ভরে না। নদী অববাহিকায় পলি পড়ে না। খাল-বিলও প্রায় সবই ভরাট হয়ে গেছে। বিলঝিল এবং খাল দখল করে গড়ে তোলা হচ্ছে ইমারত। রাজধানী ঢাকার ভেতরে যেসব খাল ছিলো তার সবই প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এই শহরের পার্শ্ববর্তী যে চারটি নদী; সেগুলোরও এখন সঙ্গীন অবস্থা। পানি পচে গেছে। নগরীর আশেপাশে যে সমস্ত ঝিলবিল ছিলো সেগুলো ভরাট করে গড়ে উঠছে আবাসিক এলাকা। ক্রমান্বয়ে রাজধানী ঢাকা পরিণত হচ্ছে জল এবং সুবজবিহীন ইটপাথরের এক অরণ্যে, যেখানে কেবলই উৎপন্ন হচ্ছে কার্বনসহ বায়ু দূষণ করা বিভিন্ন গ্যাস। দেশের অন্যান্য শহরের অবস্থাও কমবেশি একই রকম।এইভাবে পরিবেশের যে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হচ্ছে তা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য বিপজ্জনক। আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য যে বাংলাদেশ, যে মাটি ও বাতাস রেখে যাচ্ছি, তা তাদের সুন্দর জীবনের জন্য মোটেও অনুকূল নয়। এখনই সতর্ক না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জীবন হয়ে উঠবে দুর্বিষহ। তখন তারা আমাদের ক্ষমা করতে পারবে না। জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রধান যে কারণ গ্রীন হাউস গ্যাস; তার বৃহত্তম অংশই উৎপন্ন হয় উন্নত বিশ্বে। এক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম আসে সবার আগে। বাংলাদেশের মত শিল্পে অনুন্নত দেশগুলোর ভূমিকা এক্ষেত্রে মোটেও উল্লেখযোগ্য নয়। কিন্তু নদী নিসর্গ ধ্বংসোন্মুখ হয়ে পড়ায়, পাহাড়-জঙ্গল কমে যাওয়ায় গ্রীন হাউসের ফলে ক্ষতি হওয়ার আশংকা আমাদের অনেক বেশি। কাজেই আমাদের নিজস্ব পরিমন্ডলে প্রতিরোধ ব্যবস্থাটা গড়ে তোলা দরকার। এজন্যে সর্বাগ্রে প্রয়োজন নদী-জলাশয় পুনরুদ্ধার এবং বন সৃজন। নদীগুলো খনন-সংস্কারের মাধ্যমে এগুলোর নাব্যতা বাড়াতে হবে। প্রসঙ্গত বলা আবশ্যক যে, আমাদের নদীগুলো পরিবেশ রক্ষা ছাড়াও পর্যটন আকর্ষণেও বিরাট অবদান রাখতে পারে। নদী সংস্কার করে স্থানে স্থানে গড়ে তোলা যেতে পারে পর্যটন স্পট, যেখানে থাকবে সুইমিং, বোটিংসহ নদীস্রোতে প্রমোদবিহারের নানা ব্যবস্থা। নদী পাড়ে থাকবে সারি সারি ছায়াবৃক্ষ, থাকবে ফুলের বাগান, থাকবে শাদা কাশবন। নদী নিসর্গকে যদি এইভাবে সাজিয়ে তোলা যায়, তাহলে অভ্যন্তরীণ পর্যটন বাড়বে, আকৃষ্ট হবে বিদেশীরাও। নদী পাড় ধরে গাছ লাগান হলে আমাদের নদী-নিসর্গ হয়ে উঠবে আরো শ্যামল, সুন্দর, মায়াময়। বনজঙ্গলের ঘাটতি অনেকটাই পূরণ হয়ে যাবে এই ব্যবস্থায়। এক্ষেত্রে বেসরকারী বিনিয়োগকারীদেরও আহ্বান করা যেতে পারে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে শহরাঞ্চল প্রসারিত হবে, নতুন নতুন আবাসিক এলাকা গড়ে উঠবে- এই স্বাভাবিক। কিন্তু এই কাজটা হওয়া চাই সুপরিকল্পিত পন্থায়। নতুন গড়ে ওঠা আবাসিক এলাকায় খাল-সরোবর রেখে ইমারত নির্মাণ করা হলে পরিবেশের ভারসাম্য অনেকটাই সুরক্ষিত হয়। এতে আবাসিক এলাকাটিও হয়ে উঠতে পারে দৃষ্টিনন্দন। এলাকার পরিবেশ হবে স্বাস্থ্যপ্রদ। মোটকথা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় আমাদেরই সচেষ্ট হতে হবে। প্রকৃতির ওপর যথেচ্ছাচার থেকে আমাদের বিরত হতে হবে। নদ-নদী এবং খাল খনন ও সংস্কারের কাজটি অবশ্য খুব সহজ নয়। এজন্যে প্রয়োজন বিপুল অর্থের। তবে সরকার সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হলে সেই সমস্যার সমাধান অসম্ভব নয়। দাতাদেশ এবং সংস্থাগুলো এক্ষেত্রে সহায়তা দেবে হয়তো। ঋণ সহযোগিতা নিয়ে হলেও নদী সংস্কারের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া উচিত। নদী বাঁচলে, নদী সংস্কার করা হলে বাংলাদেশের পরিবেশের যেমন উন্নতি হবে, তেমনি অর্থনীতিতেও যুক্ত হবে নতুন মাত্রা। কাজেই বিষয়টি অগ্রাধিকার পাওয়ার দাবি রাখে। মনে রাখা দরকার, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা না গেলে মানুষ বাঁচবে না। বরঞ্চ ব্যর্থ পরিহাস হয়ে দেখা দেবে বিজ্ঞান-সভ্যতার যাবতীয় অর্জন। 


0 comments:

Post a Comment