Saturday, June 18, 2016

পরিবেশ বিপর্যয়: বাংলাদেশ কি প্রস্তুত

পরিবেশ বিপর্যয়: বাংলাদেশ কি প্রস্তুত 
আলী ফোরকান
বিশের¦ বিভিন্ন দেশে ভূমিকম্প হচ্ছে। সম্প্রতি আমাদের দেশে ও ভূমিকম্প হয়েছে।  ভূমিকম্পের পর যে প্রশ্নটি খুব সহজেই এখন করা যায় তা হচ্ছে, এ ধরনের একটি মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ে আমাদের প্রস্তুতি কতটুকু? বাংলাদেশ ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকাÑ এ নিয়ে একাধিকবার সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু তাতে করে সচেতনতা খুব একটা বেড়েছে বলে মনে হয় না। ঢাকা শহরে এমনিতেই খুব ঘনবসতি। ডোবানালা ভরাট করে বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই বিল্ডিং কোড অনুসরণ করা হয়নি। ঢাকায় যদি ৭ রিখ্টার স্কেলের একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। তাহলে ঢাকা শহর পরিণত হবে হাইতির রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সের মতো। দুর্যোগ মোকাবেলায় দক্ষতাও আমরা অর্জন করতে পারিনি। বলা হয় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যে প্রধান ৪টি ফল্ট রয়েছে, সেগুলোই মূলত ভূমিকম্পের মূল উৎস। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ৩০০ কি.মি. দীর্ঘ ডাউকি ফল্টে ১৮৯৭ সালে ৮.৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। মধুপুর ফল্টে ১৮৮৫ সালে ৭ মাত্রার ওপরে ভূমিকম্প হয়েছিল। সীতাকুন্ডু-মিয়ানমার ফল্টে অনেক আগে ১৭৬২ সালে বড় ধরনের একটি ভূমিকম্প হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। আর আসাম-সিলেট ফল্টেও অতীতে বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়েছিল। সাম্প্রতিক সময় প্রায়ই হালকা ভূমিকম্পনের খবর ছাপা হচ্ছে। যার মাত্রা রিখ্টার স্কেলে ৬.৯ মাত্রার কিছুটা ওপরে। এ প্রবণতাই আভাস দেয়। যে কোন সময় একটি বড় ধরনের ভূমিকম্প বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, দুর্যোগ মোকাবেলায় দক্ষ জনশক্তি আমরা গড়ে তুলতে পারিনি। হাইতির ঘটনার পর প্রমাণিত হল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও দক্ষ জনশক্তির কত প্রয়োজন। দুর্বল ভবনের কারণেই হাইতির পোর্ট অব স্পেনে কোন ভবনই আর দাঁড়িয়ে নেই। ঢাকার অবস্থা হবে এর চেয়েও ভয়াবহ। হাইতির ঘটনাবলী আমাদের জন্য একটি ‘ওয়েক আপ’ কল। দীর্ঘস্থায়ী তো বটেই, স্বল্পস্থায়ী একটি পরিকল্পনা নেয়া খুবই জরুরি। শুধু ভূমিকম্পের কথা কেন বলি। দক্ষিণাঞ্চলের পানিতে অতিরিক্ত লবণাক্ততা, উজানে পানি প্রত্যাহারের ফলে নদ-নদী শুকিয়ে যাওয়া ও সেচ কাজে বিঘœ সৃষ্টি, সাগরের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি নানা কারণে বাংলাদেশ আজ বড় ধরনের পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। এটা আর্ন্তজাতিকভাবেও আজ স্বীকৃত। জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনেও বাংলাদেশের কথা উচ্চারিত হয়েছে। ওই সম্মেলনে যোগদান শেষে ঢাকায় ফিরে পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী আমাদের জানিয়েছিলেন, ওই সম্মেলনে বাংলাদেশের বড় অর্জন হয়েছে। যদিও আমরা জানলাম না আমাদের সাফল্যটা কোথায়। এই যে পরিবেশ বিপর্যয়, এই বিপর্যয়কে আমরা বাংলাদেশের নিরাপত্তার প্রতি হুমকিস্বরূপ বলেই মনে করছি। পরিবেশ বিপর্যয়ের একাধিক মাত্রা রয়েছে। এখন ভূমিকম্পের হুমকিও এই মাত্রার সঙ্গে যোগ হল। বাংলাদেশ যখন ঘূর্ণিঝড়, সিডর ও আইলায় আক্রান্ত হয়েছিল। তখন সারাবিশ্বেই বাংলাদেশের নাম ছড়িয়ে পড়ে। সেই থেকে বাংলাদেশ রয়েছে বিশ্ব মিডিয়ায়। বাংলাদেশকে নিয়ে পৃথিবীর অনেক দেশেই গবেষণা হচ্ছে এখন। বাংলাদেশকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই। যে প্রশ্নটি অতীতেও উঠেছে এবং সদ্য সমাপ্ত জলবায়ু সম্মেলনে ও আলোচনা হয়েছে। তা হচ্ছে এই বিরূপ পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়া। সেটা আমরা কতটুকু করতে পেরেছিÑ প্রশ্ন সেখানেই। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমরা যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি বা ভবিষ্যতে হবÑ এর জন্য আমরা দায়ী নই, এ কথাটা সঠিক। এটা বলার মধ্যে নতুন কিছু নেই। কিন্তু আমরা যদি সাহায্যের জন্য তাকিয়ে থাকি। যদি বারবার বিদেশী সাহায্যের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেই। তাহলে তো মূল সমস্যার সমাধান করা যাবে না। মূল বিষয়টি হচ্ছে, ‘সিডর’ বা ‘আইলায়’ আক্রান্ত মানুষের জন্য বসবাসের একটি পরিবেশ সৃষ্টি করা। আট মাস হয়ে গেল আমরা ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে পারলাম না। পার্লামেন্টে কোটি কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করা হল। কিন্তু একটি টাকাও কেন আমরা ব্যয় করতে পারলাম না? কেন, এ প্রশ্ন তো করা যায়ই। প্রতিমন্ত্রী এটা বোঝেন কিনা জানি না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত এলাকায় মানুষের জন্য যদি কোন কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করা না যায় তাহলে ব্যাপকসংখ্যক মানুষ ঢাকায় আসবে কাজের সন্ধানে। ইতিমধ্যে বেশকিছু এসেও গেছে। তারা একটা বড় পরিবেশগত সমস্যার সৃষ্টি করবে। এটা খাপ খাইয়ে নেয়ার একটা অংশ হতে হবে। এদের জন্য স্থানীয়ভাবে কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর দীর্ঘদিন এনজিও কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অনুদান নিয়ে গবেষণা করেন তিনি। চরাঞ্চলের মানুষকে নিয়ে বিদেশী অনুদানে কিছু গবেষণাও করেছেন। এ মুহূর্তে দক্ষিণাঞ্চলের চরাঞ্চলের মানুষের জন্য তার স্থলাভিসিক্ত কি কোন কর্মসূচি নিতে পারেন না? ক্ষুদ্রঋণ কি সেখানে সম্প্রসারণ করা যায় না? কাজের একটা ক্ষেত্র যদি সৃষ্টি করা যায়। তাহলে মানুষ বাপ-দাদার ভিটে ছেড়ে অন্যত্র অভিবাসী হবে না। সুপেয় পানির বড় অভাব ওই অঞ্চলে। ড. ইউনূস একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন, গ্রামীণ ভিয়োলিয়া ওয়াটার। এ প্রকল্পের আওতায় গ্রামের মানুষের কাছে প্রতি ১০ লিটার পানি ১ টাকায় বিক্রি করবেন তিনি। মাত্র ১ টাকা! সরকার কি ড. ইউনূসের সঙ্গে কথা বলে আইলা উপদ্রুত এলাকায় এ কর্মসূচি দ্রুত সম্প্রসারণের কোন উদ্যোগ নেবে? এ বিষয়ে কি পরিবেশ মন্ত্রী ড. ইউনূসের সঙ্গে কথা বলতে পারেন না? যদি খাবার পানির নিশ্চয়তা দেয়া না যায়। তাহলে মানুষ সেখানে বসবাস করবে কিভাবে? পরিবেশ মন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন খবর যেদিন পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল, সেদিনও ছাপা হয়েছিল (ছবিসহ) আরও একটি সংবাদÑ দিনাজপুরের ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে শাল-সেগুন কাঠ। সংবাদটি যদি পরিবেশ মন্ত্রী দেখে থাকেন, তাহলে এ ব্যাপারে তিনি কি কোন উদ্যোগ নিয়েছেন? প্রতিটি ইটের ভাটাতেই এ চিত্র এখন দেখা যায়। গাছ কেটে তা ইটের ভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে। দেখবে কে? জলবায়ু সম্মেলনের আগের এক মাস ও পরের কিছুদিন আমি সংবাদপত্র ঘেঁটে দেখেছি গাছ কাটার এবং ইটের ভাটায় গাছ ব্যবহার করার প্রচুর সংবাদ আছে। একটি জাতীয় সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় ৪ কলামজুড়ে একটি ছবি ছাপা হয়েছে। ছবির ক্যাপশন চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডু উপকূলে নির্বিচারে কেটে ফেলা হয়েছে সবুজ বনানী। তিনি নিশ্চয়ই এ সংবাদটি পাঠ করেছেন। একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে জানতে ইচ্ছে করে, তার কি করণীয় কিছু নেই? তিনি নিশ্চয়ই আরেকটি সম্মেলনে অংশ নেয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। সেখানে গিয়েও তিনি বলবেন, জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের ক্ষতির কথা। কিন্তু আমরা নিজেরা যে নিজেদের ক্ষতি করছি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কে? পরিবেশ মন্ত্রী কিছুদিন আগে আমাদের খুব ভালো ভালো কথা বলেছিলেন। ১১ হাজার কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে। বনবিভাগের ৭ লাখ ৫৮ হাজার একর জমিতে ৩ কোটি গাছ লাগানো হবে। জেগে ওঠা চরের ১২ লাখ ৩০ হাজার একর জমিতে গাছ লাগানো হবে। বনবিভাগ চারা উৎপাদন ৪ কোটির পরিবর্তে ১০ কোটি করবে। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় উৎপাদিত হবে ১৫ কোটি চারা। এ বক্তব্যে আমরা খুশিই হয়েছিলাম। কিন্তু কাজ কি কিছু হয়েছে? দুর্বৃত্তরা যদি সর্বত্র গাছ কেটে নিয়ে যায়, তাহলে ওই গাছ লাগিয়ে কি লাভ? সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে কারা কোথায় কোথায় গাছ কেটে নিয়ে গেছে, কারা ওই চৌর্যবৃত্তির সঙ্গে জড়িত? কিন্তু ব্যবস্থাটা কি নেয়া হয়েছে? মনে হয় না। আরও একটা কথা, ইটের ভাটার চিমনি থেকে কালো ধোঁয়ার ছবিÑ আমাদের সবার এক পরিচিত দৃশ্য। ঢাকার উপকণ্ঠে সাভার এলাকার আমিনবাজারের দিকে গেলে এ দৃশ্য সবার চোখে পড়বে। শুধু সাভারের আমিনবাজারের কথা কেন বলি, নরসিংদী থেকে শুরু করে হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, রাস্তার দু’ধারে অসংখ্য ইটের ভাটা। আর প্রতিটি চিমনি থেকে বেরুচ্ছে কালো ধোঁয়া। এ কালো ধোঁয়া পরিবেশের জন্য শুধু খারাপই নয়, বরং কিছুটা হলেও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে। পরিবেশ মন্ত্রীর প্রতি আমার বিনীত জিজ্ঞাসাÑ এ কালো ধোঁয়া উদ্গিরণ কি হতেই থাকবে? বাংলাদেশ জলবায়ু সম্মেলনে সাহায্য চেয়েছে। আগামীতে ও  জলবায়ু সম্মেলনে সাহায্য চাইবে অথচ নিজ দেশের পরিবেশ বিপর্যয় রোধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। দাতারা এ ধরনের প্রশ্ন যদি করে, তাহলে আমরা কি জবাব দেব? মাননীয় মন্ত্রী, আইন কি ইটের ভাটায় গাছের ব্যবহার, কালো ধোঁয়া উদ্গিরণ অনুমোদন করে? যদি না করে, তাহলে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, বিনীতভাবে তা আমি জানতে চাই। আমাদের পরিবেশ কূটনীতি বলতে কি কিছু আছে? ডেনমার্ক কপ-১৫ আয়োজন করতে গিয়ে তারা নিজেরা পরিবেশের যথেষ্ট ক্ষতি করেছিল। এটা পুষিয়ে উঠতে তারা উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ‘কার্বন ক্রেডিট’ দিচ্ছে (বাংলাদেশের কিছু ইটের ভাটায় কালো ধোঁয়া হ্রাসে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার)। আমরা এর কিছুটা ভাগীদার হচ্ছি বটে। কিন্তু ডেনমার্কের কাছ থেকে তো আমরা আরও বেশি আদায় করে নিতে পারতাম? এখানে কি আমাদের কূটনৈতিক ব্যর্থতা নেই? আমি বিশ্বাস করি, ডেনমার্ক আমাদের সমস্যা সম্পর্কে জ্ঞাত। আমাদের সফল কূটনীতিই আমরা তাদের কাছ থেকে আরও বেশি কিছু আদায় করে নিতে পারব। সমস্যা হচ্ছে এটা বোঝার, ও এটা নিয়ে কাজ করার। পরিবেশ মন্ত্রী কিংবা আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লন্ডনের গার্ডিয়ানে প্রকাশিত জন বাইডালের প্রবন্ধটি পড়েছেন কিনা জানি না। না পড়ারই কথাÑ কেননা এত সময় তাদের কই? দক্ষিণ এশিয়ায় অকাল বন্যার কথা, খরার কথা বলা আছে ওই প্রবন্ধে। কিন্তু কই বাংলাদেশের পরিবেশের এই যে ক্ষতি এবং এর পেছনে যে কারণ। সে কথাগুলো কি আমরা পেয়েছি জলবায়ু সম্মেলনে? অনেক জাতীয় সংবাদপত্রে ছাপা হওয়া আরেকটি সংবাদÑ পদ্মায় পানি নেই। কালীগঙ্গা নদীর বুকে ধু-ধু বালুচর। অথচ আমরা গঙ্গার পানি চুক্তি করেছিলাম পানি পাব বলে। ভারতীয় সদ্যবিদায় নেয়া বহু বিতর্কিত হাইকমিশনারও বলে গেলেন চুক্তির চেয়েও বাংলাদেশ বেশি পানি পাচ্ছে। কিন্তু সংবাদপত্রে প্রকাশিত ছবি ও সংবাদ কি সে কথা বলে? আমরা চুক্তি করতে ভালোবাসি। কিন্তু এসব চুক্তি আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে পারেনি। এসবই আমাদের পরিবেশের ক্ষতি করছে। আরেকটি দুঃসংবাদ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে যখন টিপাইমুখ বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ হবে এবং তা চালু হবে। এটা আমাদের বড় ক্ষতি ও শংকার কারণ। কিন্তু আমরা কি টিপাইমুখের কথা বিশ্ববাসীকে জানিয়েছি? আমরা জানাইনি। আমাদের পরিবেশ কূটনীতির ব্যর্থতা এখানেই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারতে গেলেন। চুক্তি করলেন। কিন্তু টিপাইমুখ বন্ধ করার ঘোষণা দিতে বাধ্য করতে পারলেন না ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে। তিস্তা নদীর পানির ভাগাভাগি নিয়েও কোন আশ্বাস পেলাম না আমরা। জেআরসি’র মিটিং তো অতীতেও হয়েছে। আগামীতেও হবে। ফটোসেশন ছাড়া আমাদের প্রাপ্তি তো শূন্য।
পরিবেশের এক মহাবিপর্যয়ের মুখে বাংলাদেশ। এতদিন আমাদের চিন্তা ছিল জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে। এ নিয়ে কাজ হচ্ছে, অস্বীকার করব না। সচেতনতাও কিছু বেড়েছে। এখনও হাইতির ঘটনাবলী আমাদের দেখিয়ে দিল ভূমিকম্পের মতো বিষয়টি উপেক্ষা করা ঠিক হবে না। যেহেতু বাংলাদেশ ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। সেহেতু এ ব্যাপারেও দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনা নেয়া প্রয়োজন। হাইতির ঘটনাবলী থেকে আমাদের নীতিনির্ধারকরা যদি কিছু শিক্ষা নেন। এটাই হবে আমাদের জন্য বড় পাওয়া।

0 comments:

Post a Comment