Thursday, May 26, 2016

কৃষিই পারে দারিদ্র্যমুক্তির পথ দেখাতে

  কৃষিই পারে দারিদ্র্যমুক্তির পথ দেখাতে
আলী ফোরকান 
 কৃষি উৎপাদন বাড়ানো ছাড়া দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কোনোভাবে থামানো যাবে না। ন্যায্যমূল্যের বাজার, ব্যবসায়িক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অভিযান, কালোবাজারিদের আটকসহ আমদানি শুল্ক কমিয়ে ব্যবসায়ীদের বিশেষ সুবিধা দিয়েও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরতে পারেনি সরকার। এসব উদ্যোগের পরও বাজারে জিনিসপত্রের দাম তো কমেইনি বরং দিনের পর দিন তা বেড়েই চলেছে। এ পরিস্থিতিতে আমদানি নির্ভরতা কমাতে খাদ্যশস্যের উৎপাদন বাড়ানো ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা নেই সরকারের সামনে। আর্র্ন্তাতিক বাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকার কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। উৎপাদন বাড়াতে সরকার কৃষিঋণ বৃদ্ধি, সার কীটনাশক ও উন্নতমানের বীজ সরবরাহসহ বোরো মৌসুমে কৃষকদের ডিজেল ভর্তুকি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য বাড়ার পেছনে কাজ করছে দেশীয় উৎপাদন হ্রাস, আর্šÍজাতিক বাজারে চড়া দাম এবং আর্šÍজাতিক বাজারে চড়া দামের কারণে স্থানীয় পর্যায়ে দাম বাড়া সত্ত্বেও আমদানি হ্রাস। ২০১৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে দারিদ্র্যের পরিমাণ অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্য অর্জন করতে হলে কৃষিকে উন্নয়ন এজেন্ডায় গুরুত্বসহ তুলে ধরতে হবে। কেননা উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারলে কৃষি খাতই পারবে দারিদ্র্যমুক্তির পথ দেখাতে। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সর্বশেষ প্রকাশনায় ‘উন্নয়নের জন্য কৃষি শীর্ষক’ এক প্রতিবেদনেও এ মন্তব্য করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিশ্ব খাদ্য সরবরাহ চাপের মুখে রয়েছে। বিশ্বব্যাপী খাদ্যসামগ্রী, জৈব জ্বালানির চাহিদা বৃদ্ধি, জ্বালানির দাম বৃদ্ধি এবং ভূমি ও পানির অপর্যাপ্ততা আবহাওয়ার পরিবর্তনে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। যা ভবিষ্যতে খাদ্যমূল্যকে অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত করতে সহায়ক হবে বলে মন্তব্য করা হয়েছে। সরকার কৃষি উৎপাদন বাড়াতে বোরো মৌসুমে দেশের প্রকৃত কৃষকদের আর্থিক সহযোগিতা দেবে। সেচ কাজে ডিজেল ব্যবহারের ভর্তুকি বাবদ সরকার ৭৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। মাঠ পর্যায়ে কার্ডধারী কৃষকদের মধ্যে এ ভর্তুকির টাকা বিতরণ করা হয়। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পরেশনের হিসাবে দেশে বছরে ২৬ লাখ টন ডিজেল ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে পাচ লাখ টন ডিজেল ইরি-বোরো মৌসুমে ব্যবহার হয়ে থাকে। বোরো মৌসুমে প্রায় ৪৮ লাখ হেক্টর সেচ জমির মধ্যে ৩৩ লাখ হেক্টর জমিতে ডিজেলচালিত সেচযন্ত্রের মাধ্যমে ধান উৎপাদন করা হয়। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গবেষণা খাতে ৩৫০ কোটি টাকা, খাদ্য ঘাটতি পূরণের জন্য খাদ্য আমদানি বাবদ ১ হাজার ৫৫৬ কোটি টাকা এবং সার ও বিদ্যুৎ খাতে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হবে। কৃষিপণ্য রফতানিতেও ২০ শতাংশ ভর্তুকি দেয়া হবে। দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও ক্ষুদ্র খামারিদের সহায়তা তহবিলে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ইউরিয়ার পাশাপাশি টিএসপি, ডিএপি এবং এমওপি সারের ওপর ভর্তুকি দেয়া হবে। সরকার কৃষি পণ্য রফতানির ওপর ৩০ শতাংশ নগদ সহায়তাও অব্যাহত রেখেছে। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে মতে, গ্রামীণ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং কৃষিখাতের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য সরকার ৮ হাজার ৯০ কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে। এছাড়া কৃষকের জন্য কম সুদে ঋণের ব্যবস্থা, ন্যায্যমূল্যে বীজ, সার, কীটনাশক পৌছে দেয়া, কৃষি পণ্যের বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলে ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা, কৃষিপণ্য উৎপাদনের পর সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় কোল্ড স্টোরেজ গড়ে তোলা, স্মল ফার্মার গ্রুপের মাধ্যমে নারীদের কৃষি কার্যক্রমে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা, বড় সেচ ব্যবস্থা সরকারি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা, শস্য বীমা চালুসহ জাতীয় কৃষিনীতি বাস্তবায়ন ও এর প্রয়োগের লক্ষ্যে ৮০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের টার্গেট নিয়েছে। এদিকে বন্যা পরবর্তী কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচিতে সাত লাখ কৃষককে সহায়তা দেয়া হচ্ছে। কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক কৃষককে এক বিঘা জমিতে চাষ বা অন্য কোনো আবাদের জন্য এ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। সহায়তার মধ্যে রয়েছে কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ, কীটনাশক এবং সার সরবরাহ। বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরিচালক জানান, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও কৃষি জমির পরিমাণ হ্রাস পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্যশস্যের চাহিদা পূরণ ও মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে সরকার। গবেষণা করে নতুন নতুন পণ্য উদ্ভাবনের জন্য কৃষি গবেষণাকে সরকার অগ্রাধিকার খাত বিবেচনা করে এ খাতে ৩৫০ কোটি টাকার একটি ফান্ড গঠন করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কৃষি খাতের উৎপাদন বাড়াতে ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে। বাড়ানো হয়েছে কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রাও। চলতি অর্থ বছরের কৃষিঋণ বিতরণে প্রাথমিকভাবে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। বন্যার কারণে কৃষি ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ৩৯০ কোটি টাকা বৃদ্ধি করে ৮ হাজার ৯০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি খাতের আটটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেবে ৬ হাজার ৮৪৪ কোটি টাকা। বেসরকারি খাতের ৩৯টি ব্যাংক দেবে ১ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বুরো পরিচালিত গৃহস্থালি আয়-ব্যয় জরিপের তথ্য অনুযায়ী খাদ্য সামগ্রীর পেছনে বাংলাদেশে ব্যয় হয় মোট ব্যয়ের ৫৩ দশমিক ৮ শতাংশ। গ্রামীণ এলাকার জনগণ মোট ব্যয়ের ৫৮ দশমিক ৫ শতাংশ ব্যয় করে থাকে খাদ্য সামগ্রীর পেছনে। দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে খাদ্য চাহিদাও। অন্যদিকে দেশীয় উৎপাদন কমে যাওয়ায় আমদানি করে পরিস্থিতি কোনো রকম সামাল দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা এভাবে খাদ্য আমদানি করে দেশের চাহিদা মেঠাতে গেলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে বড় ধরনের টান পড়ার আশঙ্কাও করছেন। চাল ও গমের ওপর আমদানি শুল্ক পাচ শতাংশ প্রত্যাহার করেছে সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানির ক্ষেত্রে আমদানিকারকদের সব ধরনের সহায়তা দেয়ার জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয়। এ সহায়তার অংশ হিসেবে এলসি মার্জিন তথা ঋণপত্র খোলার সময় অর্থ পরিশোধের হার যথাসম্ভব স্বল্প হারে ধার্য করার জন্য বলা হয়েছে। ছোট আমদানিকারকদের জন্য সম্মিলিত ঋণপত্র খুলতেও সহযোগিতা করা হয়। তারপরও বাজার দর কমেনি। বর্তমানে দেশে কৃষিপণ্যের এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে, আমদানি করা ছাড়া কোনো পণ্য হাতের নাগালে পাওয়ার উপায় নেই। চাল, ডাল, তেল, শুকনা মরিচ, কাঁচামরিচ, আটা, পেঁয়াজ, রসুন, হলুদ ইত্যাদি এখন আমদানি করে জনগণের চাহিদা মেটাতে হয়। দেশ এমন আমদানিনির্ভর হয়ে পড়বে এমনটি কেউ আশা করেনি। অভিজ্ঞমহলের মতে, ’৮০ পর্যন্ত দেশ এতটা আমদানিনির্ভর ছিল না। তখন যে পণ্য ঘাটতি পড়ত শুধু সেই পণ্যই আমদানি করা হতো। কিন্তু এখন প্রায় সব পণ্য আমদানি না করলে চলে না। মাত্র ২০Ñ৩০ বছরে দেশের এ দুর্দশা কেন হলো। দেশে কৃষক রয়েছে, জমি রয়েছে, কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন রয়েছে, সরকার বছরে বছরে কোটি কোটি টাকা কৃষি খাতে ঢালছে, তারপরও কৃষিপণ্যে টান পড়ে কেন, কেন বিদেশ থেকে পন্য আমদানি করতে হয়। সবার মনের এ প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়, দেশে লোকসংখ্যা বৃদ্ধি, আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাওয়া, কৃষকরা ধান উৎপাদনে জোর দেয়া, বসবাসের জন্য ঘরবাড়ি তৈরিসহ নানা কাজে জমি ব্যবহার করা, কৃষিপণ্য উৎপাদন সরকারের প্রকল্পনির্ভর হয়ে পড়া, সময়মতো সার-বীজ-কৃষিপণ্য, কৃষি উপকরণ না পাওয়া ইত্যাদি কারণে ফলন কমে যায় এবং পণ্যের ঘাটতি পড়ে। আর তখন আমদানি করা ছাড়া উপায় থাকে না। কৃষিপণ্য সরকারি প্রকল্পনির্ভর হয়ে পড়া বিষয়টি জনগণকে ভাবিত করে এজন্য যে, কৃষিপণ্য উৎপাদন করার কাজ কৃষকের। সরকার কৃষিবিজ্ঞানীদের কৃষকদের কাছে পাঠাবে, কৃষককে পরামর্শ দেবে উচ্চতর ও অধিক ফসল উৎপাদনের। এর পরিবর্তে কৃষককুল যদি কৃষিবিজ্ঞানীদের হাতে কোনো কারণবশত জিম্মি হয়ে পড়ে তাহলে উৎপাদন তো ব্যাহত হবেই। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষিপণ্য উৎপাদন সরকারের প্রকল্পনির্ভর হয়ে পড়ছে। প্রকল্পের বাইরে কৃষিবিজ্ঞানীরা কাজ করতে চান না। একটি জরিপে জানা যায়, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৭৬টি প্রকল্পের অনুকূলে ৬৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে ৫৫টি প্রকল্পে ৫৭৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এছাড়াও প্রকল্প রয়েছে, মাটির উর্বরতা ও সার ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, স্মল হোল্ডার কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প, বৃহত্তর সিলেট জেলায় কমলা, আনারস উন্নয়নসহ সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প, নন-মিলজোন আখচাষ জোরদারকরণ প্রকল্প, কৃষি প্রকৌশল প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রকল্পসহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অধীনে ১৯টি প্রকল্প রয়েছে। এ প্রকল্পের বাইরে তেমন কোনো কাজ হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ মূলত একটি কৃষিপ্রধান দেশ। এ দেশের বেশির ভাগ মানুষ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। আবহমানকাল থেকে এ ধারা চলে আসছে। কৃষকদের উৎপাদিত ফসল দিয়ে দেশের জনগণের চাহিদা মেটানো হয়। বিভিন্ন সময়ে সরকার তাদের পরামর্শ ও নানারকম সহযোগিতার কথা বলে এগিয়ে আসে। ধীরে ধীরে এমন ব্যবস্থা গড়ে ওঠে, সরকার বা কৃষিবিভাগের হুকুমনামা ছাড়া কৃষকদের করার কিছু থাকে না। এতে কৃষকদের স্বকীয়তা থাকে না বললেই চলে। ফলে কৃষকরা কৃষিকাজে গাছাড়া দেয় এবং শুধু হুকুম তামিল করে চলে। কৃষকরা তাদের বিভিন্ন অসুবিধার কথা বহুবার বহুরকমভাবে বহু সরকারকে জানিয়েছে কিন্তু তাদের অসুবিধাগুলো দূর করা হয়নি। আমরা মনে করি, কৃষি খাতকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়া উচিত। কৃষি খাতকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে যতœ সহকারে এ খাতের পরিচর্যা করলেই কৃষিপণ্য আর আমদানি নির্ভর হবে না বলে আমাদের বিশ্বাস। গত বন্যায় কৃষি খাতে ক্ষতির পরিমাণ ৫’শ কোটি টাকা: এবারের বন্যায় ৫০০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। অর্থনীতিবীদরা বলেছেন, কৃষিখাতে জিডিপির যে টার্গেট ধরা হয়েছে তা পূরণ হবে না। প্রায় এক মাসের বন্যায় ৩৮টি জেলার ফসলের ক্ষতি হয়েছে। মোট ১১ লাখ ৬৭ হাজার ৫১৮ হেক্টর ফসলী জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে আউশ ১৭ শতাংশ, রোপা আমন ২৫ শতাংশ, ব্রি আমন ৪৮ শতাংশ, সবজি ৪১ শতাংশ, পাট ২৫ শতাংশ, বীজতলা ২০ শতাংশ এবং অন্যান্য ৩১ শতাংশ। এ ছাড়া মৎস্য খাতে ক্ষতি হয়েছে ২০২ কোটি ২৭ লাখ টাকা। পশু সম্পদে ক্ষতি হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। অন্যদিকে বিনামূল্যে বীজ কৃষকদের কাছে বিতরণ করার উদ্দেশ্য সারাদেশে ৫০০ একর উঁচু জমিতে বীজতলা তৈরির কাজ এগিয়ে চলেছে। এর জন্য ব্যয় হবে এক কোটি ৪০ লাখ টাকা। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এক লাখ কৃষককে সাহায্য দেয়া হবে। দেশের মোট জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ২১ শতাংশ। বিশ্ব ব্যাংক সাম্প্রতিক সময়ে একটি রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, এবার জিডিপি ০.২ শতাংশ কমতে পারে। কৃষি খাতে ক্ষতি শুধু এ সেক্টরেরই নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাজার, পরিবহনসহ নানা বিষয়।বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির স্বীকার হয়েছে চর এলাকার মানুষ। আমরা আশাকরি সরকার কৃষক বাচাঁতে সার্বিক ব্যবস্থায় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। কারন কৃষিই পারবে দারিদ্র্যমুক্তির পথ দেখাতে। 
০১৭১১৫৭৯২৬৭
                                                 

0 comments:

Post a Comment