স্মরণ: রবীন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্র রাজনীতি
ড.ফোরকান আলী
রবীন্দ্রনাথ জমিদারের সন্তান হলেও ভোগ-বিলাসের সাথে প্রতিপালিত হয়নি। মানব কল্যাণের সংগ্রামে নিবেদিত তার ক্লান্তিহীন জনমুখী চর্চা লেখনীর শিল্পে তার সুনিষ্ঠ সাধনা এবং আরও অনেক মঙ্গলব্রতে ভৎর্সগীকৃত তার মহা জীবনের অবসান ঘটে ৮০ বছর বয়সে। তিনি দেহান্তরিত হলেও তার জীবৎকাল ছিল প্রচন্ড রাজনৈতিক পরিক্রমার গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তার মৃত্যুতে একটি প্রতিষ্ঠান একটি যুগেরই যেন অবসান ঘটে। বাঙ্গালীর এই কবি তার অভূতপূর্ব প্রতিভা, মহিমাময় সৃজনী শক্তি ও নোবেল পুরস্কারের মাধ্যমে সারা বিশ্বে বাংলা ভাষা ও বাঙ্গালীকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেন। বিশ্ববরেণ্য রবীন্দ্রনাথ ছিলেন রাজনীতিমনস্ক মানুষ, জনকল্যাণ চিন্তা ছিল তার মূল প্রেরণা। যেকোন মানুষের সৃষ্টিশীল প্রতিভা ও মননশীল ব্যক্তিত্বের রাজনৈতিক চিন্তাধারার বহিঃপ্রকাশ ঘটতে পারে দুভাবে। তার সৃষ্টির মাধ্যমে ও তার ব্যক্তিগত জীবনের কর্মকান্ডের ভেতরে। একজন কবির রাজনৈতিক চিন্তাধারার পুরোপুরি প্রতিফলন শুধু যে তার লেখনীর মাধ্যমে ঘটবে তা নয়, তার অন্যান্য কর্মকান্ডের মাধ্যমেও হতে পারে। রবীন্দ্রনাথের রাজনৈতিক চিন্তাধারার সামগ্রীক পরিচয় দুটি সূত্র থেকে পাওয়া। একটি তার সৃষ্টি, অপরটি তার অন্যান্য কর্ম। মানুষ যে পরিবেশে জন্মগ্রহণ করে, যে পরিবারে সে পরিবর্ধিত ও প্রতিপালিত হয়। সে সমাজের সার্বিক চরিত্র তার মধ্যে সংক্রামিত ও সংজোযিত হয়। তারপরেও প্রতিভাবান পুরুষ তার পরিবেশের উর্ধে যেতে পারেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন সেটি উপমহাদেশের রাজনীতি সচেতন সংস্কৃতিবান পরিবার গুলোর অন্যতম। জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পর যৌবনেই রবীন্দ্রনাথ এই সংগঠনের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসেন। উনিশ শতকের ৮০র দশকে কংগ্রেস সম্মেলনে তিনি “আমরা মিলেছি আজ মায়ের ডাকে” সংগীতটি পরিবেশন করেন। ১৮৯৩-৯৪ সালে ৩২ বছর বয়সে এক রাজনৈতিক সামাজিক সম্মেলনে তিনি “ইংরেজ ও ভারতবাসী” প্রবন্ধটি পাঠ করেন। ১৮৯৫-৯৬ সালে সরেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বলেন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বদেশী শিল্পোদ্যোগে সাড়া দিয়ে তাদের নানা সাহায্য সহযোগিতা করেন। এই সময়ই “অয়ি ভুবনমনোমোহনী” জাতীয় সংগীত রচনা করেন। ১৮৯৭ তে নাটোরে অনুষ্ঠিত প্রাদেশিক সম্মেলনে তিনি যোগ দিয়েছিলেন। পরের বছর ঝবফরঃরড়হ অপঃ এর প্রতিবাদে কলকাতা টাউন হলে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক সভায় “কণ্ঠরোধ” প্রবন্ধ পাঠ করেন। রবীন্দ্রনাথের রাজনীতি তার সমাজনীতি থেকে বিছিন্ন নয়। ১৮৯৯ সালে কলকাতায় প্লেগ মহামারীর রূপ নিলে সে সময় ভগিনী নিবেদিতা ও অন্যান্য সমাজকর্মীর সঙ্গে কবিও সেবাকাজে সহযোগিতা করেন।
১৯০৪ সালে কবি টাউন হলে “শিবাজী উৎসব” পাঠ করেন এবং লেখেন প্রবন্ধ ‘স্বদেশী সমাজ’। পরের বছর ১৯০৫-এ বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে অন্যান্য হিন্দু জাতীয়বাদী নেতার সঙ্গে অসামান্য উদ্দীপনাসহ অংশগ্রহণ করেন। এই সময় তিনি দেশ প্রেমমূলক বহু সংগীত রচনা করেন। যা তার স্বদেশ প্রেম ও রাজনীতি সচেতনতার পরিচয় ধরে রেখেছে। “আত্ম শক্তি” “স্বদেশ” প্রভৃতি এই সময়ই রচিত। তাছাড়া এই সময় নানা জায়গায় রাজনৈতিক-সামাজিক সম্মেলনে তিনি বক্তৃতা করেন। দেশপ্রেম ও রাজনীতি পরস্পর অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত। এই শতকের প্রথম দশকে রবীন্দ্রনাথ সমাজ-সেবা ও রাজনীতিতে বিশেষভাবে নিয়োজিত থাকায় তার রাজনীতি বিষয়ক রচনা “ব্যাধি ও প্রতিকার” “পথ ও পাথেয়” “রাজা-প্রজা” “সমাজ” “শিক্ষা” প্রভৃতি রচিত হয়। ১৯১১ সালে কংগ্রেস অধিবেশনে পরিবশেন করেন “জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে”। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দশকটি কবির জন্য বিশেষভাবে সৃষ্টিশীল সময়। তার দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত হতে থাকে দিগন্ত থেকে দিগন্তে। ১৯১৭ সালে জাপানের উগ্র জাতীয়তাবাদের নিন্দা ধ্বনিত হয় কবির কণ্ঠে। “জাতীয়তা” বিষয়ে আমেরিকায় বক্তৃতা দেন। বিহারের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রেক্ষিতে লেখেন “ছোটো ও বড়”।
১৯১৯ সালের ৩০ মে জালিয়ান ওয়ালাবাগ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে, কয়েক সপ্তাহ পরে হলেও তিনি “নাইট” খেতাব ত্যাগ করেন। ১৯২৪ সালে রবীন্দ্রনাথ চীনে ও ১৯২৬ সালে ইতালী সফর করেন। ইতালীতে ফ্যাসিবাদীদের স্বরূপ সম্পর্কে সম্যক ধারণা জন্মাবার সঙ্গে সঙ্গে “ম্যানচেষ্টার গার্ডিয়ান” এ চিঠি লিখে কবি ফ্যাসিবাদের প্রতিবাদ করেন।
১৯৩০ সালে রবীন্দ্রনাথ রাশিয়া সফরে যান। সেখানে সমাজতান্ত্রিক সরকারের কর্মসূচি দেখে মুগ্ধ হন। যা তার “রাশিয়ার চিঠি” তে বর্ণিত হয়েছে। রাজনীতির প্রভাব মানবজীবনের উপর কতটা প্রবল সে সম্পর্কে তার নতুন করে ধারণা হয়। খেটে খাওয়া মানুষের-কৃষকের ও শ্রমিকের-জীবনের দিকে তাকাবার প্রয়োজনীয়তা তিনি উপলব্ধি করেন। তাই তাকে বলতে দেখা যায় “বহুকাল থেকেই আশা করেছিলেন আমাদের জমিদারি যেন আমাদের প্রজাদেরই জমিদারি হয়- আমরা যেন ট্রাষ্টির মত থাকি”। যাই হোক, শেষ পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ তার শ্রেণীবৃত্তের বাইরে আসবার সুযোগ পাননি।
রবীন্দ্র জীবনের প্রতি সামগ্রীকভাবে দৃষ্টিপাত করলে লক্ষ্য করা যাবে যে, তিনি শুধু অতি সজ্জল ও একজন ভালো মানুষই ছিলেন না বাস্তব ও বৈষয়িক জ্ঞানও ছিলো তাঁর অতি প্রখর। এদেশবাসীর প্রতি ইংরেজদের হৃদয়হীনতায় কখনো কখনো তিনি ব্যথিত বা ক্ষুব্ধ হলেও তাদের ভালোত্বের প্রতিও যেন তিনি ছিলেন বিশ্বাসে অবিচল। ইংরেজরা এদেশ ছেড়ে যাবেই, এটা তার বুঝতে যেমন অসুবিধা হয়নি, তেমনি তারা গেলে “দেশটা চলবে কিভাবে” এমন একটা অসহায় বোধ যেন তাকে শঙ্কিত করেছে। এ জন্যেই তিনি ইংরেজদের দোষারোপ করার চেয়ে নিজেদের যোগ্যতা অর্জনের উপরই জোর দিয়েছিলেন বেশি।
চিরকাল ভারতবর্ষ ভারতের অধিবাসীদের দ্বারাই শাসিত হয়নি, যুগে যুগে এদেশে বহিরাগত শক্তির বা শত্রুর আবির্ভাব ঘটেছে। আর্যরা এদেশে প্রথম তারপর শক, হূন, পাঠান, মুঘল প্রভৃতি শাসকরা বাইরে থেকে এসেছে। কিন্তু তারা বাইরে থেকে এসে এখানেই থেকে গেছে। পাঠান বা মুঘলরা এ দেশের সম্পদ লুন্ঠন করে তাদের পূর্ব পুরুষদের দেশে পাচার করেনি এদেশের সম্পদ এদেশেই ব্যয় করেছে। আর্যরাও এখানে এসে এ দেশীয় হয়েই থেকে যায়। কিন্তু সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী বিদেশী শাসক ব্রিটিশ রাজ ইংরেজরা এদেশের কেউ নয়। তাদের স্থায়ী ঠিকানা ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ। তাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল নিপীড়নের মাধ্যমে ভারতবর্ষের সম্পদ লুন্ঠন করে তাদের নিজেদের দেশকে সমৃদ্ধ করা। ইংরেজরা ভারতবাসীর প্রধান ও একমাত্র শত্রু হওয়া সত্ত্বেও শব্দ প্রয়োগে অতি সর্তক রবীন্দ্রনাথকে যখন বলতে শুনি-
এসো হে আর্য এসে অনার্য,
হিন্দু মুসলমান।
এসো এসো আজ তুমি ইংরেজ
এসো এসো খৃস্টান।
তিনি যতোই নমনীয়তা প্রর্দশন করুন না কেন ব্রিটিশ সরকারের প্রীতিভাজন ছিলেন না রবীন্দ্রানাথ। সরকার তাকে ঠিকই এবং সংগত কারণেই সন্দেহের চোখে দেখত। ভারতবর্ষে যেসব প্রভাবশালী ও খ্যাতিমান ব্যক্তি সরকার বিরোধীদের সঙ্গে সংশ্রব রাখতেন রবীন্দ্রনাথ ছিলেন তাদের একজন। ১৯০৯ সালের জুলাই মাসে সরকার গোয়েন্দা পুলিশকে যে বাইশ জন বিশিষ্ট ব্যাক্তির গতিবিধির উপর নজর রাখার গোপন নির্দেশ জারি করে তাদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথের নামও ছিলো।
রবীন্দ্রনাথের জীবনের শেষ পয়ষট্টি বছরের রাজনৈতিক কর্মকান্ড পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে তিনি বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় যতখানি আলোচিত হয়ে প্রবলভাবে রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ করেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন প্রাসাদ থেকে পথের মানুষের পাশে নেমে আসেন, জীবনে আর কোনদিন তেমনি করেননি।
ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে ও ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামে ১৮৫৭ থেকে ১৯৪৭ পর্যন্ত সংখ্যাহীন ব্যক্তির আত্মত্যাগের পরিমাণ এতোই বেশি যে তার পাশে রবীন্দ্রনাথের স্যার উপাধি ত্যাগ করার প্রসঙ্গটি অতি সামান্য। ভারতের স্বাধীনতার জন্য নিজের সর্বস্ব বিসর্জন দিয়েছেন, যারা জীবন পর্যন্ত দান করেছেন তাদের অধিকাংশের নাম আজকের প্রজন্মের বিপুল সংখ্যক মানুষ জানে না। অথচ বিশ্ব বিখ্যাত কবির এই স্যার বর্জনের ব্যাপারটি বারংবার তার আলোচক ও অনুরাগীদের মুখে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয়ে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ যেন তা অবিস্মরণীয় ত্যাগ স্বীকার। একটি পৈশাচিক অন্যায়ের প্রতিবাদে দেশবসীর দুঃখের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে তিনি যা করেছেন তা প্রশংসনীয়। রবীন্দ্রনাথ হতভাগ্য মানুষের পাশে নেমে না দাঁডালেও তাদের বেদনায় বেদনার্ত হয়ে ছিলেন তার মূল্যও অল্প নয়। ত্যাগ ও আত্মত্যাগের পরিমাণ আছে। একটি চরম নিষ্ঠুর প্রতিবাদে একটি খেতাব ফিরিয়ে দেয়া বিশাল কোন ত্যাগ নয়। তবে সেটি প্রত্যাখান করেছেন সেটিই অপেক্ষাকৃত বড় ত্যাগ ও অনমনীয়তার উদাহরণ। ১৯২৬ সালে তাকে একবার এ ব্যাপারে জবাবদিহি করতে হয়েছিল। তখন কবি বলেছিলেন আত্মাভিমান নয়, রাজকীয় খেতাবের প্রতি অবজ্ঞাও নয়, জালিয়ানওয়ালাবাগের নারকীয় হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে তার নৈতিক ক্রোধ প্রকাশ করার জন্যই তিনি খেতাব বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন।
রবীন্দ্রনাথের খেতাব বর্জনের মত ঐতিহাসিক তাৎপর্যমন্ডিত ঘটনাকে সেকালের কংগ্রেস নেতারাও বিশেষ গুরুত্ব দেননি, সে জন্যেও রবীন্দ্র ভক্তদের অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ১৯১৫ সালে যখন সম্রাটের জন্মদিনে রবীন্দ্রনাথকে “নাইট হুড” বা “স্যার” খেতাব প্রদান করা হয় তখন ভারতের বহু জাতীয়তাবাদী নেতা ও সাংস্কৃতিক কর্মী অসন্তষ্ট হয়েছিলেন। আমার এখানে এ প্রসঙ্গ উত্থাপন করার উদ্দেশ্য রবীন্দ্রনাথকে ছোট বা সমালোচনা করা নয়। আমাদের দেশের অনেক আলোচকের ছোট বিষয়কে নিস্প্রয়োজনে বড় করে প্রচার করার প্রবণতার প্রতি ঈঙ্গিত করা মাত্র। রবীন্দ্রনাথ সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি কবি ও শিল্পী। একজন শ্রেষ্ঠ চিন্তাবিদ হিসাবে তাকে রাজনীতির প্রসঙ্গে কথা বলতেই হয়েছে। একজন দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী হিসাবে তাকে বিভিন্ন জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে অন্যান্যের সঙ্গে অংশ গ্রহণ করতে হয়েছে। রাজনীতির গতিবিধি নিয়ন্ত্রন করার দায়িত্ব রাজনীতিবিদদের। রাজনৈতিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবার দায়িত্বও রাজনৈতিক নেতাদের। রবীন্দ্রনাথ পারতেন শুধু তার অবস্থান থেকে তাদের কাজে সাহায্য সহযোগিতা বা বিরোধিতা করতে।
প্রখর রাজনীতি সচেতন ব্যাক্তি হিসাবে রবীন্দ্রনাথ তার কালের প্রধান রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগ রেখেছেন। উল্লেখ্য যে, রাজনীতির প্রধান দুটি ধারা একটি প্রকাশ্য নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি, অন্যটি গোপন হিংসাত্মক রাজনীতি। আমৃত্যু রবীন্দ্র্র্র্রনাথের এই দুই ধারার নেতাদের সঙ্গে কমবেশি সৌহার্দ ও যোগাযোগ ছিল।
রবীন্দ্রনাথের সমসাময়িক সর্বভারতীয় নেতাদের মধ্যে গান্ধী, তিলক, জিন্নাহ, গোখলে, মালব্য, চিওরঞ্জন, অরবিন্দ, মতিলাল ও জওহরলাল নেহেরু, বিপিন পাল, যতীন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায়, সবেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়, দাদাভাই, নওরোজী, প্যাটেল, সুভাষ চন্দ্র, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, ফজলুল হক প্রমুখের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। যদিও এদের সকলের চিন্তাধারা ও কর্মকান্ডে কবির সমর্থন ছিল না।
লেখক: গবেষক ও সাবেক অধ্যক্ষ
০১৭১১৫৭৯২৬৭
0 comments:
Post a Comment