Saturday, December 28, 2013

চীনের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি ঃ যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের উদ্বেগ

চীনের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি ঃ যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের উদ্বেগ

ড.ফোরকান আলী
কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে চীন তার সামরিক শক্তি বাড়িয়ে চলছে।, পেন্টাগনের এক প্রতিবেদনে এমনই দাবি করে বলা হয়েছে। বেইজিং গোপনে ভূমি থেকে উৎপেণযোগ্য পেণাস্ত্রের আধুনিকীকরণ এবং সাবমেরিন শক্তি ও পরমাণু সম্ভার সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের কাছে বর্তমানে ১৫০টি স্বল্প পাল্লার এবং অজ্ঞাতসংখ্যক মাঝারি পাল্লার ব্যালিটিক পেণাস্ত্র রয়েছে। চীনের ব্যালিটিক ও ক্রুজ পেণাস্ত্র বিশ্বের সর্বাধুনিক ও কার্যকর প্রযুক্তিসম্পন্ন। তাদের কাছে পেণাস্ত্রবিধ্বংসী প্রযুক্তিও রয়েছে। চীন ৯০০ মাইল দূরে থাকা রণতরীকে আঘাত করতে সম, এমন পেণাস্ত্র নির্মাণেরও চেষ্টা চালাচ্ছে। আরো বলা হয়েছে, এই ধরনের পেণাস্ত্র তৈরি করতে সম হলে চীন পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে থাকা মার্কিন যুদ্ধজাহাজ অথবা বিমানবাহী রণতরীকে আঘাত হানতে সম হবে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো, হাইনান দ্বীপে চীন নৌঘাঁটি গড়ে তুলছে। এর নির্মাণকাজ শেষের পথে। এটি চালু হলে প্রধান ও প্রাচীনতম আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথে চীনের অবাধ বিচরণ হবে সহজ এবং চীন যেকোনো সময় গোপনে ওই অঞ্চলে তাদের সাবমেরিন মোতায়েন করতে সম হবে।
মার্কিন সামরিক বিশ্লেষকরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, চীন ডংফেং পেণাস্ত্রের নতুন সংস্করণ তৈরি করেছে, যা মার্কিন নৌবহরের কঠিন প্রতিরা ব্যূহ ভেদ করতে সম। এই পেণাস্ত্র চীনের জলসীমা থেকে ২০ হাজার কিলোমিটার দূরের ল্যবস্তুতেও আঘাত হানতে পারবে। চীনের সামরিক ব্যয় বিপুল বৃদ্ধি এবং সামরিক বাহিনীর দ্রুত আধুনিকীকরণে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ একক পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি অবস্থান করার যোগ্যতা আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় অর্জন করতে চলেছে চীন ।
চীনা কমিউনিট পার্টির মুখপত্র পিপলস ডেইলি এক মন্তব্য প্রতিবেদনে লিখেছে, চীনকে রণতরী ধ্বংস করার মতা আয়ত্ত করতে হবে। প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন নৌশক্তির মোকাবেলায় জঙ্গি বিমানবাহী রণতরীবিধ্বংসী পেণাস্ত্র তৈরি করতে হবে। যেহেতু প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন রণতরীর উপস্থিতি চীনা স্বার্থের জন্য হুমকি, সেহেতু রণতরী ধ্বংস করার অস্ত্র বানাতে হবে। এই মন্তব্য এমন এক সময়ে প্রকাশিত হলো, যখন পেন্টাগন চীনের সামরিক প্রস্তুতি নিয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেছে।
অন্য দিকে ভারত-চীন সীমান্তসংলগ্ন অরুণাচলে উচ্চপ্রযুক্তিসম্পন্ন দূরপাল্লার সিএসএস-৫ পেণাস্ত্র মোতায়েন করেছে চীন। ভারত-চীন সীমান্ত এলাকায় সড়ক ও রেল যোগাযোগ নির্মাণসহ ব্যাপক অবকাঠামোগত কার্যক্রমও চলছে। আঞ্চলিক প্রতিরাব্যবস্থা জোরদার করতে চীন পরমাণু বোমা বহনে সম মাঝারি পাল্লার সিএসএস-৩ এর জায়গায় দূরপাল্লার সিএসএস-৫ পেণাস্ত্র মোতায়েন করল। ভারত ও চীনের মধ্যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হলেও চীন-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা রয়েছে। উভয় দেশের সৈন্যরা সীমান্ত এলাকায় আক্রমণাÍক মনোভাব নিয়ে টহল দেয়। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং চীনের সার্বিক সামরিক প্রস্তুতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, চীন এশিয়ায় আঞ্চলিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় মরিয়া হয়ে উঠেছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ায় তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘আমাদের উপলব্ধি করতে হবে, চীন দণি এশিয়ায় একটি জায়গা করে নিতে চাইছে। এ ব্যাপারে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। দেশটি কোন পথে এগোবে তা বোঝা মুশকিল। তাই গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। এ কাজে ভারসাম্য বজায় রাখতে চীন পাকিস্তানের সাথে বিরোধপূর্ণ কাশ্মীরকে ব্যবহার করতে পারে।’ এ বিষয়ে বেইজিংয়ের ভারত-চীন বিশেষজ্ঞ ঝও গনচেং বলেন, বাস্তবতা হলো, দীর্ঘকাল ধরে দেশ দু’টির মধ্যে সমস্যা আছে। কিন্তু নিজেদের বৃহত্তর স্বার্থে এসব সমস্যায় গুরুত্ব দেয়া উচিত নয়। অন্য দিকে সেন্টার ফর ইট এশিয়ান টাডিজের চেয়ারম্যান শ্রীকান্ত কন্দোপালি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মনে করেছেন ভারতের সার্বভৌমত্ব তিগ্রস্ত করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে চীন। এ দিকে ভারতও নিজস্ব নিরাপত্তা জোরদার করতে চীন সীমান্তে বড় আকারে সৈন্য সমাবেশ করতে যাচ্ছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, প্রতিরা মন্ত্রণালয় চীন সীমান্তে দ পাহাড়ি সেনাদল এবং দু’টি স্বতন্ত্র ব্রিগেড মোতায়েনের প্রস্তাব দিয়েছে। নিরাপত্তাবিষয়ক ভারতীয় কেবিনেট কমিটি এ প্রস্তাব বিবেচনা করছে। ভারতীয় প্রতিরা বিভাগের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রস্তাবটি চীনের সামরিক শক্তির সমপর্যায়ে পৌঁছার ল্েয ভারতের দূরদর্শী পরিকল্পনারই অংশ।’ অতিরিক্ত প্রতিরা ব্যূহ নির্মাণের এই প্রস্তাবে আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার কোটি রুপি। সশস্ত্র ব্রিগেড দু’টির একটি লাদাখে, অন্যটিকে উত্তরখণ্ডে মোতায়েন করা হবে। যে দু’টি স্বতন্ত্র ব্রিগেড গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে তার একটি লাদাখে মোতায়েন করার পেছনে স্বাধীনতাকামী কাশ্মিরীদের জন্য সতর্কবার্তা রয়েছে। সামরিক প্রস্তুতির জের ধরেই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী চীনের আঞ্চলিক শক্তি ও আধিপত্য বিস্তারের কথা তুলেছেন। দণি এশিয়ায় জায়গা করে নেয়ার মতো চীনের শক্তি রয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ চীন আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত রাখতে চায়। তা ছাড়া দণি এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জনে চীনের বিশেষ ভূমিকা শান্তিকামী প্রতিবেশী দেশগুলোরই কাম্য। চীনের নাকের ডগায় বসে যুক্তরাষ্ট্র দণি এশিয়া ও তৎসংলগ্ন এলাকায় যেভাবে সামরিক শক্তি বাড়িয়ে চলেছে, তা মেনে নেয়া যায় না। এই অযৌক্তিক শক্তি বৃদ্ধি চীনকে দ্রুত শক্তি অর্জনের দিকে ঠেলে দিয়েছে। চীন সামরিক কৌশল বদলাতে শুরু করেছে এবং ঠাণ্ডা লড়াই চলছে দুই বৃহৎ শক্তির মাঝে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের লেজুড়বৃত্তি করতে গিয়ে ভারত এই অঞ্চলে সামরিক শক্তি ও উপস্থিতি বাড়িয়ে চলেছে। দরিদ্র দেশ হিসেবে তা যে বুমেরাং হবে না, তার কি নিশ্চয়তা আছে?
ভারত চীনের সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে যে সমর প্রস্তুতির কথা বিবেচনা করছে, তাতে সে কতটুকু সফল হবে, তা অনিশ্চিত। চীন বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি। চীন হঠাৎ শক্তি প্রতিযোগিতায় নামেনি। সে ব্যালিটিক পেণাস্ত্র ও মিসাইল টেকনোলজি আগেই আয়ত্ত করেছে। বৃহৎ শক্তি হিসেবে চীনের ভূমিকা গঠনমূলক। যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদী নীতির বিপরীতে চীন বরাবরই বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জনের ল্েয কাজ করে চলেছে। ইরাক ইরান আফগানিস্তান ফিলিস্তিন ইস্যুতে চীন তার বৈশিষ্ট্য নিয়েই রাজনীতিতে ভূমিকা রাখছে। চীন জাতীয় স্বার্থ সংরণ এবং বিশ্ব বাণিজ্যের নিরাপত্তার ল্েয সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করাই স্বাভাবিক। সারা বিশ্বের মোড়লিপনা যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিয়ে তৃতীয় বিশ্বের কোনো দেশই আজ নিরাপদ নয়। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বব্যাপী কর্তৃত্ব করার চিন্তাধারাই চীনের শক্তি অর্জনের উৎস। যুক্তরাষ্ট্রের শক্তির কারণে পৃথিবী ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। প্রয়োজন বিকল্প শক্তির উত্থান। আর চীনই বিকল্প শক্তি হিসেবে তৃতীয় বিশ্বের পাশে দাঁড়ানোর যোগ্যতা রাখে। বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে চীনের দ্বিতীয় পরাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠার খুব বেশি দেরি নেই। খোদ যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা, আগামী ১০-১৫ বছরেই এমনটা হতে যাচ্ছে। পারমাণবিক ও প্রতিরা চুক্তির প্রোপটে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত পার্টনার। চীনের সামরিক উত্থানের প্রোপটে যুক্তরাষ্ট্র দণি এশিয়ার মোড়লিপনার দায়িত্ব ভারতের হাতে ন্যস্ত করতে আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে চীনের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে ভারতকে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ও সামরিক সাজসরঞ্জাম সরবরাহের জন্য চুক্তিও করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারত তার বিমানবাহিনীর আধুনিকীকরণে বিশাল বাজেট ও ল্যমাত্রা স্থির করেছে। ভারতের নিরাপত্তার অজুহাতে পাকিস্তান, কাশ্মীর, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশসহ পুরো অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হাসিলের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা রয়েছে। দণি এশিয়ার সার্বিক নিয়ন্ত্রণ ভারত তার হাতে তুলে নিতে আগ্রহী এবং সেই বিবেচনায় সামরিক প্রস্তুতি নিয়ে আগাচ্ছে। গোয়াদর সমুদ্রবন্দর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মাত্রাতিরিক্ত আগ্রহ এখন পষ্ট। যুক্তরাষ্ট্র এখানে বসেই ইরান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান এমনকি চীনের ওপরও নজরদারি ও খবরদারি করতে সম হবে। তাই সে এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টিতে ব্যস্ত, যাতে পুরো এলাকার নিয়ন্ত্রণ চলে আসবে তার হাতে।
চীনের রয়েছে নিজস্ব প্রযুক্তি, অর্থ ও দ জনবল। তাই তার জন্য রাজনৈতিক সিদ্ধান্তই যথেষ্ট কিন্তু ভারতের সে অবস্থান নেই। অর্থ ও দ জনবলে ভারত চীনের তুলনায় অনেক পিছিয়ে। এই বাস্তবতা মেনে নিয়েই ভারতকে তার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে। ভারতের অস্ত্র প্রতিযোগিতা এশিয়ার এই অঞ্চলকে ঝুঁকিপূর্ণ করে ফেলবে। চীন দেখতে পাচ্ছে, দণি এশিয়ার জায়গা করে নেয়ার েেত্র ভারতের আগ্রহের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের সার্বিক সাহায্য ও সমর্থন রয়েছে। এটা দণি এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অবস্থানকে জোরদার করবে এবং ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে আঞ্চলিক ও ভূরাজনীতিতে। সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তান, ইরান, আফগানিস্তানের ওপর নিয়ন্ত্রণ জোরদার করতে সম হবে। অন্য দিকে চীনকেও বিপদে ফেলতে পারবে।
দুই বৃহৎ শক্তির এই লড়াইয়ে ভারতের জায়গা করে নেয়ার আগ্রহ ও প্রস্তুতির প্রোপটে বাংলাদেশের কৌশলগত ভূমিকা কী হওয়া উচিত, তা ভেবে দেখা প্রয়োজন। প্রতিবেশীর অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তপে করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার েেত্র ভারতের ‘অনন্য’ ভূমিকা রয়েছে। দণি এশিয়ায় রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিতে ভারতের ভূমিকা কখনো সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। এভাবে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে ভারত দণি এশিয়ায় প্রভাব বিস্তারের খেলায় মত্ত। ‘বাঁচো এবং বাঁচতে দাও’ নীতির আলোকে ভারতের পররাষ্ট্র নীতি পরিচালিত হলে প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে তার সমস্যা হওয়ার কথা নয়। সমস্যা হলো চাণক্য রাজনীতি। ভারত ছলে বলে কৌশলে শুধু আদায় করে নিতে অভ্যস্ত। দেয়ার বেলায় শুধু প্রতিশ্র“তিকে যথেষ্ট মনে করে থাকে। প্রতিবেশী দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তপে ও তাদের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণের কৌশল ভারতকে ত্যাগ করতে হবে। তা হলেই এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। বাংলাদেশের অবস্থান হতে হবে সতর্কতামূলক। ভারতের ঝুলিতে সবকিছু উজাড় করে দেয়ার বর্তমান পলিসি চীনকে ুব্ধ করতে পারে। তখন ুদ্র দেশ হিসেবে বাংলাদেশের স্বার্থ বিপন্ন হবে। পূর্বমুখী কূটনীতি এবং চীনের সাথে সরাসরি রেলসড়ক যোগাযোগ উন্নয়নের মাধ্যমে বাণিজ্য প্রসারের সুযোগ আছে। তার সদ্ব্যবহার বর্তমান সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ জন্য সরকারকে সব কিছুই করতে হবে। চট্টগ্রাম গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে চীনের আগ্রহকে যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে।




0 comments:

Post a Comment