ড্রাগ-সন্ত্রাস
আলী ফোরকান
সুস্থ সমাজ ব্যবস্থা ও সমাজিক কাঠামো না থাকার জন্যই তরুণরা আজ মাদক সেবন করছে। সুস্থ সমাজ ব্যবস্থা যদি থাকতো তাহলে আজ আর মাদকাসক্ত বা মাদক সেবনকারী বিষয়টি আসতো না। তরুণ বা যুবকদের আজ বিপথগামিতার কারণ যদি চিহ্নিত করতে যাই তাহলে বলতে হয় সামাজিক নিয়মনীতির বৈষম্য। স্বাধীনতার প্রায় চার যুগ পেরিয়ে গেলেও বৈষম্যের হার কিন্তু কমছে না বরং বাড়ছে। আর এজন্য এ সমাজের তরুণরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। বলতে গেলে প্রথমত নৈতিক শিক্ষার অভাব ও মাদকদ্রব্যের সহজপ্রাপ্তি। এর ফলে উঠতি বয়সের যুবকরা মাদক সেবনে আগ্রহী হয়ে উঠছে। শুধু তাই নয়, উত্তরাঞ্চলে অভাবী মানুষের সংখ্যা বেশি। এসব অভাবী পরিবারের সন্তানরা লেখাপড়া শেষ করে উচ্চশিক্ষিত হয়ে যখন ঘরে বসে থাকে তখন বেতারত্বের অভিশাপ তাদের বিষফোঁড়ার মতো হয়ে দাঁড়ায়। তখন এসব যুবক সবকিছু ভুলে থাকতে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। এছাড়াও অসৎ সঙ্গ ও পারিবারিক বিড়ম্বনাও অনেকাংশে দায়ী। এ ভয়ঙ্কর থাবা থেকে পরিত্রাণের পথ খুঁজতে হবে। পিতামাতার পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকেও সজাগ থাকতে হবে। কারন,তরুণরা নেশায় আক্রান্ত হওয়ার প্রথম কারণ হচ্ছে খারাপ সঙ্গ। প্রচলিত প্রবাদেই রয়েছে : ‘সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ’। এছাড়াও দ্বিতীয় যে কারণটি তা হচ্ছে পারিবারিকভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব না থাকা। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, একটি পরিবারের মধ্যে কোনো তরুণ ছেলের সঙ্গে মনোমালিন্যের ঘটনা ঘটলেই বিভিন্ন প্রকার মাদক সেবন করে মনের অস্থিরতা দূর করার চেষ্টা করে। তবে এর শুরু হয় স্বাভাবিকভাবে নেয়া ২/৩ টাকার সিগারেট থেকে। এভাবেই এক সময় তরুণরা ধীরে-ধীরে ঝুঁকে পড়ে মাদক সেবনে। এছাড়াও সন্তানদের হাতে অতিরিক্ত টাকা তুলে দেয়ার ফলে উচ্চাভিলাষী সন্তানরা মাদক গ্রহণ করার প্রয়াস পায়। আর এর জন্য দায়ী অসচেতন পরিবারের কর্তারা।
0 comments:
Post a Comment