Monday, August 15, 2016

মাদক: কাঁঠাল মিষ্টি কুমড়া পেঁপে সমাচার

মাদক:  কাঁঠাল মিষ্টি কুমড়া পেঁপে সমাচার
আলী ফোরকান
মাদক পাচারে কাঁঠাল, পেঁপে , মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদি ব্যবহার করা হচ্ছে। যাত্রীবাহী লাক্সারিয়াস পরিবহনে মাদক পাচারের ক্ষেত্রে চোরাচালানীরা তাদের কৌশল পাল্টিয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম আঞ্চলিক টাস্কফোর্সের সভায় এসব বিষয় আলোচিত হয়। জানা যায়, ইদানীং প্রায়ই কক্সবাজারগামী যাত্রীবাহী পরিবহনে ইয়বা, হেরোইনসহ নানা রকমের মাদক আটক করা হচ্ছে। কিন্তু মাদকের মালিকানা কেউ স্বীকার করছে না। আর আটককৃত মাদকদ্রব্য অধিকাংশই কাঁঠাল, পেঁপে , মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদিতে তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া যাচ্ছে। তবে এসব খাদ্যপণ্যের ভেতর দিয়ে যেসব মাদক পাচার করা হচ্ছে, তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গাড়ির ড্রাইভার ও হেলপার জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছে জেলা টাস্কফোর্সসহ চোরাচালান প্রতিরোধক বিভিন্ন সংস্থা। টাস্কফোর্সের সভায় আরো জানানো হয়, বর্তমানে গাড়ির নাম্বার প্লেট এমন অস্পষ্টভাবে স্থাপন করা হয়, যাতে রাতের বেলা দেখা না যায়। এছাড়া গাড়ির নাম্বার প্লেটের পাশে পর্যাপ্ত বাতি বা আলো রাখা হয় না। ফলে রাতের বেলা গাড়িগুলো সনাক্ত করা সম্ভব হয় না। এছাড়া সভাতে অভিযোগ করা হয়, সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বিডিআর সদস্যরা একটি ট্রেনে তল্লাশি অভিযান চালায়। কিন্তু অভিযান চলাকালে দুই থেকে তিন মিনিটের মধ্যেই ট্রেন স্টেশন ছেড়ে দেয়। ফলে অভিযান সম্পন্ন করার পরিবর্তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে বিডিআর সদস্যদের নামতে হয়েছে। এ ধরনের ঘটনায় রেলের এক শ্রেণীর কর্মকর্তার যোগসাজশ রয়েছে বলে সভায় অভিযোগ করা হয়। চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিস্তারিত আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, যাত্রীবাহী পরিবহনের মাধ্যমে মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করতে হবে। প্রয়োজনে আইনানুযায়ী যাত্রীবাহী বাস, বাসের চালক ও শ্রমিক এবং সহায়তাকারীদের গ্রেফতার করে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। তবে এ ধরনের অভিযয়ান পরিচালনাকালে যাত্রীরা যাতে হয়রানির শিকার না হন, সেজন্য বিকল্প পরিবহনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এছাড়া রাতের বেলায় গাড়ির নাম্বার প্লেট দৃশ্যমান না হলে সংশ্লিষ্ট গাড়ির মালিকদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। চোরাচালানের মাধ্যমে যে পণ্য সাগ্রমী দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ইয়বা,ফেনসিডিল, কাঠ, গুঁড়োদুধ, লবণ, গরু, ব্যাটারী, মোটর সাইকেল, বাইসাইকেল, বিয়ার, মোবাইল সেট ইত্যাদি। আর বাংলাদেশ থেকে যেসব পণ্য পাচার হয়ে যায় সেগুলোর মধ্যে জ্বালানি তেল, ভোজ্য তেল, সার, সিমেন্ট, চা-পাতা, ঔষধ, অডিও/ভিডিও, ক্যাসেট, সিডি, মাছ, থানকাপড়, মরিচ, ডাল ইত্যাদি। 

0 comments:

Post a Comment