Tuesday, July 5, 2016

দ্বিতীয় হাসনাহেনা

পাগলা হাওয়া -২

দ্বিতীয় হাসনাহেনা
নির্ভয়ের স্ত্রীর মৃত্যু দলের জন্য একটা হঠাৎ বিপর্যয় ডেকে আনে। রিনে নির্ভয় ছিল প্রাণ রসে ভরপুর একজন মানুষ। দলের সবাই তাকে পছন্দ করতো - যদিও সে দলের কেউ ছিল না। তবে দলের নানা অনুষ্ঠানে উৎসবে পার্বণে তার অংশগ্রহন ছিল অনিবার্য। রিনে গান গাইতো না কিন্তু তার গানের গলা ছিল মনে রাখার মতো। দলের প্রযোজনে সে দু একটা নাটকে গানের নির্দেশনা দিয়েছিল। নির্ভয় চলমান দুটি নাটকে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে। মঞ্চে দারুন সফল একজন অভিনয় শিল্পী নির্ভয়। ইলেক্টনিক্স মিডিয়ায়ও অসম্ভব জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালি শিল্পী সে। মানুষ হিসেবে সবার কাছে গ্রহনযোগ্যতা অর্জন করেছে এই তুমুল প্রতিযোগিতার কালে। মঞ্চ আর টিভি পর্দায় সমান ক্রিয়াশিল। নির্ভয় ব্যক্তি জীবনেও দায়িত্বশীল। স্ত্রী রিনে আর একমাত্র কন্যা টপি কে নিয়ে পরম সুখের সংসার তার। হঠাৎ অসুস্থ হলো রিনে। শুরুতে ভীষন জ্বর। শরীরে শক্তি পায় না- দুর্বল। জ্বালা পোড়া করে শরীর। স্থানীয় নরমাল ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় রিনেকে। ডাক্তার জ্বরের ওষুধ দেয়- খায় , একদিন ভালো থাকেতো দুইদিন পর আবার সেই জ্বর। এবার আগের চেযে আরও ভয়ানক। ভয় পায় নির্ভয়। রিনের প্রবল আপত্তি সত্তেও নিয়ে যায় স্পেশ্লাইজড ডাক্তারের কাছে। ডাক্তারদের খুব অপছন্দ করে রিনে। ওর বড় ভাইয়ের স্ত্রী ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে দুটো শিশু রেখে। যে হাসপাতালে মারা যায় সে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন দায়তো নিতেই চায় নি - উল্টো ভয় দেখায়। এ ব্যাপারে কোন উচ্চবাচ্য করলে পরিনতি ভালো হবে না। খবর নিয়ে জানা গেছে - হাসপাতালের মূল মালিক প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি। হায় দেশ, দেশের রাজনীতি! রিনের ছোট ভাই টমাস প্রায়ই একটা কথা বলেন- যে দেশের রাজনৈতিক নেতারা অশিক্ষিত - আর তাবৎ ব্যারিস্টার , বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আমলারা সেই নেতাদের পেছনে হাটে আর ভোদরের মতো হাত কচলায়, কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারে না , সে দেশের পরিস্থিতি এর চেয়ে ভালো হতে পারে না। সেই থেকে রিনে ডাক্তারের নামই শুনতে পারে না। ডাক্তার সব শুনে এবং দেখে গম্ভীর হলো। সঙ্গে সঙ্গে ভর্তি করিয়ে নেয় হাসপাতালে এবং কয়েকটি পরীক্ষা করতে দেয়। সাধারণ কোন অসুখ ভেবে নির্ভয় শ্বশুর বাড়িতে জানানো ছাড়া আর কাউকেই জানায় নি। ছোট শ্যালক আর বাড়ির কাজের লোককে হাসপাতালে রেখে সে অফিসে যায়। রাতে হাসপাতালে গিয়ে যা শোনে তার জন্য আদৌ প্রস্তুত ছিল না নির্ভয়। ডাক্তার মৃদু অথচ স্পষ্ট কথায় বলে- আপনি নাটকের লোক, জীবনে অনেক নাটকের অনেক অনাকাংখিত দৃশ্য অভিনয় করেছেন। কিন্তু আজকে আপনার জীবনে সেইসব নাটকের চেয়েও বাস্তব একটা খবর আপনাকে দেবো- আশা করি স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করবেন। আহা - বলুন না! আপনার স্ত্রীর এইডস হয়েছে। এবং পরিস্থিতি শেষ পর্যায়ে। র্নিভয় কয়েকমুহূর্ত ডাক্তারের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে বুঝতে পারলো- না, এটা কোন নাটকের সংলাপ নয়, এখানে কোন ক্যামেরা লাইট মনিটর নেই, এটা হাসপাতাল এবং বসে আছে একজন দায়িত্বশীল ডাক্তারের সামনে। শেষ পর্যায়ে মানে কি? শেষ পর্যায় মানে - আপনার স্ত্রী বেশিদিন বাঁচবে না। কি বলছেন এসব? ডাক্তারের মুখে ম্লান হাসি, নির্ভয় সাহেব যা বলছি সত্যি বলছি। আমার যা মনে হচ্ছে - আপনার স্ত্রীর যে মারাত্মক এইডসে আক্রান্ত হয়েছে সেটা সে টেরই পায় নি। এ রকম নি:শব্দ ঘাতক এইডস আছে- টের পাওয়া যায় একেবারে শেষ সময়ে। আপনার র্দুভাগ্য সেই এইডস হয়েছে আপনার স্ত্রীর। রিপোর্ট দেখে আমার যা মনে হচ্ছে বড় জোর মাস দেড়েক বাঁচবে সে। হায় মানুষের জীবন! এতো যতেœ সাজানো সংসার ফেলে রিনে চলে যাবে জীবনের অপর পারে। এক অর্থহীন কষ্টে র্নিভয় মৌন হয়ে বসে থাকে। টপি কেমন করে বাঁচবে? পুরো বিষয়টা নিয়ে ভাবতে ভাবতে হাসি পায় র্নিভয়ের। মানুষ জীবনের কাছে কতো ক্ষুদ্র-কতো অসহায়! দু-একদিনের মধ্যে রিনের অসুস্থতার খবর আত্মীয়-স্বজনেরা জেনে যায়। মোটামুটি বিয়োগান্ত এবং ক্লাসিক একটা সিনেমার শেষ দৃশ্যের অনুসরণে রিনে সংসার স্বামী-সন্তান, আত্মীয়-স্বজন রেখে পরপারে চলে যায় অনেকটা ডাক্তারের কথাকে মান্য করে পৌনে দু মাসের মাথায়। কয়েকদিনের কান্না স্মৃতিচারণ শোক উদযাপন করে প্রায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে রিনের আত্মীয়-স্বজনেরা। কিন্তু রিনের গর্ভের জীবন্ত স্মৃতি নিয়ে র্নিভয় টালমাটাল। আগেই টপি রিনের চেয়ে র্নিভয়কে বেশি পছন্দ করতো। আর এখন এক মুহূর্তের জন্যও চোখের আড়াল হবার জো নেই। রাতে ঘুমোনোর সময় টপি এমনভাবে গলা জড়িয়ে ধরে, শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে নির্ভয়ের- মা, গলাটা ছাড়ো  আমার শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। না- ছালবো না আলতো কণ্ঠে বলে টপি। কেনো? তুমি যদি মায়ের সঙ্গে তলে যাওঃ সারাটা রাত আর ঘুমুতে পারেনি র্নিভয়- চোখের কোণ বেয়ে কেবল পানি নামে। অফিসে যেতে যেতে গেট থেকে ফিরে আসে, টপিকে দেখে আবার যায়। নানা-নানি, দাদা-দাদির কাছেও থাকতে চায় না। জোর করে নিয়ে গেলে বিরামহীন কাঁদে। শেষে সব কাজ ফেলে চলে আসতে হয়  নিভর্য়ের কোলে উঠে তবে শান্তি। নাটকের মহড়ায় গেলে টপি বেশ মজা পায়। দলের সবাই টপিকে খুব পছন্দ করে- ওর মুখের আলতো কথা , মধুর হাসি, নি:শব্দ ছোটাছুটি অদ্ভুত এক সৌন্দর্য নিয়ে সবার সামনে ধরা পড়ে। দলের সব সদস্য প্রতিদিন ওকে কিছু না কিছু কিনে দেয়।  টপি বেশি পছন্দ করে শাপলাকে । শাপলা বছরখানেক ধরে নাটকের দলে আসছে। মাত্র একটা নাটকে কয়েকটা দৃশ্যে অভিনয় করার সুযোগ পায়। কিন্তু খুব সম্ভাবনাময় শিল্পী সে। আর এই মন্তব্য দলের প্রধান নির্দেশকের । নির্দেশক জনহিরার অনেক বদনাম আছে, কিন্তু শিল্পী অনুসন্ধানে সে একজন পাকা শিকারী। সুতরাং দলের সবাই শাপলা সর্ম্পকে সচেতন। আগামী নতুন নাটকের মহড়া খুব শীঘ্রই শুরু হবে। জনহীরার ধারণা দিয়ে রেখেছে - সে নাটকে শাপলা ভালো একটা - এমনকি প্রধান চরিত্র পেয়ে যেতে পারে। সেজন্য এখনকার চেয়ে বেশি সময় দেবার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। শাপলার সবচেয়ে বড় গুণ-খুব স্বতঃস্ফূর্ত মানুষ। ভেতরে কোন মলিনতা নেই। মনের প্রতিচ্ছবি ওর মুখে স্বমহিমায় উদ্ভাসিত। শাপলা সবার সঙ্গে মেশে খুব আন্তরিকভাবে। মহড়ায় এসে টপিকে ছেড়ে দেয় নির্ভয় মহড়া কক্ষে। দলের লোকজন গোল হয়ে বসে কথা বলছে। সঙ্গে সঙ্গে টপি দু’ হাত তুলে ছুটে যায় । দলের লোকজন অবাক বিস্ময়ে এই অপরূপ দৃশ্যটি দেখে একটি মা হারা শিশু কি অনিবর্চনীয় আনন্দে ছুটে যাচ্ছে তার এক কল্পিত মায়ের কাছে। শাপলা ও অপেক্ষাা করে টপির জন্য। মহড়ায় আসার সময় বাসা থেকে ওর জন্য খাবার নিয়ে আসে, যা পছন্দ করে টপি। টপিকে নিয়ে টুকটাক কথা হয় নির্ভয়ের সঙ্গে। টপিকে কেন্দ্র করে নির্ভয়ের জীবন অনেকটা নিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে। যদিও অফিসটা নিজের, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান- প্রতিযোগিতার সময়, নিয়মিত অফিস করা দরকার । গত তিন-চার মাসে অনেক পিছিয়ে গেছে। রিনের উপর সংসার ছেড়ে দিয়ে অনেকটা স্বাধীন জীবন করতো। বাজারসহ সংসারের সব দায় সেই পালন করতো। এমনকি নির্ভয়ের জামা প্যান্ট জুতো- সব কিনে দিতো। রুচিবোধ ছিল অসাধারণ। ইতিমধ্যে একটা বিব্রত পরি্িস্ততি সৃষ্টি করেছে দুই পরিবার। টপির কথা চিন্তা করে ওর নানা এবং দাদা মিলে রিনের চোট বোন মিমের সঙ্গে নির্ভয়ের বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। নির্ভয়ের বড় ভাবী ব্যাপারটা জানালে হতবাক হয়ে যায়। প্রথমত মিমের চরিত্র এবং আচরনণগতভাবে রিনের একেবারে বিপরিত। কথা বলে খুব কম। সবসময় গম্ভীর হয়ে চোখে চশমা এটে মাস্টারনী হয়ে থাকে। দ্বিতীয়ত- টপির সঙ্গে ওর সম্পর্কটা নিবিড় নয়। সাধারণত ছোট খালাদের সঙ্গে ছোট ভাগ্নি ভাগ্নেদের মধুর সম্পর্ক গড়ে ওঠে- অবাক হলেও সত্যি মিমের সঙ্গে সে রকম কোন সম্পর্ক নেই টপির। বরং কেবল অপছন্দই করে মিমকে। আর ফাইনাল কথা  মিমকে নিজেরই পছন্দ নয় নিভর্য়ের। নির্ভয় সরাসরি না বলে বলেছে - ভেবে দেখি। সেই ভেবে দেখির সুতো ঝুলে আছে মাস দুয়েক । কিন্তু কি করবে ভেবে কূল কিনারা পায় না নির্ভয়। মাঝখানে এক বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্কটা চিরকালের জন্য খারাপ হলো। হয়তো আর কোনোদিন ওকে ক্ষমা করতে পারবে না । ব্যবসার ক্ষেত্রে অসিমের দ্বারা মাঝে মাঝে উপকার হয় বটে- কিন্তু মনুষত্যহীন মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার কোন যুক্তি নেই। অফিসে বসে কাজ করছিল নির্ভয়, ঢোকে অসিম- কিরে কেমন আছিস? কাজ গুটিয়ে রেখে তাকায় অসিমের দিকে- নারে ভালো থাকি কেমন করে! টপির মায়ের খবরতো শুনেছিস? হ্যাঁ, শুনেছি। তো চিন্তার কি আছে? চিন্তা করবো না - আট বছরের সাজানো সংসার রিনের। মেয়েটা সারাক্ষণ মা মা করে কাঁদে- যে দিকে তাকাই সেদিকেই রিনের স্মৃতি। ঠা টা হাসিতে রুমটাকে নাচায় নির্ভয়, তুই নাটকের লোক হয়ে এসব বলছিস! আমার অবাক লাগছে- কেনো অবাক হওয়ার মতো কি বললাম? আর ন্যাকামো করিস না- বউ মরে কার? সৌভাগ্যবানের। পুরোনো বউ মরে তোকে সুযোগ করে দিয়ে গেছে। এখন একটা ভার্জিন মেয়ে বিয়ে করে ফেল- তুই নাটকের লোক, অনেক মেয়ে তোর শুধুমাত্র ইশারার অপেক্ষায় আছে - তোরতো পোয়া বারো- পৌষ মাসঃ হঠাৎ কি যে হলো, নিজেকে সামলাতে পারলো না নির্ভয়- দাঁড়িয়ে গেল- অসিম? দাঁড়াতো- কেনো? অবাক অসিম। বললাম না - দাঁড়া- ভয়ানক রুক্ষকণ্ঠ নির্ভয়ের। ঘটনার আকস্কিকতায় বিমুঢ় অসিম কি করবে বুঝতে না পেরে দাঁড়ায়- এইতো দাঁড়ালাম। দরজা দেখিয়ে- এখন যা, আর কোনদিন আমার অফিসে আসবি না। কেনো- আমি কি বললাম? যা বলেছি তোর জন্যইতো বলেছি-  একটাও কথা নয়, তোকে যেতে বলেছি , তুই যাবি ব্যস- এর বেশি কিছু না। আমি তোর মত নিকৃষ্ট মানসিকতার বন্ধু চাই না। নির্ভয় কাজটা কিন্তু ভালো হচ্ছে না আর একটা কথা বললে তোকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবো। উপায় না দেখে রুম থেকে বেড়িয়ে যায় অসিম। চেয়ারে বসে নির্ভয়। বর্ননাহীন এক তিক্ততায় শরীর মন ক্লেদাক্ত হয়ে ওঠে। টেবিলে মাতা রেখে হঠাৎ কাঁদতে আরম্ভ করে নির্ভয়। কেনো এই কান্না জানে না সে। হয়তো একজন মানুষের স্মৃতি প্রেম ভালোবাস প্রতি একজন কৃতজ্ঞ মানুষের ব্যক্তিগত অনুরাগের পরম নিবেদন। দলের নির্দেশক জনহীরার এক সন্ধ্যায় মহড়া শেষে নির্ভয়কে বাইরে ডেকে নেয়- তোমার সঙ্গে কথা আছে। বারান্দায় দাঁড়িয়ে সিগারেট টানতে টানতে নির্ভয় ব্যস্তভাবে তাড়া দেয় - বলুন। টপিকে বাসায় রেখে এসেছি আজ। কেনো? ওর দাদা -দাদি এসেছেতো তাদের কাছে আছে। কিন্তু এখন কাঁদছে - তিনবার ফোন এসেছে বাসা থেকে। আমি না যাওয়া পর্যন্ত ও কাঁদতেই থাকবে। নির্ভয় - আমি আসলে তোমার আর টপির এই সমস্যার একটা স্থায়ী সমাধানের কথা বলতেই ডেকেছি। ঠিক বুঝলাম না- শোন, টপি কেন কাঁদে? কাঁদে ওর একজন মা নেই - মা পেলে ও আর কাঁদবে না। সবই বুঝলাম- কিন্তু মা কোথায় পাবো? যে সত্যি ওকে মায়ের মমতায় স্নেহে বড় করবে? তাছাড়া পারিবারিকভাবে যে চেষ্টা হচ্ছে না - তা নয়, হচ্ছে। কিন্তু সেসব আমার মনের মতো হচ্ছে না। বিশ্বাস করুন জনহীরা দা রিনে মরে গিয়ে আমাকে ভীষণ বিপদে ফেলেছে। সেই বিপদ থেকে উদ্ধার পেতে আমি একজনের সন্ধান দিতে পারি।  কে সে? আমাদের শাপলা। ওকে তোমার কেমন লাগে? বিপন্ন বিস্ময়ে নির্ভয় তাকিয়ে থাকে জনহীরার দিকে। এই সম্ভাবনা যে ওর মনে উঁকি দেয়নি, তা নয়। কিন্তু ভাবনাটাকে সামনে নিয়ে যেতে সাহস করেনি। প্রথমত শাপলার মনোভাব সর্ম্পকে কিছু জানে না। টপিকে স্নেহে এবং আদর করে হয়তো ওর নরম অন্তকরনের স্বাভাবিক আবেগে। এর মধ্যে অন্য কিছু খুঁজতে যাওয়া অপরাধ। তাছাড়া নির্ভয় দলের সিনিয়র সদস্য- হঠাৎ একটা কিছু করা বা ওর জন্য শোভন নয়। কি ভাবছো? ভাবনার কি শেষ আছে? শাপলাকে অবশ্য অসম্ভব পছন্দ করে টপি। কিন্তু শাপলা রাজি হবে কেনো? ও একটি অবিবাহিত মেয়ে। আর আমি  সেটা একটা কথা বটে কিন্তু সবটা নয়। মানুষের মনতো- তুমি ইচ্ছে করলে ওর সঙ্গে কথা বলে দেখতে পারো। আমি যতদূর দেখেছি মেয়েটি ভালো। ও রাজি হলে তোমার সংসারটা আবার আগের মতো চলবে আর আমাদের দলটাও উপকৃত হবে। হাসে নির্ভয়- আপনি দলের চিন্তায় এই প্রস্তাব দিয়েছেন? র্নিভয়ের হাসির সঙ্গে যোগ দেয় জনহীরাও- হ্যাঁ- আরে ভাই প্রত্যেক ক্ষেত্রে প্রত্যেকের স্বার্থ থাকে। আমি দলের স্বার্থ দেখেছি বৃহত্তর স্বার্থকে সামনে রেখেই। বুঝলাম । কিন্তু আপনি কি কোন কথা বলেছেন শাপলার সঙ্গে? না। তোমার কথা সরাসরি তোমাকেই বলতে হবে। তবে হ্যাঁ শাপলা যদি কোন সার্টিফিকেট চায় তোমার সম্পর্কে ঘুষ ছাড়াই একটা চমৎকার চারিত্রিক সার্টিফিকেট দিয়ে দেব- হাসে জনহীরা, সে হাসিতে যোগ দেয় নির্ভয়ও। মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা ভাবনাটার ঢাকনা খুলে খোলা মাঠে নিয়ে এসেছে জনহীরা। বেশ কয়েক দিন রাত শাপলাকে নিয়ে ভেবে ভেবে সিদ্ধান্ত নেয় নির্ভয়- না, এভাবে আলেয়ার পিছনে ছোটা ঠিক নয়। কষ্ট বাড়ে ঃ তার চেয়ে সরাসরি কথা বলা ভালো। দিন দুই পর মহড়ার শেষে নির্ভয় কথা বলে শাপলার সঙ্গে। টপি তখন শাপলার কোলে- কি সব কথা বলছে আর খলবল করে হাসছে টপি। শাপলা? বলুন নির্ভয় ভাই। আপনার সঙ্গে আমার একটা জরুরী কথা আছে। বেশতো, বলুন। দলের সমীর এসে শাপলার কোল থেকে নিয়ে যায় টপিকে খেলনার লোভ দেখিয়ে। দু’জনে পাশাপাশি দাঁড়ানো। সন্ধ্যা নেমেছে আকাশে। নাগরিক আকাশ দেখা যায় না বিশাল বিশাল হাই রাইজ বিল্ডিংয়ের আগ্রাসনের কারণে। নির্ভয়ের মনে হয় ও যা বলবে তা বোধহয় অনুমান করতে পারছে শাপলা। শাপলার সুন্দর কমনীয় মুখের উপর গাঢ় লালিমা ছড়িয়ে পড়েছে। এক ধরনের দ্বিধার সংকোচ ওকে পীড়ন করছে। প্রস্তাব দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি জানিয়ে দেয় – র্নিভয় ভাই ,একজনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক আছে। তখন? তখন কি করবে ? র্নিভয় ভাই- কি যেন বলবেন? শাপলার কথায় ভাবনার জগৎ থেকে বাস্তবে ফিরে আসে। - হ্যাঁ,বলতে তো চাই । কিন্তু ভাবছি আপনি কিছু মনে করেন কি না! যাই মনে করুন - আমার কথাটা আমাকে বলতেই হবে। কারণ- এছাড়া আপাতত কোন উপায় দেখছি না। আগেতো বলুন- শাপলা , আপনি আমার আর টপি  সর্ম্পকে সব জানেন। নতুন করে কিছু বলবার নেই। যে কথাটা নতুন করে বলার - আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাই। এক নিঃশ্বাসে কথাটা বলতে পেরে নির্ভয়ের বুক থেকে পাথরের ভার নামলো। শাপলা অন্য দিকে তাকিয়ে আছে। নির্ভয় আড় চোখে ওর ভাবনা পাঠ করবার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না। মনে হচ্ছে যুগ যুগ ধরে দু’জনে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে মৌনতার ধ্যানে। কথা বলছেন না কেনো? র্নিভয় ভাই- আমার দিক থেকে কোন আপত্তি নেই। তবে আমার ফ্যামিলি - বিশেষ করে আমার বাবা একটু রক্ষণশীল মানুষ। নাটক জগতের মানুষের সম্পর্কে তার ধারনাটা একদম ভালো নয়। প্রশ্ন করতে পারেন- আমি কিভাবে এলাম? শৈশব থেকেই নাটকের প্রতি আমার আগ্রহ ছিল। স্কুলে-কলেজে আমি নাটক করতাম- বাবা জানতেন। কিছু বলতেন না। ইউনিভার্সিটিতেও আমি নানা সংস্কৃতির পার্বণে কাজ করেছি। এবং অবশ্যই বাবার অনুমতি নিয়ে। তিনি একটা কথাই বলতেন - তার যেন কোন অসম্মান না হয়। মঞ্চ নাটকে আসার কথা কোনদিনই ভাবিনি- আমাদের বাসায় ভাড়াটে হিসেবে আসে  স্মৃতিরা। ওতো আগে থেকেই টিভিতে নাটক করে । ওর সঙ্গে আমার পরিচয় হলো। ও বললো - নাটকের আসল জায়গা মঞ্চ। যেহেতু স্মৃতিরা আমাদের বাসায় থাকে -বাবাকে বললাম আমার ইচ্ছের কথা। শুনে গম্ভীর হয়ে গেলেন। কিছু বললেন না। আমি ভীষণ ভয় পেয়ে গেলাম। কিন্তু দু’দিন পর ডেকে আমাকে বললেন- তুমি যেতে পারো , তবে নাটক শেষে সোজা বাসায়। আর আমার আত্মসম্মান যেন বজায় থাকে। মানুষের কাছে আমাকে ছোট করো না। অনেক কথা বলে থামে শাপলা। নির্ভয় মনে আত্মগ্লানির একটা হাসি উজানে দাঁড় বাইতে থাকে। জীবনে কতো নাটকের এমন দৃশ্য অভিনয় করেছে আর এখন বাস্তব জীবনে নিজেই একটি ক্যারেকটার। আশা করি আপনি আমাকে ভুল বুঝবেন না। না না- শাপলা , আমি আপনার পরিস্থিতি বুঝতে পেরেছি। আমার ভালো লাগছে যে, আপনি আমাকে অস্বীকার করেন নি। শাপলার মুখে এক অপূর্ব হাসি ফোটে- আমি টপিকে নিয়ে আপনার কষ্টটা বুিঝ। ধন্যবাদ দিয়ে আপনাকে ছোট করবো না- টপিও আপনাকে খুব পছন্দ করে। প্রায়ই মাঝ রাতে ঘুম থেকে উঠে আপনাকে চায়। আপনাকে খোঁজে- কথা বলতে বলতে রাত বাড়তে থাকে । টপিকে নিয়ে নির্ভয় বাসায় চলে আসে। কিন্তু শাপলাকে ভাবনার পৃথিবীকে কোনভাবে সরাতে পারে না। শাপলাও এক ধরনের কষ্ট ভেতরে ভেতরে লালন করে। টপির জন্য ভাবনাটায় কিছুটা হলেও ভাগ বসায় র্নিভয়। র্নিভয় দেখতে চৌকশ, অভিনয় করে খুব ভালো, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ, অপরকে সম্মান করতে জানে-ভাবনার ভেতরের ভাবনারা ডানা মেলে অন্য কোথাও হারিয়ে যায়। শাপলার সঙ্গে কথা বলার প্রায় পনেরো দিন পর এক ছুটির দিনে, আকাশ খানিকটা মেঘলা, মাঝে মাঝে ঝিরঝিরে বৃষ্টি পড়ছে এই আধা ভৌতিক পছন্দের আবহাওয়ায় নির্ভয় এসে কলিংবেল টেপে শাপলাদের বাসার। সঙ্গে টপি। দরজা খুলে দেয় একজন বয়স্ক সৌম্য দর্শন সুপুরুষ। নির্ভয় দেখেই চিনেছে আরে আপনি? আসুন ভেতরে আসুন। ভেতরে ঢুকে সোফায় বসে নির্ভয়, পাশে ছায়ার মতোন টপি। বাসার ভেতরে খবর রটে যায় এবং সঙ্গে আড়ষ্ঠ এক আশংকায় শাপলা নিজের ভেতরে কুঁকড়ে যেতে থাকে । সেই সঙ্গে প্রচন্ড বিরক্ত হয় নির্ভয়ের উপর। সে কি বাসায় নাটক করতে এসেছে? বাসায় যে আসবে তার কিছুই জানায় নি ওকে। হুট করে চলে আসায় আর কেউ না জানুক সে নিজে কতোটা বিব্রত! আর অবিবেচকের মতো কোন প্রস্তাব যদি বাবার কাছে দিয়ে বসে - শাপলা আর ভাবতে পারছে না । মাথাটা ঝিমঝিম করতে থাকে। শাপলার  মা অদিতি গোমেজ, বড় ভাবি ছেলে-মেয়েসহ ড্রয়িংরুমে চলে গেছে। পরিচয়ের পালা শেষে শাপলার বাবা মাইকেল ড্যানিয়েল বাবু তাকায় টপির দিকে আপনার মেয়ে বুঝি? জ্বী- আমার একমাত্র সন্তান। টপিকে কাছে নিয়ে আদর করতে করতে র্নিভয় প্রশ্ন করেন - ওর মাকে আনলেন না কেন? নিয়ে আসার ক্ষমতা থাকলে নিশ্চয়ই নিয়ে আসতাম। আপনারা কি আলাদা থাকেন? প্রশ্ন শাপলার ভাবীর। না তা কেন? তাহলে? মাইকেল ড্যানিয়েল বাবু চোখ বড় করে তাকান। ওর মা মারা গেছে। হঠাৎ ড্রয়িংরুমে এক নি:শব্দ নীরবতা নেমে এলো। একে অপরের মুখের দিকে তাকায়। মনে হয় সবাই অপরাধ করেছে। নির্ভয় কি করবে ভেবে পায় না। পরিবেশটাকে স্বাভাবিক করার জন্য টপিকে বলে- মা মনি, দেখোতো তোমার আন্টি কোথায়? আন্টি কে? ভাবী জানতে চায়। আপনাদের শাপলাকে ও খুব পছন্দ করে। তাই নাকি! শাপলা ? মাইকেল ড্যানিয়েল বাবু গলা ছেড়ে ডাকেন। শাপলা ভেতর থেকে ড্রয়িংরুমে ঢুকে দাঁড়াতেই টপি দু’হাত তুলে ছুটে যায়। শাপলা সামান্য নুয়ে দু’হাতে কোলে নেয় টপিকে। শাপলাকে পেয়ে টপির মুখ ভরা হাসি। কয়েক মুহূর্তের মধ্যে সবাই একটা নান্দনিক দৃশ্য দেখতে পেলো। শাপলা টপিকে কোলে নিয়ে ভেতরে চলে যায়। আরে তাইতো - গম্ভীর মাইকেল ড্যানিয়েল বাবু মুখে হাসি- আমাদের শাপলাকে আপনার মেয়ে দারুণ পছন্দ করে দেখছি। এদের দেখা হলো কোথায়? নাটকের মহড়ায়। মহড়ায়- নাটক চলাকালে ওকে সঙ্গে নিয়েই আসিতো - তখনই ওদের দু’জনার সঙ্গে ভাব জমে উঠেছে- মৃদু কণ্ঠে জবাব দেয় নির্ভয়। আহা! টপির জন্য সহানুভূতি প্রকাশ করেন মাইকেল ড্যানিয়েল । সত্যি এই বয়সে মা হারা একটি মেয়ের বেড়ে ওঠা, লালন-পালন করা বেশ কঠিন। সত্যিই মেয়েটাকে নিয়ে একটু বিপদেই আছি। বড় ভাবী চা নাস্তা নিয়ে আসে। সবাই মিলে চা নাস্তা খেতে খেতে দেশের চলমান রাজনীতি অর্থহীন অর্থনীতি সর্ম্পকে আলোচনা চলে। কথায় কথায় বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা পার হয়ে রাত হয়েছে বেশ। টপি সেই যে ভেতরে গেছে আর আসেনি। দু-একবার ডেকেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। উঠতে হয়- ভাব নিয়ে নির্ভয় বলে- খুব ভালো লাগলো আপনাদের সান্নিধ্য। আমাদের ভালো লেগেছে - বলে ভাবী- মাঝে মাঝে আসবেন। তা আসবো- নির্ভয়ের কণ্ঠে কিছুটা কুণ্ঠা - আমার একটা ছিল আপনার কাছে- তাকায় মাইকেল ড্যানিয়েল বাবু দিকে। আমার কাছে ? মাইকেল ড্যানিয়েল বাবু সাহেব একটু অবাকই হন। কই কিছু বলেননিতো? অভয় দিলে বলতে পারি। ভেতর থেকে টপি বের হয়ে নিভর্য়ের কাছে এসে দাঁড়ায়। ওর চোখে-মুখে দারুণ তৃপ্তি। মাইকেল ড্যানিয়েল ওকে ডেকে কাছে নেন - এসো নানু - কাছে এসো। একটু আদর করে দেই। টপি কাছে গেলে দু’হাতে কোলে বসান মাইকেল ড্যানিয়েল বাবু - তাকায় নির্ভয়ের দিকে কি বলবেন যেন? শাপলার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ওর নিজের কোন আপত্তি নেই- মাইকেল ড্যানিয়েল বাবু বিস্মিত চোখে তাকিয়ে আছে নিভর্য়ের দিকে - কিসে আপত্তি নেই? টপির মা হতে। হঠাৎ ড্রয়িংরুমে নি:শব্দ নীরবতা নেমে আসে। মাইকেল ড্যানিয়েল বাবু বিচলিত, চমকিত এবং আবার বিস্মিত। এমন জটিল বিষয়কে কেউ এমন সরলভাবে এবং নি:সংকোচে বলতে পারে  মাইকেল ড্যানিয়েল বাবু জানতেন না। অদিতি গোমেজ ভয়ে প্রায় কাঁপছেন। অসম্ভব গম্ভীর এরং মেজাজি মানুষ কিভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না। আর ভাবী ড্রয়িংরুম থেকে পালাতে পারলে বাঁেচ। সে তার শ্বশুরকে চেনে। টপি যখন শাপলাকে পছন্দ করছে, শাপলাও টপিকে স্নেহ করছে তখন আমি শাপলাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে শাপলা বলেছিল - আপনার কথা। শাপলা আপনাকে খুব মান্য করে। আপনার সম্মানের যেন কোন অসম্মান না হয় সেদিকে ও ভীষণ সজাগ। তাই ওকে না জানিয়েই আজ আপনার বাসায় এসেছি। দোষ যদি কিছু হয় সেটা সম্পূর্ণ আমার- অনেক কথা বলে থামে নির্ভয়। শাপলা নিজের যদি কোন আপত্তি না থাকে আমারও কোন আপত্তি নেই - মাইকেল ড্যানিয়েল বাবু খুব আন্তরিকতার সঙ্গে টপিকে আদর করতে করতে বলেন - আর আমার এই মিষ্টি নানু ভাইয়ের সত্যি একজন মায়ের খুব দরকার। দাঁড়ায় নির্ভয় - আমি এবং আমার মেয়ে আপনার কাছে খুবই কৃতজ্ঞ। মাইকেল ড্যানিয়েল বাবু ও দাঁড়ান - ওসব কিছুর দরকার নেই। সবাই মিলে ভালো থাকার নামই জীবন। বৌমা - এদেরকে সামলাও। এখন এরা তোমার অনেক রড় আত্মীয়- মাইকেল ড্যানিয়েল বাবু মুখে হাসি ফুটিয়ে চলে যান। ভাই - সত্যি আপনি ভালো নাটক জানেন- সামনে এসে দাঁড়ায় ভাবী - ভয়ে আমার শরীর কাঁপছিল। আমার শ্বশুর যা মেজাজি মানুষ। কই - হাসে নির্ভয় - তাকে তো দেখলাম খুব বিবেচক একজন মহৎ বাবার মতো মেয়ের দাবী মেনে নিলেন। অমন বিনয়ের অবতার হলে মেনে না নিয়ে উপায় থাকে? আমি ভেতরে যাই-বেচারীকে সুসংবাদটা দেই- ভাবী দৌড়ে ভেতরে ঢোকে। অদিতি গোমেজ সামনে এসে দাঁড়ান , নির্ভয়ের মাথায় হাত রাখেন-সত্যি বাবা, তুমি আজ সামান্য কথায় অসাধ্য সাধন করেছো। বসো- টপির হাত ধরে - চলো নানু ভেতরে চলো। বাবু দাই? টপি আলতোভাবে অনুমতি চায়। যাও। অদিতি গোমেজ হাত ধরে ভেতরে চলে যায়। অনেকক্ষণ ক্যাবলাকান্তর মতো ড্রয়িংরুমে একা বসে আছে নির্ভয়। বাসায় ছোট কেউ নেই যে, এসে সঙ্গ দেবে। ভেতরে ননদ আর ভাবী মিলে হুটোপুটি চলছে। শেষে নির্ভয় দরজায় দাঁড়িয়ে ডাক দেয়- টপি? টপি? দরজায় এসে দাঁড়ায় শাপলা- ও আজ আমার সঙ্গে থাকবে। ও রাতে উঠে কাঁদে ..কাঁদুক, টপি আমার কাছেই থাকবে। কাল সকালে ওর জামা-কাপড় আর খেলনা দিয়ে যাবেঃ হঠাৎ উদাস হয়ে যায় নির্ভয়- সবইতো ওর হলো- আমারতো কিছুই হলো না। পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা ভাবী গলা বাড়ায় - নিমিষে যে অসাধ্য সাধন করলেন-হবে ভাই আপনারই সব হবে - শুধু আনুষ্ঠানিকতার জন্য কয়েকটি দিন ধৈর্য ধরতে হবে আপনাকে - এই যাঃ।



0 comments:

Post a Comment