পরিবেশ:রিসাইকেল করুন, দূষণ থেকে বাঁচুন
আলী ফোরকান
সেল্ ফোনের ব্যবহার প্রতিদিন বেড়েই চলে। বিশ্বের ক্রমবর্ধমান বৈদ্যুতিক বর্জ্য (ই-ওয়েস্ট) সমস্যায় কম্পিউটার ও অন্যান্য যন্ত্রাংশের ভূমিকা পেছনে ফেলে সেল ফোনেই এখন সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে। যেখানে সেখানে পড়ে থাকা বিষাক্ত পদার্থবাহী বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বায়ু ও ভূর্গভস্থ পানির দূষণ ঘটায়। সবচেয়ে দ্রুত বর্ধিষ্ণু আবর্জনার মধ্যে সেল ফোন একটি। উত্তর আমেরিকার অধিবাসীরা গড়ে প্রতি ১৮ থেকে ২৪ মাসের মধ্যে একটি নতুন সেল ক্রয় করে এবং তাঁদের পুরনো সেল ফোন গুলোই সবচেয়ে দ্রুত বধিষ্ণু আবর্জনা হিসেবে আর্বিভূত হয়। মার্কিন পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থার দেয়া তথ্য মতে, মার্কিনরা প্রতি বছর ১২ কোটি ৫০ লাখ ফোন অকেজো হওয়ায় ফেলে দেয়। যা ৬৫ হাজার টন বৈদ্যুতিক বর্জের সৃষ্টি করে। আশার কথা, সম্প্রতি বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ পুনঃব্যবহার কারী প্রতিষ্ঠানের আব প্রকাশ এ ব্যাপারে সাহায্য করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে। কলটু রিসাইকেল নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় পুরনো ফোন পুনঃব্যবহরে করার উপায় সম্পর্কে পরামর্শ দিয়ে থাকে। এ প্রতিষ্ঠান নিদিষ্ট ভাঙ্া পুরাতন ফোন জমা দিতে উৎসাহিত করে। ছোট বড় অধিকাংশ বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ বিক্রতারা এই কর্মসূচীতে সম্পৃক্ত হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠঅনটি পুরাতন ফোনগুলো সংগ্রহ করে এবং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে থাকে। উৎপাদনকারীরা আবার তা মেরামত ও নতুনের মতো করে পুনরায় বিক্রি করে অথবা বিভিন্ন অংশ নতুন পণ্য তৈরিতে ব্যবহার করে। এদিকে কালোক্টিভগুড নামক একটি প্রতিষ্ঠান এই পুরাতন ফোনগুলো সংগ্রহ করে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ব্যবহারের জন্য যে সকল সরবরাহক আছে তাদের কাছে পুনরায় বিক্রি করে দেয়। পাশাপাশি তারা অকার্যকর ব্যাটারিও সংগ্রহ করে রিচার্জঅ্যারোল ব্যাটারি রিসাইকেলি করপোরেশন এর সহায়তায়। উল্লেœখ্য নাগরিকরা যখন এই প্রতিষ্ঠানের কাছে তাদের পুরানো ফোনগুলো দান করে তখন তা থেকে আসা লাভ পচ্ছন্দসই যে কোন দান কাজেও ব্যবহারের পরামর্শ রাখেতে পারেন। এক্ষেত্রে অপর একটি প্রতিষ্ঠান হলো রিসেল্যুলার বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির হয়ে পুরাতন সেল ফোন সংগ্রহের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে থাকে। এছাড়া তারা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে দানের কাজে তহবিল সংগ্রহ করার জন্য এ কাজে করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রধান মাইক নিউম্যান বলেন, আমরা পুরাতন ব্যবহৃত ফোনের উপর ক্রেতাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করছি, যাতে তাঁরা কাজ, কাঁচ পস্নাস্টিকের ন্যায় সেলফোন পুনঃব্যবহারের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন।
কেন্দ্রিয় ভাবে যুকরাষ্ট্র কিংবা কানাডা কোনদেশই এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়নি তবে কিছু প্রদেশ ও অঙ্গরাজ্য তাদের নিজের উদ্যোগে এ কার্যক্রম পরিচালনা করে। কেলিফোনিয়া প্রদেশে সবপ্রথম বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ পুনব্যবহার সংক্রান্ত আইন পাশ হয়। আইনে বলা হয়েছে যারা বৈধপন্থায় তাদের পণ্য বিক্রি করতে চান তারা অবশ্যই সেলফোন পুনব্যবহারের একটি সুবিধার ব্যবস্থা করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের, ইলিয়ন, মিস্মিপ্পি, নিউর্জাসি, নিউ ইয়র্ক, ভারমন্ট, তারজিনিয়া প্রভৃতি অঙ্গরাজ্য ও কানাড়ার বিট্রিশ কলোম্বিয়া, আলবার্টা, নিউজুনস্ উইক প্রভৃতি প্রদেশ খুব সম্ভব কের্লিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ন্যায় বাধ্যতামূলক সেলফোন পুনব্যবহার কর্মকান্ডে শরিক হবে। আমরা আশাকরি আমাদের দেশ ও এবিষয়ে পদক্ষেপ নিবে।
0 comments:
Post a Comment