Thursday, June 23, 2016

অবহেলিত পথশিশু

অবহেলিত পথশিশু
আলী ফোরকান 
পথের মাঝেই তাদের জন্ম। তাই পথকেই তারা বন্ধু ভেবে নিয়েছে। জীবনের পথ আর বাস্তবতার সিঁড়ি এক বিন্দুতেই তাদের জন্য ধরা দেয়। পথকলি, টোকাই কিংবা পথ শিশু যে নামেই ডাকা হোক না কেন এই শহরের রাস্তায় তারা যাপন করছে এক দুর্বিষহ জীবন। জীবনের স্বাভাবিক চাহিদাগুলো তাদের বৃত্ত থেকে অনেক দূরে। ব্যাস আর ব্যাসার্ধের সীমনার বাইরে। এদের‘কেউ বলে পথশিশু, কেউ বলে টোকাই। তাদেরও নাম আছে। সে নাম ধরে ডাকার মতো কেউ নাই।’এদের একটি অংশকে দেখা যায় রাজধানীর রমনা পার্কে। এ পথশিশুদের কারো গায়ে জামা নেই, কারো পরনের প্যান্টও ছিঁড়ে ফাড়া। সারাদিনের কর্মব্যস্ত অসহায় জীবন শেষে একটু বিশ্রামের জন্য এখানে জড়ো হয় সবাই। হাজারো ঝঞ্ঝার মাঝেও সবার মুখে হাসি থাকে। এরা যখন পার্কে একত্রিত হয়ে থাকে, তখন ওরা গান গায়। সম্প্রতি এমনি একদিনে রমনাপার্কে তাদের সাথে কথা হয়। তখনো একজন গান গাছ্চিল। গান শেষে ওদেরই এক শিশু কামাল জানায়, সময় পেলেই তারা এখানে এসে জড়ো হয়ে গান করে। আর এখন তারা যে গানটি করছে এটি তাদের খুবই পছন্দের গান। এরই ফাঁকে আরেক শিশু জাকির লাফিয়ে উঠে জানায়, তাদের নিয়ে একটি বাংলা সিনেমা হয়েছে। সেই সিনেমায় এ গানটি রাখা হয়েছিল। আর সে সিনেমায় অভিনয়ও করেছিল জাকির। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ানো শিশুদের একটি বড় অংশই ঠিকানাবিহীন। ফুটপাত আর রাজপথেই কাটে তাদের দিন, রাত। এদের পরিচয় কখনো টোকাই কখানো ছিন্নমূল। আবার কোনো কোনো সাহিত্যমনা আদর করে তাদের নাম দিয়েছেন পথশিশু। এমনই এক শিশু আকরাম। রয়স দশ। ২ বছর ধরে রাজধানীর এখানে ওখানে ময়লা আবর্জনা টোকায় সে। সেই ময়লা বিক্রি করেই চলে তার জীবন। বাবা মা বলতে কিছুই নেই তার। তাদের নামও জানেনা আকরাম। তবে সে জানায়, তাদের বাঁচাতে পারে শুধুই মহাজনরা। মহাজন চাইলেই তাদের পেটে ভাত জুটবে। সে রাগলেই খাওয়া বন্ধ। আর এভাবে ময়লা কুড়িয়েই বাকিটা জীবন পার করতে হবে তার। আকরাম জানায়, দিন-রাত অমানুষিক পরিশ্রম করে যা আয় হয় তাতেও ভাগ বসায় পুলিশ, নাইটগার্ড ও সন্ত্রাসীরা। তবে নিজের কাছে টাকা রাখে না কোনো শিশুই। সারাদিন যা আয় হয় তা জমা রাখা হয় মহাজনদের কাছে। আকরাম জানায়, মহাজনের কাছে টাকা রাখাও পুরোপুরি নিরাপদ নয়। তিল তিল করে জমিয়ে রাখা এ টাকাও অনেক মহাজনরা আর ফেরত দেন না। নিজের জমা রাখা টাকা চাইতে গিয়ে উল্টো হজম করতে হয় মারধর। চরম নিরাপত্তাহীনতায় কাটে তাদের দিন। ঠিকানাবিহীন এসব শিশুদের রাত কাটে এখানে ওখানে। ঘুমাতে গেলেও তাদের পোহাতে হয় অনেক ঝক্কিঝামেলা। পথশিশু ইব্রাহিম জানায়, পুলিশ মাঝে মাঝেই লাঠিপেটা করে তাদের উৎখাত করে। কোনো কোনো সময় হঠাৎ পুলিশ এসে মারধর করে তাদের ধরে নিয়ে যায়। তবে কিছু টাকা-পয়সা দিলে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পাওয়া যায়। আর টাকা দিতে না পারলে তাদের ঠিকানা হয় ভবঘুরে কেন্দ্রে। সে জানায়, অনেক সময় তাদের কোর্টে চালান দিয়ে দেয়া হয়। কোর্টে চালান দিলে ওদের অবস্থা হয় আরো করুণ। আগে কোর্টে চালান দিলে তিন মাসের জেল হত। আর এখন হয় সাত মাস। রাত ওদের জন্য বেশ ভয়ের। মেয়েশিশুরা আরো বেশি নিরাপত্তাহীন। শুধু তাই নয়, প্রতিবছর দেশ থেকে পথশিশুদের একটি বড় অংশই পাচার হয়ে যায়। কোনো পারিবারিক পরিচয় না থাকায় এদের আর হিসেবও পাওয়া যায় না। শিশুদের নিয়ে কাজ করা একটি সংগঠনের সূত্র মতে, দেশে বর্তমানে পথশিশুর সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ। টিভিসি’র আরেক জরিপ অনুযায়ী, শুধু ঢাকা শহরেই রয়েছে ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৮শ’রও বেশি শিশু। যেখানে সহজে কাজ পাওয়া যায় এমন জায়গায়ই এদের বেশি দেখা যায়। বাজার, রেলস্টেশন, বাসস্টপেজ, লঞ্চঘাট বা রমনা পার্ক, চন্দ্রিমা, ওসমানী, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মতো খোলা পার্ক, স্টৈডিয়াম, মাজার এলাাকায় রাত কাটে তাদের। সুবিধাবঞ্চিত এসব শিশুরা বেঁচে থাকে শুধু নিজেদের ওপর নির্ভর করে। দু’বেলা পেটপুরে খাবার, রাতে মাথা গোঁজার ঠাঁই, একটু চিকিৎসা সেবা কিছুই তাদের ভাগ্যে জোটে না। যেখানে রাত সেখানেই ঘুমিয়ে পড়তে হয়। রোদ, বৃষ্টি, শীত, মশা তাদের কাছে নিত্য মামুলি ব্যাপার। দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে বাঁচতে অনেক সময়ই এরা জড়িয়ে পড়ে নানা অনৈতিক কর্মকান্ডে। এদের ব্যবহার করে এক শ্রেণীর অপরাধীচক্র হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অস্ত্র ও মাদক বহনের কাজে ব্যবহৃত হয় পথশিশুরা। ছোটখাটো চুরি, ছিনতাই করতে গিয়ে এরা হয়ে উঠছে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী। এরপর তারা জড়িয়ে পড়ে চাঁদাবাজি, খুনের মত ভয়াবহ সব অপরাধে। পুলিশ, সন্ত্রাসীরাও তাদের প্রয়োজনে এসব শিশুদের ব্যবহার করে। এ ছাড়াও শিশুরা মাদক বিক্রির ফাঁদে পা দিয়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। ফলে তারা অকালে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়। মেয়েশিশুরা নিয়োজিত হয় পতিতাবৃত্তিতে। জীবিকার তাগিদে এরা ফুটপাতে ফুল, পপকর্ন, খেলনা বিক্রি করে। কিন্তু এসব বিক্রি করতে গিয়ে তারা যৌন নির্যাতনসহ নানা ধরনের শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়। ময়লা আবর্জনার মধ্যে বসবাস করতে করতে এসব শিশুরা বছরের প্রায় বারো মাসই চর্মরোগে ভোগে। দূষিত পানি পান ও খাবার গ্রহণ, অপুষ্টি ও স্বাস্থ্যকর স্যানিটেশনের অভাবে তারা নানা রোগে ভোগে। ব্যাহত হয় স্বাভাবিক বৃদ্ধিতেও। 
পথশিশুদের ৪০ ভাগই মাদকাসক্ত:রাজধানী ঢাকার রাস্তার ফুটপাত কিংবা পার্কের দিকে তাকালেই চোখে পড়বে ১০/১২ বছর বয়সের একদল শিশু। এই বয়সেই ওরা সারা শহরের ময়লা-আবর্জনার স্তুূপ থেকে সংগ্রহ করে বিভিন্ন ধরনের পচা খাবার, প্লাস্টিক, কাঁচ আর লোহা-লক্কড়ের ফেলে দেয়া বিভিন্ন সামগ্রী। ছিন্নমূল এসব শিশুর দিকে তাকালে সহজেই চোখে পড়বেÑ এরা একেক জন বিভিন্ন পলিথিন কিংবা কাগজের মোড়কের মধ্যে মুখ গুঁজে গভীর নিঃশ্বাস নিচ্ছে। পার্কে, রাস্তার পাশে পথচলতি মানুষেরা ভাববেন ওইসব কিশোরীরা হয়তো কৈশোরের স্বাভাবিক আচরণের কারণেই অমনভাবে কাগজে মুখ গুঁজে হাঁটছে নিঃশ্বাস নিচ্ছে, নয়তো বসে আছে। কিন্তু বাস্তবতা বলে ভিন্ন কথা। ঢাকার ফার্মগেট, ধানমন্ডি পার্ক, সংসদ ভবন এলাকার পাশে, কমলাপুর, গুলিস্তানের দোকানপাটের অলিগলিতে দৃশ্যমান এসব শিশুদের অধিকাংশই এখন নেশায় আক্রান্ত। কাঠের, হার্ডবোর্ড এবং টায়ারের দোকান থেকে বিভিন্ন আঠার কৌটা কিনে আঠার গন্ধে তারা এক ধরনের মাদকদ্রব্যের নেশার স্বাদ পূরণ করছে। আঠার রাসায়নিক গন্ধের মধ্যে এক ধরনের নেশা ওইসব কোমলমতি শিশুদের নেশাগ্রস্ত করছে। এমনই এক নেশাগ্রস্ত শিশু বেলাল। কমলাপুর বস্তিতে বেড়ে ওঠা বেলালের বাবা-মা নেই। দুঃসম্পর্কের আত্মীয় মজিদ মোল্লার সঙ্গে তার বসবাস। সারাদিন আবর্জনা টুকিয়ে বস্তা ভর্তি করে জমা দিতে হয় মজিদ মোল্লাকে। বেলালের সারাদিনের এই পরিশ্রমের মজুরি হিসেবে পায় মাত্র ২০ থেকে ৩০ টাকা। সারাদিন আবর্জনার স্তুপে স্তুপে ঘুরে ক্লান্ত শরীর নিয়ে পার্কে যখন ওদের বয়সী ৮/১০ জন একত্রে বিশ্রাম নেয় তখনই পলিথিনের মধ্যে মোড়ানো আঠার কৌটা লুকিয়ে তারা ঘ্রাণ নেয়। এই ঘ্রাণ তাদের মাদকের নেশার মতোই তৃপ্তি দেয়। বেলাল বলছিল প্রথম প্রথম গন্ধটা নিলে শরীরটা শীতল মনে হতো। এখন যতোবারই নেয় ততোবারই শরীরটায় ঝিমঝিম ভাব আসে। অনেক সময় ঘুম এসে যায়। একটি আঠার কৌটা সাইকেল গ্যারেজের দোকান, পানের দোকান, ফার্নিচার বা পাড়া-মহল্লায় জুতার কিংবা হার্ডওয়্যার দোকান থেকে মাত্র ২০/২৫ টাকায় ওরা কিনতে পারে। এ বিষয়ে শিশু বিশেষজ্ঞরা জানান, যেসব শিশুদের আমরা পথশিশু বলছি, তারা এমনিতেই প্রচুর পরিশ্রম করে। শরীরে ক্লান্তি ভাব থাকে। ক্লান্ত শরীরে খুবই ক্ষুধায় তারা হয়তো বিকল্পভাবে পলিথিনে আঠার গন্ধ নিয়ে ক্ষুধা দমন করতে পারে। তবে এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে, যে বস্তুটি শিশুদের এমন আকৃষ্ট করছে সেই বস্তুটি আসলে নেশা দ্রব্যের মধ্যে পড়ে কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে। ওই গন্ধের মধ্যে কোনো রাসায়নিক পদার্থ আছে কিনা। সেই রাসায়নিক পদার্থ কোনো মাদকদ্রব্যের কোন শ্রেণীতে পড়ে তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে শিশুরা কেন এমন আচরণে আসক্তি প্রকাশ করছে তার অনুসন্ধান করা উচিত। তিনি আরো বলেন, শিশু বলে আমরা ফুল বিক্রেতা, পার্কে ময়লা টোকাইকারীদের অবহেলার চোখে দেখি। এমনিতেই জীবনের চরম দুর্ভোগ বা ক্ষতিকর প্রভাব তাদের জীবনী শক্তিকে অবশ্যই ক্ষয় করছে। তাই মাঠ পর্যায়ে যারা শিশুদের উন্নয়নে কাজ করেন তাদের বিষয়টির গভীরে যাওয়া উচিত। জাতিসংঘের সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা এবং আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার নীতিমালায় একথা স্বীকৃত হয়েছে যে, গোত্র, বর্ণ, লিঙ্গ, ভাষা, ধর্ম, রাজনৈতিক অথবা ভিন্নমত, জাতীয়তা কিংবা সামাজিক পরিচয়, শ্রেণী, জন্মসূত্র কিংবা অন্য কোনো মর্যাদা নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষ কোনো প্রকার বৈষম্য ছাড়াই এই ঘোষণার বর্ণিত সব ধরনের অধিকার ও স্বাধীনতা ভোগ করবে। জাতিসংঘের সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা অনুযায়ী প্রতিটি শিশুর প্রাপ্য হচ্ছে বিশেষ যতœ ও সহায়তা। জাতিসংঘ সনদে ঘোষিত আদর্শের চেতনায় এবং বিশেষ করে শান্তি, মর্যাদা, সহনশীলতা, স্বাধীনতা, সমতা ও সংহতির চেতনায় শিশুকে লালন-পালন করতে হবে। শিশুকে বিশেষ যতœ প্রদানের প্রয়োজনীয়তার কথা ১৯২৪ সালের জেনেভা শিশু অধিকার ঘোষণা ও ১৯৫৯ সালের ২০ নভেম্বর সাধারণ পরিষদে গৃহীত শিশু অধিকার ঘোষণায় বর্ণিত হয়েছে এবং সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা, আর্ন্তজাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক চুক্তিপত্র (বিশেষ করে এর ২৩ ও ২৪ নং অনুচ্ছেদ), আর্ন্তজাতিক অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার বিষয়ক চুক্তিপত্র (বিশেষ করে এর ১০ নং অনুচ্ছেদ) এবং শিশু কল্যাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশেষায়িত সংস্থা ও আর্ন্তজাতিক সংগঠনসমূহের সংবিধি ও প্রাসঙ্গিক দলিলাদিতে স্বীকৃত হয়েছে।
শিশু অধিকার ঘোষণায় যেমনটা বলা হয়েছে, ‘শিশুর শারীরিক ও মানসিক অপরিপক্বতার কারণে তার জন্মের আগে ও পরে তার জন্য উপযুক্ত আইনগত সুরক্ষাসহ বিশেষ রক্ষাকবচ ও যতœ নিশ্চিত করা প্রয়োজন’। শিশুদের এই চরম অবনতি নিয়ে মানবাধিকার সনদগুলোতে স্বীকৃত তথ্য থাকলেও এর সমাধানে কোনো বাস্তব পদক্ষেপ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পুরোপুরি সফল হয়নি। এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, দেশে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত ১২ লাখ ৯১ হাজার শিশুর মধ্যে নির্দিষ্ট করে এখনো চিহ্নিত করা যায়নি কতো ভাগ পথশিশু, কতো ভাগ দুস্থ শিশু এবং এসব শিশুরা নেশাদ্রব্য গ্রহণে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে কিনা। বেসরকারি সংস্থা বিআইডিএস-এর এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশে পথশিশুদের সংখ্যা প্রায় ৭ লাখ। এসব শিশুদের ৪টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। তবে এসব শিশুদের শতকরা ৪০ ভাগ মাদকের সঙ্গে জড়িত। অপরদিকে শিশু অধিকারের এক সমিক্ষায় দেখা গেছে, ৮০ ভাগ পথশিশুই ড্যন্ডির নেশায় আসক্ত। পথশিশু আকবর জানায়, ড্যন্ডি খাইলে আর কেউ মারলেও ব্যথা লাগে না। ময়লার মধ্যে গেলে গন্ধ পাই না। ভাঙাড়ি টোকানোর সময় হাত-পা কেটে গেলে টেরও পাওয়া যায় না। যে কারণে তারা ড্যন্ডির প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। পথশিশু মিরাজ জানায়, এক একটা ড্যন্ডি টিউবের দাম ২০ টাকা। নগরীর বিভিন্ন দোকানে এ ড্যন্ডি পাওয়া যায়। ড্যন্ডির একটি টিউবের মুখ পলিথিনের প্যাকেট বা ঠোঙার ভেতর ভরে মুখ বা নাক দিয়ে টেনে নেয় বিশেষ গন্ধযুক্ত গ্যাস। এভাবেই তারা নেশা করে। এসব ছিন্নমূল শিশুদের জীবনে নতুন ধরনের এই নেশা তাদের জীবনকে ভয়াবহ ক্ষতির দিকে ঠেলে দেয়ার আগেই শিশু অধিকার এবং শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে যাদের বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে তাদের আরো দায়িত্বশীল হয়ে শিশুদের এই ভয়াবহ পরিণতি থেকে রক্ষার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার এখনই সময়। 
                                                                           ০১৭১১৫৭৯২৬৭
                                                                                                                   

2 comments:

  1. পথশিশু নই, নগরফুল ওদের নাম।নগরময় বাগানের ওরাই উজ্জীবিত ফুল।ওদের সুবাস দিয়ে দখল করবে একদিন এই নগর কে,এইটাই আমাদের চাওয়া।।।

    ReplyDelete