Monday, May 16, 2016

বৃক্ষ, পাখি, বন্যপ্রাণী হত্যারও বিচার চাই

বৃক্ষ, পাখি, বন্যপ্রাণী হত্যারও বিচার চাই
আলী ফোরকান
প্রতিদিন দৈনিক কাগজে অনেক খবর আসে। তার মধ্যে কোনো একটি দু’টি খবর বুকের ভেতরটা শূন্য করে দিয়ে যায়। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রথম খবরটির শিরোনাম ‘বিষটোপ দিয়ে চলছে নিধনযজ্ঞ/ পাখিশূন্য কাউয়াদীঘি হাওর’ এবং দ্বিতীয়টির শিরোনাম ‘মাগুরায় সড়কের দু’পাশের ৩ হাজার গাছ রাতের আঁধাতে হাওয়া তৃতীয়টি ‘বেনাপোলে বিএনপি নেতার এক বিঘা জমির কুলগাছ কেটে ফেলেছে সন্ত্রাসীরা’। কাউয়াদীঘি মৌলভীবাজারের বিখ্যাত হাওর। রাজনগর উপজেলার এই হাওরের উলাউলি, ফাটাসিংরা, সিলকাটোয়া, মাঝেরবন্দ ও বধিরপাড় বিলে শীতের পরিযায়ী পাখির কাকলিতে মুখর হয়ে ওঠে প্রতি বছরের মতো। এই সুযোগে চার-পাঁচ দিন আগে ধানগাছ পিষে এক রকমের বিষ মিশিয়ে বিষটোপ করে ওই হাওরের বিলের ধানক্ষেতে ও পানিতে ছিটিয়ে দেয়। এই বিষটোপ খেয়ে লেঞ্জা হাঁস, অটা, বক ইত্যাদি নানা প্রজাতির পাখি নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এভাবে চলে পাখি নিধন উৎসব। এলাকাবাসী বলেন, উপজেলার আমিরপুর, খালদার, শাহবাজপুর, সারমপুর, শেওলা, ধুলিজুড়া, বাঘেশ্বর, শ্রীভোগ, বড়দল, অন্তেহরি, বদিরভান্ড, সিলকাটোয়া, কাসিমপুর, সোনাপুর, ইসলামপুর, খোঁজারগাঁও, কালাইপুর, বেতাহুঞ্জা, চালবনসহ ১৫-২০টি গ্রামের ধানক্ষেত ও হাওর এলাকায় মরা ও আধমরা পাখি দেখতে পাওয়া যায়। চাষীদের কেউ বাকি নেই দু’-একটা পাখি পায়নি। কাউয়াদীঘি হাওরের পাড়ের বিস্তীর্ণ গ্রামজুড়ে পাখির মাংস রান্নার সুগন্ধে ভরে যায়। উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন যে, এখন হাওরে আর পাখির অস্তিত্ব নেই। রাজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও দোষীদের খুঁজে বের করার চেষ্টার কথা বলেছেন। সত্যিই কি দোষীদের খুঁজে বের করা হবে? শাস্তি দেয়া হবে এই গুরুতর অপরাধের জন্য? নাকি অন্যান্য অনেক কাজের হোতা দোষীদের ভিড়ে এরাও মিশে যাবে?
দ্বিতীয় ক্ষমাহীন অপরাধ ঘটে মাগুরায়। মাগুরার মহম্মদপুরের বিনোদপুর, রাজাপুর, নহাটা ও পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ১৫০ কি.মি. রাস্তায় স্থানীয় জাগরণী চক্র ও ইউনিয়ন পরিষদ একটি যৌথ প্রকল্পের মাধ্যমে ৫০ হাজার গাছ রোয়। কথা ছিল ১৫ বছর পর গাছগুলো মোটামুটি বয়স্ক হলে সেগুলো বিক্রি করে তার অর্থের ২০ ভাগ উদ্যোগী সংস্থা, ২০ ভাগ ইউনিয়ন পরিষদ ও বাকি ৬০ ভাগ নিজ নিজ এলাকার দুস্থ বিধবা মহিলা যারা এগুলো দেখভাল করেছে তাদের মধ্যে বিলিবন্টন করা হবে। কিন্তু প্রভাবশালী ও সন্ত্রাসী মহল গাছগুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছে। মহম্মদপুর থানা ধীরে-সুস্থে তদন্তের ব্যবস্থা হয়তো নিচ্ছে-নেবে করছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হয়তো হাত-পা ধুচ্ছে বিষয়টি জানার জন্য।
তৃতীয়টি, ২ ফেব্রুয়ারি বা সোমবার রাতে বেনাপোলের সাদিপুর গ্রামের কাহার আলীর এক বিঘা জমির কুলগাছ কেটে ফেলেছে সন্ত্রাসীরা। এখন ফুলের মৌসুম। কুলসহ গাছ কেটে ফেলায় তার পথে বসা ছাড়া বাকি কী থাকবে! এর কি কোনো সুবিচার হবে, প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে?
এ রকম ঘটনা কয়েক বছর ধরে খুব বেড়ে গেছে। দৈনিক কাগজের পাঠকেরা পড়ে পড়ে দীর্ঘনিশ্বাস ফেলেন। এমনকি সরকারি উদ্যোগেও রাস্তার ধারের গাছ কাটা হয় অবৈধভাবে। আরও পড়েছি সাবেক প্রধানমন্ত্রী কোনো এলাকায় বক্তৃতা দিতে যাবেন বলে ওই এলাকার রাস্তার ধারের গাছ কেটে সাফা করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে। যেমন ১৯৭৫ সালের পরে ঢাকার নিউ মার্কেট, শাহবাগ প্রভৃতি এলাকার বড় বড় গাছ কাটা হয়েছিল। সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা যাতে ‘স্ট্রিট ফাইট’ করার সময় গাছগুলোকে ঢাল-বর্ম হিসাবে ব্যবহার করতে না পারে সেই যুক্তিতে। ঢাকা নগরীর ফুটপাত ও সড়কদ্বীপ, মোড়ের দ্বীপে, গাছ রোয়া, কাটা, ফোয়ারা বসানো ও উচ্ছেদ-উচ্ছেদ খেলা চলছেই। নগরীর কিছু কিছু সরকারি দু-এক কাঠা জায়গায় যেখানে গাছ ছিল ও আছে, সৌন্দর্যায়নের নামে ইট-সিমেন্ট দিয়ে সেখানকার গাছের গোড়ায় ফাঁস লাগানো হচ্ছে। যেমন মতিঝিলের শিল্প ভবনের সামনের তেকোণা পার্কটিকে কিছু দিন আগে করা হয়েছে। তেজগাঁও শিল্প এলাকার রাস্তাগুলোতে ফুটপাতও বেশ খোলামেলা। নগরীর ব্যস্ত এলাকার মতো এখানে জনারণ্য নেই। রাস্তার পাশে ও ফুটপাতে প্রচুর গাছ এখানে। কখনও কি লক্ষ্য করেছেন মেহগনি, সুপুরি, কদম, শিশু প্রভৃতি গাছগুলোর গোড়া কীভাবে সিমেন্টের ফাঁস পরানো হয়েছে? অপরিকল্পিতভাবে গাছ রোয়া ও ফুটপাত নির্মাণের স্বর্গ এখানে। সরকারের প্রকৌশলী বা হোমরা-চোমরাদের কেন এর জন্য শাস্তি হয় না? ঢাকার প্রত্যেকটি সড়কদ্বীপে বকুল, নিম অথবা বট-পাকুড়, দেবদারু (পলিএ্যালথিয়া লঙ্গিফলিয়া) বা মেহগনি কেন? এক-দেড় ফুট চওড়া সড়কদ্বীপের গাছ এগুলো নয়, এসব গাছ হয় বিশাল, এদের মহীরুহ বলে। সড়কদ্বীপের তলায় আছে ইট। এখানে বড় জোর কামিনী, বিচিত্র মাদার, শিউলি, কুর্চি, ম্যাগনোলিয়া বা উদয়পদ্ম, কেয়া, কৃষ্ণবট, কাঞ্চন, গুলাচ, ফিফাস বেঞ্জামিনা (বটের প্রজাতি) দেওয়া যায়। ঢাকার মুক্তাঙ্গন হয়েছে অবৈধভাবে ভাড়ার গাড়ির আড্ডাখানা। সচিবালয়ের পাশে মুক্তাঙ্গনের গাছ কীভাবে ধ্বংস হয়ে যায় কেউ দেখে না। মফস্বলে পাখি মারে, গাছ কাটে তার বিচার নেই। কিন্তু বিচার হতে হবে। প্রজাতন্ত্রের সমস্ত বড় গাছের মালিক রাষ্ট্রপতি হোক। এমনকি কচ্ছপ, গোসাপ, কুমির, বাঘ, হাতি ইত্যাদি অনেক প্রাণী হত্যাও আইনত নিষিদ্ধ। তাই সমস্ত হত্যার বিচার হওয়া চাই। ‘অতিথি পাখি ধরো আর খাও’- এই বেআইনী বাণী এ যুগে অচল।
বৃক্ষ, পাখি, বন্যপ্রাণী হত্যারও বিচার চাই
আলী ফোরকান
প্রতিদিন দৈনিক কাগজে অনেক খবর আসে। তার মধ্যে কোনো একটি দু’টি খবর বুকের ভেতরটা শূন্য করে দিয়ে যায়। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রথম খবরটির শিরোনাম ‘বিষটোপ দিয়ে চলছে নিধনযজ্ঞ/ পাখিশূন্য কাউয়াদীঘি হাওর’ এবং দ্বিতীয়টির শিরোনাম ‘মাগুরায় সড়কের দু’পাশের ৩ হাজার গাছ রাতের আঁধাতে হাওয়া তৃতীয়টি ‘বেনাপোলে বিএনপি নেতার এক বিঘা জমির কুলগাছ কেটে ফেলেছে সন্ত্রাসীরা’। কাউয়াদীঘি মৌলভীবাজারের বিখ্যাত হাওর। রাজনগর উপজেলার এই হাওরের উলাউলি, ফাটাসিংরা, সিলকাটোয়া, মাঝেরবন্দ ও বধিরপাড় বিলে শীতের পরিযায়ী পাখির কাকলিতে মুখর হয়ে ওঠে প্রতি বছরের মতো। এই সুযোগে চার-পাঁচ দিন আগে ধানগাছ পিষে এক রকমের বিষ মিশিয়ে বিষটোপ করে ওই হাওরের বিলের ধানক্ষেতে ও পানিতে ছিটিয়ে দেয়। এই বিষটোপ খেয়ে লেঞ্জা হাঁস, অটা, বক ইত্যাদি নানা প্রজাতির পাখি নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এভাবে চলে পাখি নিধন উৎসব। এলাকাবাসী বলেন, উপজেলার আমিরপুর, খালদার, শাহবাজপুর, সারমপুর, শেওলা, ধুলিজুড়া, বাঘেশ্বর, শ্রীভোগ, বড়দল, অন্তেহরি, বদিরভান্ড, সিলকাটোয়া, কাসিমপুর, সোনাপুর, ইসলামপুর, খোঁজারগাঁও, কালাইপুর, বেতাহুঞ্জা, চালবনসহ ১৫-২০টি গ্রামের ধানক্ষেত ও হাওর এলাকায় মরা ও আধমরা পাখি দেখতে পাওয়া যায়। চাষীদের কেউ বাকি নেই দু’-একটা পাখি পায়নি। কাউয়াদীঘি হাওরের পাড়ের বিস্তীর্ণ গ্রামজুড়ে পাখির মাংস রান্নার সুগন্ধে ভরে যায়। উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন যে, এখন হাওরে আর পাখির অস্তিত্ব নেই। রাজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও দোষীদের খুঁজে বের করার চেষ্টার কথা বলেছেন। সত্যিই কি দোষীদের খুঁজে বের করা হবে? শাস্তি দেয়া হবে এই গুরুতর অপরাধের জন্য? নাকি অন্যান্য অনেক কাজের হোতা দোষীদের ভিড়ে এরাও মিশে যাবে?
দ্বিতীয় ক্ষমাহীন অপরাধ ঘটে মাগুরায়। মাগুরার মহম্মদপুরের বিনোদপুর, রাজাপুর, নহাটা ও পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ১৫০ কি.মি. রাস্তায় স্থানীয় জাগরণী চক্র ও ইউনিয়ন পরিষদ একটি যৌথ প্রকল্পের মাধ্যমে ৫০ হাজার গাছ রোয়। কথা ছিল ১৫ বছর পর গাছগুলো মোটামুটি বয়স্ক হলে সেগুলো বিক্রি করে তার অর্থের ২০ ভাগ উদ্যোগী সংস্থা, ২০ ভাগ ইউনিয়ন পরিষদ ও বাকি ৬০ ভাগ নিজ নিজ এলাকার দুস্থ বিধবা মহিলা যারা এগুলো দেখভাল করেছে তাদের মধ্যে বিলিবন্টন করা হবে। কিন্তু প্রভাবশালী ও সন্ত্রাসী মহল গাছগুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছে। মহম্মদপুর থানা ধীরে-সুস্থে তদন্তের ব্যবস্থা হয়তো নিচ্ছে-নেবে করছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হয়তো হাত-পা ধুচ্ছে বিষয়টি জানার জন্য।
তৃতীয়টি, ২ ফেব্রুয়ারি বা সোমবার রাতে বেনাপোলের সাদিপুর গ্রামের কাহার আলীর এক বিঘা জমির কুলগাছ কেটে ফেলেছে সন্ত্রাসীরা। এখন ফুলের মৌসুম। কুলসহ গাছ কেটে ফেলায় তার পথে বসা ছাড়া বাকি কী থাকবে! এর কি কোনো সুবিচার হবে, প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে?
এ রকম ঘটনা কয়েক বছর ধরে খুব বেড়ে গেছে। দৈনিক কাগজের পাঠকেরা পড়ে পড়ে দীর্ঘনিশ্বাস ফেলেন। এমনকি সরকারি উদ্যোগেও রাস্তার ধারের গাছ কাটা হয় অবৈধভাবে। আরও পড়েছি সাবেক প্রধানমন্ত্রী কোনো এলাকায় বক্তৃতা দিতে যাবেন বলে ওই এলাকার রাস্তার ধারের গাছ কেটে সাফা করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে। যেমন ১৯৭৫ সালের পরে ঢাকার নিউ মার্কেট, শাহবাগ প্রভৃতি এলাকার বড় বড় গাছ কাটা হয়েছিল। সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা যাতে ‘স্ট্রিট ফাইট’ করার সময় গাছগুলোকে ঢাল-বর্ম হিসাবে ব্যবহার করতে না পারে সেই যুক্তিতে। ঢাকা নগরীর ফুটপাত ও সড়কদ্বীপ, মোড়ের দ্বীপে, গাছ রোয়া, কাটা, ফোয়ারা বসানো ও উচ্ছেদ-উচ্ছেদ খেলা চলছেই। নগরীর কিছু কিছু সরকারি দু-এক কাঠা জায়গায় যেখানে গাছ ছিল ও আছে, সৌন্দর্যায়নের নামে ইট-সিমেন্ট দিয়ে সেখানকার গাছের গোড়ায় ফাঁস লাগানো হচ্ছে। যেমন মতিঝিলের শিল্প ভবনের সামনের তেকোণা পার্কটিকে কিছু দিন আগে করা হয়েছে। তেজগাঁও শিল্প এলাকার রাস্তাগুলোতে ফুটপাতও বেশ খোলামেলা। নগরীর ব্যস্ত এলাকার মতো এখানে জনারণ্য নেই। রাস্তার পাশে ও ফুটপাতে প্রচুর গাছ এখানে। কখনও কি লক্ষ্য করেছেন মেহগনি, সুপুরি, কদম, শিশু প্রভৃতি গাছগুলোর গোড়া কীভাবে সিমেন্টের ফাঁস পরানো হয়েছে? অপরিকল্পিতভাবে গাছ রোয়া ও ফুটপাত নির্মাণের স্বর্গ এখানে। সরকারের প্রকৌশলী বা হোমরা-চোমরাদের কেন এর জন্য শাস্তি হয় না? ঢাকার প্রত্যেকটি সড়কদ্বীপে বকুল, নিম অথবা বট-পাকুড়, দেবদারু (পলিএ্যালথিয়া লঙ্গিফলিয়া) বা মেহগনি কেন? এক-দেড় ফুট চওড়া সড়কদ্বীপের গাছ এগুলো নয়, এসব গাছ হয় বিশাল, এদের মহীরুহ বলে। সড়কদ্বীপের তলায় আছে ইট। এখানে বড় জোর কামিনী, বিচিত্র মাদার, শিউলি, কুর্চি, ম্যাগনোলিয়া বা উদয়পদ্ম, কেয়া, কৃষ্ণবট, কাঞ্চন, গুলাচ, ফিফাস বেঞ্জামিনা (বটের প্রজাতি) দেওয়া যায়। ঢাকার মুক্তাঙ্গন হয়েছে অবৈধভাবে ভাড়ার গাড়ির আড্ডাখানা। সচিবালয়ের পাশে মুক্তাঙ্গনের গাছ কীভাবে ধ্বংস হয়ে যায় কেউ দেখে না। মফস্বলে পাখি মারে, গাছ কাটে তার বিচার নেই। কিন্তু বিচার হতে হবে। প্রজাতন্ত্রের সমস্ত বড় গাছের মালিক রাষ্ট্রপতি হোক। এমনকি কচ্ছপ, গোসাপ, কুমির, বাঘ, হাতি ইত্যাদি অনেক প্রাণী হত্যাও আইনত নিষিদ্ধ। তাই সমস্ত হত্যার বিচার হওয়া চাই। ‘অতিথি পাখি ধরো আর খাও’- এই বেআইনী বাণী এ যুগে অচল।

0 comments:

Post a Comment