শিক্ষার মান বাড়াতে ঃ শিক্ষকদের মান বাড়ান
আলী ফোরকান
শিক্ষক মানুষ তৈরির কারিগর। বলা যায়, শিক্ষক মানুষ চাষ করেন। যে চাষের মধ্য দিয়ে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটে। আর নীতি-আদর্শের বলয়ৈ একজন শিক্ষার্থী তার ব্যক্তি ও কর্মজীবনকে মুখরিত করে। পাশাপাশি পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্র তার ™^ারা উপকৃত হয়। এ কারণেই শিক্ষকতা পেশাকে অপরাপর পেশার মানদন্ডে পরিমাপ করা যায় না। অনাদিকাল থেকে এটি একটি সুমহান পেশা হিসেবে সমাজ-সংসারে পরিগণিত। আরো খোলাসা করে বলা যায়, শিক্ষকের জীবন ধারণের জন্য অর্থের প্রয়োজন হয়। এ অর্থ প্রকারান্তরে শিক্ষার্থীর কাছ থেকে সংগৃহীত হয়। কিন্তু শিক্ষা বিতরণ ও শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে এরূপ বিনিময়কার্যকে কখনোই শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে দাতা-গ্রহীতার সম্পর্কের ফ্রেমে বাঁধা যায় না। ঠিক যেমনটি বাঁধা যায় না সম্মানের সঙ্গে মাতা-পিতার সম্পর্কের ক্ষেত্রেও। যা যথাযথ মূল্যবোধতুষ্ট একটি সুশীল সমাজ বিনির্মাণ করতে পারবে না। অথচ দুঃখজনক হলেও সত্য, আমরা মহৎ ও নৈতিকতাপুস্ট, সর্বোৎকৃষ্ট এ পেশাকে অগোচরে কিংবা সগোচরে ক্রমেই ধাক্কা মেরে যাচ্ছি। আর একারণে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মানুষগড়ার কারিগরেরা দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছয় শতাধিক শিক্ষক শিক্ষা কার্যক্রমে অনুপস্থিত রয়েছেন। এদের অনেকেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিওসহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত। আবার অনেকে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। মোট অনুমোদিত ১ হাজার ৫৫০ জন শিক্ষকের প্রায় অর্ধেক শিক্ষক একাডেমিক কর্মকা- থেকে বিচ্ছন্ন রয়েছেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য ২০ জন অধ্যাপক দেশের বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি ও কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশে শিক্ষকদের পার্টটাইম জব ও কনসালটেন্সির ব্যাপারে কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। এর ফলে শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে লাগামহীনভাবে বিভিন্ন কাজে জড়িয়ে পড়ছেন। আর এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী শিক্ষকদের শিক্ষা ও মূল্যবান সাহচর্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শিক্ষকরা বলেছেন, কনসালটেন্সি বা পার্টটাইম জবের প্রয়োজন রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কম বেতনের কথাও তারা উলেখ করেছেন। ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষকদের এই প্রবণতার সমালোচনা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ বলেছেন, একজন শিক্ষককে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। তার মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি শিক্ষকরা জাতীয় অন্যান্য ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম ক্ষতি করে নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সূত্র মতে, ঢাকা বিশ¡বিদ্যালয়ের খ্যাতিমান যে সকল শিক্ষক শিক্ষা ছুটি নিয়ে বেসরকারি বিশ¡বিদ্যালয়ে চাকরি করছেন । কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই শিক্ষকদের ডেপুটেশন দিতে রাজি হয়নি। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর এমিরেটাস সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষকরা উপমহাদেশের সবচেয়ে গরীব। পাকিস্তান ও ভারতের শিক্ষকদের তুলনায় এদেশের শিক্ষকরা অনেক কম বেতন পায়। স্বল্প বেতনে শিক্ষকদের সামাজিক স্টাটাস ধরে রাখা প্রায় অসম্ভব। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাল শিক্ষকদের ধরে রাখতে হলে অবশ্যই বেতন কাঠামো বাড়াতে হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাইরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যেসব শিক্ষক পার্ট টাইম জব ও কনসালটেন্সি করতে যায় তাদের বেশিরভাগই খ্যাতিমান ও জনপ্রিয় শিক্ষক। এসব শিক্ষক অন্যত্র চলে যাওয়ায় বিভাগগুলোতে শূন্যতার সৃষ্টি হ্েচ্ছ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এর সত্যতা স্বীকার করেছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শিক্ষকরা ব্যাপকহারে জড়িয়ে পড়ায় শিক্ষকদের গবেষণা কার্যক্রমও কমে গেছে। বর্তমানে সাড়া জাগানো গবেষণা হয় না বললেই চলে। শিক্ষকদের বাইরে ব্যস্ততার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ ও জর্নালগুলোও নিয়মিত বের হয় না। এর ফলে প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখন আর খ্যাতিমান প-িত বের হচ্ছে না। এশিয়ার এক সময়কার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মানও দিন দিন নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে। শিক্ষকতা পেশার প্রতি আমাদের সম্মান দেখাতে হবে। আমরা কোন অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়লে জাতি বিভ্রান্ত হবে। বাইরের কাজে সম্পৃক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শতাধিক শিক্ষক বর্তমানে রাজধানী ও রাজধানীর বাইরের বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে কোথাও পূর্ণকালীন আবার কোথাও খণ্ডকালীন শিক্ষক এবং বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা, এনজিও প্রতিষ্ঠান, বিদেশী সংস্থার পরামর্শক ইত্যাদিতে কনসালট্যান্ট হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন। ২৪৫ জন শিক্ষক ছুটি নিয়ে বিদেশে অবস্থান করছেন। এছাড়া আরো ২৫ জন অননুমোদিতভাবে বিদেশে অবস্থান করছেন। অননুমোদিতভাবে ছুটিতে থাকা এসব শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। যে চার শতাধিক শিক্ষক বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত রয়েছেন তাদের মধ্যে মাত্র ৮/১০ জন শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বৈধ ছুটি বা ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ (এনওসি) নিয়েছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশ তাদের আয়ের ১০ ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারে জমা দেয়া থেকে রেহাই পাবার জন্য আবেদন করেছেন। লুকিয়ে কাজ করার প্রবণতার অভিযোগ রয়েছে। ওভার হেড চার্জ না দেয়ার লক্ষ্যে অনেক শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে এক প্রকার লুকিয়ে পার্ট টাইম চাকরি ও কনসালটেন্সি করছেন। তাদের এই মানসিকতার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একদিকে যেমন আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে, অন্যদিকে শিক্ষকদের খন্ডকালীন চাকরির কারণে শিক্ষার্থীরা তাদের (শিক্ষকদের) শিক্ষা ও মূল্যবান সাহচর্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ডীন জানান, মাত্র দু’একজন শিক্ষক ছুটি নিয়েছেন। এছাড়া অধিকাংশ শিক্ষক কোন ছুটি না নিয়েই কনসালটেন্সি করছেন। শিক্ষকদের ক্লাস ফাঁকি এবং সঠিক সময় পরীক্ষার খাতা জমা না দেয়ায় সেশনজটও ত্বরান্বিত করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী একজন অধ্যাপকের সপ্তাহে ১০টি, সহযোগী অধ্যাপকের ১৪টি, সহকারী অধ্যাপকের এবং প্রভাষকের ১৬টি ক্লাস নেয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ শিক্ষক তা নেন না। দেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ে টেনে থাকেন। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নাম ব্যবহার করে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ বাড়িয়ে থাকে। আর এ কারণেই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পার্ট টাইম জবের প্রবণতাও বেড়েছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য সংশি¬ষ্টরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতিমান শিক্ষকদের টাকার বিনিময়ে এক প্রকার ‘কিনে’-এর মডেল হিসেবে উপস্থাপন করছে। “১৩ দফা উদ্যোগ ব্যর্থ” থেকে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশে শিক্ষকদের পার্টটাইম জব বা কনসালটেন্সির ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোন নিয়ম-নীতির উল্লে¬খ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণি বডি সিন্ডিকেটে পাসকৃত নিয়মানুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে কোন প্রতিষ্ঠানে কোন শিক্ষক যুক্ত হতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে উপার্জিত অর্থের শতকরা দশভাগ ওভারহেড চার্জ দিতে হবে। এছাড়া ওই কাজে যোগদানের আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনুমতি নিতে হবে। শিক্ষকদের ব্যাপকহারে পার্ট টাইম জব ও কনসালটেন্সি থেকে বিরত রাখতে ও তা নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষ ১৩ দফা উদ্যোগ নেয়। কিন্তু শিক্ষকদের পার্ট টাইম জব ও কনসালটেন্সির প্রবণতা বন্ধ করা যায়নি। বরং তা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমান বেতন কাঠামো রেজিস্ট্রার অনুসারে, বাড়ি ভাড়া, বিভিন্ন ভাতাসহ ঢাকা বিশ¡বিদ্যালয়ের একজন প্রভাষক মাসে ১২ হাজার টাকা, সহকারী অধ্যাপক ১৬ হাজার টাকা, সহযোগী অধ্যাপক ২০ হাজার টাকা এবং অধ্যাপক ২৪ হাজার টাকা বেতন পান। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে স্বল্প আয় দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের পক্ষে সংসারের ব্যয়ভার মেটানো প্রায় অসম্ভব। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক তিন থেকে পাঁচ বছরের ছুটি নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সম্পৃক্ত রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি শেষ হওয়ার আগে আবার যোগদান করে পেনশন তুলছেন। ছাত্র-শিক্ষকদের দলীয় রাজনীতি ও স্বল্প বেতন কাঠামোর কারণে আজ অনেক শিক্ষক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন চাকরি করছেন। অবিলম্বে এটা বন্ধ করতে হবে। আর এটা বন্ধ করতে আকর্ষণীয় বেতন কাঠামো প্রয়োজন। শুধু ঢাকা বিশ¡বিদ্যালয় নয়, সব শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। দ্রব্যমূল্যের কথা চিন্তা করে হলেও শিক্ষকদের বেতন কাঠামো বাড়ানো দরকার। মেধাবী শিক্ষকদের ঢাকা বিশ¡বিদ্যালয় ছেড়ে অন্যত্র চাকরি করার কারণ হিসাবে অনেকে স্বল্প বেতন কাঠামোকেই দায়ী করেন। ঢাকা বিশ¡বিদ্যালয়ের প্রোভিসি অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার বলেন, ‘মেধাবী শিক্ষকদের ধরে রাখতে হলে বেতন কাঠামো বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। আবার শিক্ষকদেরও শিক্ষকতা পেশার মহত্ত্বের কথা মনে রাখতে হবে।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এসএমএ ফায়েজ বলেন, কনসালটেন্সির মাধ্যমে যদি গবেষণা-দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং জ্ঞান ভা-ারের সমৃদ্ধি ঘটে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমকে বিঘিœত না করে সেক্ষেত্রে আপত্তির কিছু নেই। নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত সময় প্রদান করে নির্ধারিত মাত্রায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদানের মধ্যে দোষের কিছু নেই। বিদেশেও শিক্ষকবৃন্দ নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে তাদের মেধার স্বাক্ষর রাখেন। কিন্তু বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের সংশি-ষ্টতার কারণে নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান, পরীক্ষা গ্রহণ এবং জ্ঞান চর্চার মূল দায়িত্বের কথা আমাদের ভুলে থাকার কোন অবকাশ নেই। অপরদিকে একটি জাতীয দৈনিকের প্রকাশিত খবরে জানা যায়,সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক না থাকায় ক্লাসের সময় মাঠে আড্ডাদেয় শিক্ষার্থীরা। সিলেট কৃুষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃপক্ষ জানায়,তিনটি অনুষদে ৫৬ জন শিক্ষক কর্মরত। এর মধ্যে ভেটোরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের অধীনে ১৭টি বিভাগে ৪২ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। ১১ জন শিক্ষক শিক্ষা- ছুটিতে রয়েছেন। ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে আরও শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া উচিত। রেজিস্ট্রার জানান, ভেটেরিনারি অনুষদে ১৩জন শিক্ষক চেয়ে মঞ্জুরি কমিশনে আবেদন করা হয়েছে। বাকি অনুষদে আপাতত সংকট নেই। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইব্রেরিতে বইয়ের সংকট ছাড়াও নেই ইন্টারনেট সুবিধা। ছাত্রহলগুলো থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তা পাকা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানি ও কাদায় একাকার হয়ে যায়। বাথরুম সমস্যাসহ রয়েছে পয়-নিঃস্কাশনের দুরাবস্থা। হাজারো সমস্যার মধ্যে উল্লে¬খযোগ্য সমস্যা শিক্ষক সংকট। তবে উপচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, সমস্যাগুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হচ্ছে। শিক্ষক সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কে জানানো হয়েছে। আমরা আশাকরি সরকার ও সংশ্লি¬ষ্ট কতৃপক্ষ শিক্ষার মান বাড়াতে শিক্ষকদের বেতন কাঠামো বাড়াতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন।
মোবাইল:০১৭১১৫৭৯২৬৭
0 comments:
Post a Comment