Wednesday, April 25, 2018

স্মরণ: শচীন দেববর্মণ

স্মরণ: শচীন দেববর্মণ
আলী ফোরকান
জন্ম: ১৯০৬ সালের ১ অক্টোবর 
মৃত্যু : ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে ৩১ অক্টোবর 
বাংলা সংগীত জগতে এস ডি বর্মণ নামেই পরিচিত। সংগীতে অসামান্য গুণী এই মানুষটি কুমিল্লার ত্রিপুরার চন্দ্রবংশীয় মানিক্য রাজপরিবারে ১৯০৬ সালের ১ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। বাবা নবদ্বীপচন্দ্র দেববর্মণ, মা নিরুপমা দেবী।
বাবার শচীন দেববর্মণের সংগীতের হাতেখড়ি। এরপর তার সংগীত শিক্ষা চলে উস্তাদ বাদল খান এবং বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে। পরবর্তীতে তিনি উস্তাদ আফতাব উদ্দিন খানের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন।
১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রে শচীন প্রথম গান করেন। ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে প্রথম গ্রামোফোন রেকর্ড বের হয় হিন্দুস্তান মিউজিক্যাল প্রোডাক্টস থেকে। ১৯৩০-এর দশকে তিনি রেডিওতে পল্লীগীতি গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে অল ইন্ডিয়ান মিউজিক কনফারেন্সে তিনি গান গেয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে বেঙ্গল মিউজিক কনফারেন্সে ঠুমরি পেশ করে ওস্তাদ ফৈয়াজ খাঁকে মুগ্ধ করেছিলেন। শেখ ভানুর রচনা ‘নিশিথে যাইয়ো ফুলবনে’ দেহ ও সাধনতত্ত্বের গানটিকে তিনি প্রেমের গানে রূপান্তর করলেন কবি জসীমউদ্দীনকে দিয়ে এবং রূপান্তরিত এই গানটি রেকর্ড করলেন ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে। ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে রাজগী নামক চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার সংগীত পরিচালনা জীবনের শুরু। ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতের সংগীতে নাটক একাডেমি এবং এশিয়ান ফিল্ম সোসাইটি লন্ডন থেকে সম্মাননা লাভ করেন। ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার হতে পদ্মশ্রী খেতাব লাভ করেন। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে ৩১ অক্টোবর তার প্রয়াণ হয়। গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি তাকে।

0 comments:

Post a Comment