মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন দুরশিক্ষণের ভূমিকা
আলী ফোরকান
বাংলাদেশ একটি নদী মাতৃক দেশ। এদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য নদী-নদী, খাল-বিল, হাওর-বাঁওড়, পুকুর ডোবা ইত্যাদি জলাশয়। আর এসব জলাশয়ে রয়েছে নানা প্রজাতির মৎস্য সম্পদ। এদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার তুলনায় এ মৎস্য সম্পদ অপ্রতুল। তাই মানুষের পুষ্টি চাহিদা পুরণের জন্য মৎস্য সম্পদের আরো উন্নয়ন প্রয়োজন। প্রাকৃতিক ও পরিবেশগত কারনে বাংলাদেশে মৎস্য উৎপাদনের যেমন বি¯তৃতি ক্ষেত্র রয়েছে, তেমনি মৎস্য সম্পদ উন্নয়নেরও যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। মৎস্য সম্পদ উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন দেশের বিপুল সংখ্যক জনগণকে মৎস্য বিষয়ক জ্ঞান অর্জনের সুযোগ করে দেয়া। এবিপুল জনগোষ্ঠী দারিদ্রতা ও নানা প্রতিকুলতার কারণে ঐতিহ্যগত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। বাংলাদেশের মানুষ দারিদ্রতা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বল্পতা, অভিবাবকদের সঠিক দিক নির্দেশনার অভাবে যথাসময়ে যথাযথ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষা লাভ করার সুযোগ পায়নি। দূরশিক্ষণে যেহেতু ঘরে বসে, কর্মরত অবস্থায় যে কোন বয়সে শিক্ষা লাভ করা সম্ভব। তাই এটি বাংলাদেশের জন্য শিক্ষা প্রসার করার ক্ষেত্রে একটি নতুন দ্বার উন্মোচন করছে।
দূর শিক্ষণ ঃ প্রথাগত শিক্ষা পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট ক্যাম্পাসে উপস্থিত থেকে নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়সূচী অনুসারে শিক্ষকের কাছে পাঠ গ্রহণ করে থাকে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর নৈকট্য এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। শিক্ষক এখানে শিক্ষার্থীর সামনে সরাসরি পাঠ উপস্থাপন করেন এবং শিক্ষার্থীর কাছ থেকে তাৎক্ষনিক ফিডব্যাক পেয়ে থাকেন।
অন্যদিকে দুরশিক্ষণে:
ক্স শিক্ষক শিক্ষার্থীকে সরাসরি পাঠদান করেন না।
ক্স শেখার কাজটি শিক্ষার্থী নিজেই করেন।
ক্স বিশেষভাবে লেখা কোর্স বইগুলো শিক্ষকের কাজ করে।
ক্স অন্যান্য সামগ্রী যেমন শিক্ষর্থী নির্দেশিকা, অডিও ক্যাসেট শিক্ষার কাজে সাহায্য করে।
ক্স উপরেবর্ণিত শিক্ষা সহায়ক সামগ্রী তৈর হয় যেন শিক্ষার্থী মুখ্যত এগুলোর সাহায্যেই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন।
ক্স পাঠের সময় ও স্থান শিক্ষার্থী নিজের সুবিধামত ঠিক করেন।
ক্স পাঠ গ্রহণের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর প্রয়োজনের প্রতি লক্ষ্য রেখে টিউটরিয়াল সেন্টারে সমস্যা ভিত্তিক আলোচনা ও নির্দেশনার ব্যব¯া’ থাকা।
ক্স টিউটরগণ শিক্ষার্থীকে এই সাহায্যে প্রদান করেন। শিক্ষার্থী নিজের চাহিদা অনুসারে তা গ্রহণ করেন।
মৎস্য সম্পদের উন্নয়নের জন্য মৎস্য বিষয়ক জ্ঞান অর্জন আবশ্যক।
দূরশিক্ষনের মাধ্যমে সাধারণত আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা দেয়া হয়ে থাকে। অনানুষ্ঠানিক শিক্ষায় সাধারনত বিভিন্ন মাধ্যমে যেমন বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন, অডিও ক্যাসেট ইত্যাদির মাধ্যমে মৎস্য বিষয়ক জ্ঞান দান করা হয়ে থাকে। দূরশিক্ষনের মাধ্যমে যেকোন বয়সের যেকোন পেশার লোক ঘরে বসে মৎস্য বিষয়ক জ্ঞান অর্জন করতে পারে। ফলে দুরশিক্ষণের মাধ্যমেই একমাত্র দেশের বিপুল সংখ্যক লোককে অল্প সময়ে দক্ষ জনবল হিসেবে তৈরী করা সম্ভব। আর এসব দক্ষ জনবল যখন মৎস্য বিষয়ক জ্ঞান অর্জন করার পাশাপাশি মাছ চাষ, মাছের পোনা, উৎপাদন ইত্যাদি কাজে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত হবে তখন স্বাভাবিকভাবেই মাছের উৎপাদন বাড়বে। এতে দেশের মৎস্য সম্পদের উন্নযন ঘটবে এবং এর পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে গরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাই আমরা বলতে পারি যে দেশের মৎস্য সম্পদ উন্নয়নের দূর শিক্ষনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বাংলাদেশে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় দূরশিক্ষনের মাধ্যমে দেশের মৎস্য সম্পদ উন্নয়নের জন্য এক নবদিগন্তের দ্বার উন্মোচন করছে। ১৯৯২ সালের ২০শে অক্টোবর জাতীয় সংসদের পাশকৃত এক আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। যাত্রা শুরুর পর থেকে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্নভাবে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক প্রোগ্রামের মাধ্যমে দেশের মৎস্য সম্পদ উন্নয়নের জন্য মৎস্য বিষয়ক জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে দক্ষ জনবল তৈরির ক্ষেত্রে এক বিশেষ গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বাউবি ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ বেতার এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন এর মাধ্যমে মৎস্য বিষয়ক, বাস্তব ভিত্তিক আনুষ্ঠানিক প্রোগাম ও অনানুষ্ঠানিক প্রোগাম সম্প্রচার করে আসছে। ফলশ্র“তিতে,দেশের বিপুল সংখ্যক জনগণ নিজ এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না গিয়ে ও ঘরে বসে নিজ নিজ কাজের পাশাপাশি মৎস্য বিষয়ক বাস্তব জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছে। ফলে মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে এরা প্রত্যক্ষ্য ও পরোক্ষভাবে ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯৭ সালের জানুয়ারী মাসে ব্যাচেলার অব এগ্রিকালচালার এডুকেশন নামে একটি প্রোগ্রাম চালু করেছে। যা সম্পূর্ণরুপে দুরশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষাদান পদ্ধতিতে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে সারাদেশে মৎস্য বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে মোট ৯ টি ক্রেডিটের জন্য ৪টি কোর্স বইয়ের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন সম্ভব হচ্ছে। বর্তমানে এ প্রোগ্রাম সম্পাদনকারীরা ভবিষ্যতে দক্ষ জনবল হিসেবে দেশের মৎস্য সম্পদ উন্নয়নের পত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এছাড়াও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সমগ্র অঞ্চলে বেকার যুবক/মহিলাসহ সকল পেশার সকল শ্রেনীর লোকদেরকে মৎস্য বিষয়ক জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে “সার্টিফিকেট ইন পিসি কালচার এন্ড ফিশ প্রসেসিং” নামে একটি সার্টিফিকেট প্রোগ্রাম” গত ১৯৯৮ সালের জুলাই মাস থেকে চালু করেছে। এ প্রোগ্রামটির মেয়াদ ৬ মাস। প্রোগ্রামে অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন মৎস্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রশিক্ষণ একাডেমী এবং বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনষ্টিটিউটের বিভিন্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লোকজন তাদের নিকটস্থ অঞ্চলের টিউটারিয়াল কেন্দ্রে ভর্তি হয়ে মৎস্য বিজ্ঞান বিষয়ে জ্ঞান অর্জনে সক্ষম হচ্ছে। ফলে কোর্সটি সমাপ্তকারীরা দেশের মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করবে। তাছাড়া এ প্রোগ্রামের বিভিন্ন বিষয়ের গুরুত্বপূূর্ণ অংশগুলো দ্বারা প্রচার করা হবে বিধায় প্রোগ্রামের ভর্তিকৃত ছাত্র/ছাত্রী ছাড়াও অন্যান্য সকল জনগনই ঘরে বসে বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে মৎস্য বিষয়ে জ্ঞান অর্জনে সক্ষম হবেন। এছাড়া দুরশিক্ষনের মাধ্যমেই একজন মৎস্য বিশেষজ্ঞ একই সাথে লক্ষ লক্ষ জনগণকে মৎস্য বিষয়ে জ্ঞান দান করতে সক্ষম হয়। শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত বিশাল জনগোষ্ঠিকে শিক্ষিত ও সচেতন করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তে ভিন্নধর্মী ও বিকল্প শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে। দূর শিক্ষণে দক্ষ মেধাসম্পন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে একই সাথে একই ভাষাভাষির বিশাল জনগোষ্ঠিকে শিক্ষিত করা যায় অথচ প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় শুধুমাত্র সীমিত কতিপয়ের মাঝে শিক্ষার আলো পৌঁছানো সম্ভব। কম্পিউটার, ইন্টারনেট, টেলিযোগাযোগ, ডাকব্যবস্থা, রেডিও, টেলিভিশন, অডিও ভিডিও ক্যাসেট প্রভৃতি প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষাকে মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে গেছে।
বাংলাদেশের মতো জনবহুল অথচ উন্নয়নশীল দেশে দুরশিক্ষনের মাধ্যমে মৎস্য বিষয়ে জ্ঞান অর্জন বিশেষ গুরুত্বপূর্ন।
শিক্ষাদান পদ্ধতি: দুরশিক্ষণ পদ্ধতিতে ভর্তির সময় ছাত্র-ছাত্রীদের পাটসামগ্রী প্রদান এবং পরবর্তীতে টিউটোরিয়াল সেবা প্রদানসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষাদান করা হয়।
পাঠ্যসামগ্রী ঃ ভর্তির সময় প্রতিটি কোর্সের জন্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ দিয়ে রচিত প্রশিক্ষণ উপযোগী পাঠ্যপুস্তক দেয়া হয়। এসব পাঠ্যপুস্তক এমনভাবে রচিত যেন ছাত্ররা নিজেদের ঘরে বসে নিজে নিজে পড়ে জ্ঞান লাভ করতে পারেন। পাঠ্যপুস্তক তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয় বিষয়ই অন্তর্ভূক্ত থাকে।
ব্যবহারিক ঃ টিউটরগনের তত্ত্বাবধানে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের নিজ নিজ পারিবারিক পরিবেশ, স্থানীয় সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রতিষ্ঠান এবং টিউটরিয়াল কেন্দ্রে ব্যবহারিক বিষয়সমূহ সম্পর্কে হাতে কলমে শিক্ষালাভ করে থাকে।
টিউটোরিয়াল ঃ ছাত্র-ছাত্রীরা তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক বিষয়ে পাঠসংক্রান্ত যেসব সমস্যার সম্মুখীন হবেন তা সমাধানের জন্য নির্ধারিত টিউটোরিয়াল কেন্দ্রে বিশেষজ্ঞ শিক্ষকের পরামর্শ নিতে পারবেন। টিউটোরিয়াল কেন্দ্রে সপ্তাহের নির্দিষ্ট শুক্রবারে পরামর্শ প্রদান করা হয়।
রেডিও টেলিভিশন ঃ পাঠ্যসূচির অপেক্ষাকৃত গুরুত্বপূর্ণ এবং জটিল অংশৈর উপর মাঝে মাঝে রেডিও ও টিভি প্রোগ্রাম প্রচার করা হবে। মৎস্য সম্পদ উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন দেশের বিশাল জনগোষ্ঠিকে মৎস্য বিষয়ক জ্ঞান অর্জনে সুযোগ দিয়ে মৎস্য বিষয়ক জ্ঞানে শিক্ষিত করে তোলা। কিন্তু আমাদের দেশে মৎস্য বিয়ষক জ্ঞান লাভের জন্য হাতেগোনা গুটিকয়েক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যাতে নির্দিষ্ট বয়সের নির্দিষ্ট সংখ্যক লোক মৎস্য বিষয়ক জ্ঞান লাভের সুযোগ পাচ্ছে। কিন্তু এতে বিশাল জনগোষ্ঠি মৎস্য বিষয়ক জ্ঞান অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অথচ দুরশিক্ষণ পদ্ধতিতে যেকোন বয়সের যে কোন পেশায় যে কোন লোককে একই সাথে লক্ষ লক্ষ লোককে এ বিষয়ে জ্ঞান দান করে শিক্ষিত করা সম্ভব দেশের সর্বোচ্চ মেধাবী ও দক্ষ ব্যক্তিদের মাধ্যমে একই সাথে লক্ষ লক্ষ লোককে মৎস্য বিষয়ক জ্ঞানে শিক্ষিত করে তোলা বা মৎস্য বিষয়ক জ্ঞানের প্রসার ঘটানোর ক্ষেত্রে দূল শিক্ষন পদ্ধতিতে শিক্ষক শিক্ষাদানে অগ্রণি ভূমিকা পালন করে। কিন্তু দুরশিক্ষণ শিক্ষার্থী মড্যুনার পদ্ধতিতে লেখা বাই প্রশিক্ষণ পদ্ধতিতে লেকা হয় বিধায় নিজে অধ্যয়ন করে শিখে এবং রেডিও টিভি প্রোগ্রাম ও অডিও ভিডিও ক্যাসেট দেখে শুনে শিক্ষার্থী নিজেকে প্রস্তুত করে তোলেন। দূরশিক্ষন পদ্ধতিতে একজন মৎস্য বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মৎস্য বিজ্ঞানী বা একজন মৎস্যবিষয়ক শিক্ষক নিকটস্থ। নির্ধারিত টিউটোরিয়াল কেন্দ্রে সাধারণত ছুটির দিনগুলোতে (সাধারণত শুক্রবারে) ক্লাশে শিক্ষার্থীদের সাথে উপস্থিত হন এবং শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো সাধারনত সমাধান করা হয়। ছাত্রদেরকে প্রশ্ন করে টিউটর তাদের ফিডব্যাক জেনে তাদেরকে উৎসাহ দিয়ে থাকেন এবং পাঠ গ্রহণের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে থাকেন। দূরশিক্ষণ পদ্ধতিতে সমগ্রদেশের মানুুষ একই সাথে জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম। মৎস্য শিক্ষার সুযোগকে তৃণমুল পর্যায়ে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে সারাদেশে বা উ বি ১২টি আঞ্চলিক ও ৮০টি স্থানীয় কেন্দ্রের মাধ্যমে শিক্ষার প্রসার ঘটাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা নিজ এলাকার পার্শ্ববর্তী স্থানীয় কেন্দ্র ও আঞ্চলিক কেন্দ্রসমূহে সাধারণ ছুটির দিনগুলোতে যোগাযোগ করে শিক্ষা গ্রহণ প্রোগ্রামের ভর্তি আনুষ্ঠানিক ও উপ-আনুষ্ঠানিক প্রোগ্রামসহ অন্যান্য সকল প্রোগ্রামের মাধ্যমে মৎস্য বিষয়ক জ্ঞান লাভ করার সুযোগ পায়।
0 comments:
Post a Comment