Monday, October 7, 2013

পরিবেশ সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়ন এবং গ্রীন হাউজ



cwi‡ek msi¶Y I †UKmB Dbœqb Ges MÖxb nvDR
Aa¨¶ ‡dviKvb Avjx
প্রকৃতির ধারণ-মতা অসীম। বর্তমান শতাব্দীর পঞ্চাশের দশক পর্যন্ত মানুষের বদ্ধমূল এ ধারণা ছিল । মানুষ পরিবেশকে যতই দূষিত করুক না কেন। প্রকৃতি তার নিজস্ব নিয়মে তা পরিশোধন করতে সম। ষাটের দশকে এ নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা এবং পরীা-নিরীা হয়। আশির দশকে বিশেষজ্ঞরা প্রকৃতির সীমিত মতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। নব্বইয়ের দশকে এসে অনুধাবন করেন যে, পরিবেশ বিবেচনাকে বাইরে রেখে টেকসই উন্নয়ন আদৌ সম্ভব নয়। উন্নয়নশীল বিশ্বের দেশগুলোতে এ পর্যন্ত পরিবেশ সম্পর্কিত কল্পনা-জল্পনা ও উৎসাহের কমতি নেই। আশির দশকের প্রথমে টেকাওতে অনুষ্ঠিত বিশেষজ্ঞদলের আলোচনা সভায় এবং ব্যাংককে অনুষ্ঠিত আন্তঃসরকারি আলোচনা সভায় এ নিয়ে বিশ্লেষিত হয়। উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, যুক্তরাষ্ট্র বা জাপানের উন্নয়নে গতিধারার কখনো কখনো যে স্তিমিত অবস্থা ল করা গেছে।  তার পেছনে পরিবেশ বিবেচনাকে গুরুত্ব না দেয়াকে কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পরিবেশ বিবেচনাকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন আদৌ সম্ভব নয়। তবে যদি হয় সেটা হবে ভারসাম্যহীন এবং অপরিপক্ক উন্নয়ন। তবে এদের সবাই একমত যে, টেকসই উন্নয়নের েেত্র পরিবেশ বিবেচনা আবশ্যক।
টেকসই উন্নয়ন: আশির দশকে বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ, উন্নয়ন ব্যবস্থাপক ও প্রকল্প ব্যবস্থাপকদের মুখে টেকসই উন্নয়ন কথাটি খুব বেশি শোনা যায়।
প্রকল্প ব্যবস্থাপকদের মতে, যদি কোন প্রকল্প বাস্তবায়নকাল শেষেও কোন রকম বহিঃপৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই টিকে থাকতে পারে, তবে তাকে বলা হয় টেকসই প্রকল্প এবং এ জাতীয় উন্নয়নের গতিধারাকে বলা হয় টেকসই উন্নয়ন। উন্নয়নশীল বিশ্বের দারিদ্র্য, আন্তর্জাতিক অসমতা, টেকসই উন্নয়ন এগুলো হচ্ছে পরিবেশ ও উন্নয়নের মৌলিক বিষয়। টেকসই উন্নয়ন হলো এমন এক ধরনের উন্নয়ণ যা অধিকতর নিরপে অর্থনৈতিক অগ্রগতি আনয়নে অবদান রাখে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য স্থানীয় ও বিশ্ব পরিবেশকে সংরণ করে এবং সঠিক অর্থে জীবনের মানোন্নয়ন ঘটায়।
পরিবেশ সংরণ এবং উন্নয়নের কলা-কৌশল ঃ বৈজ্ঞানিক আবিস্কার এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়ণ মানুষকে বস্তুগত ও নানাবিধ ভোগ-বিলাসের স্বাদ দিয়েছে। আর তাই বস্তুগত সম্পদ পাওয়ার আশা কখনো হ্রাস পায় না। সম্পদের ব্যবহার ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সেটা এ কারণে যে, আমরা সংখ্যায় অনেক বেশি এবং আমাদের খুব স্বল্প সংখ্যক লোকেই অনেক কিছু দ্রুত নি:শেষ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে গভীর চিন্তা ভাবনা করে থাকে। যার জন্য অনেক কিছুই আমাদের জীবন যাপনের এমনকি বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য হয়ে দাড়িয়েছে। সুতরাং সমগ্র সমাজেই জীবমন্ডলের ওপর আচরণের পরিবর্তন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
তাই সুষ্ঠু পরিবেশ ব্যবস্থাপনা ও সংরণের জন্য বিশেষজ্ঞরা নিন্মোক্ত কলা-কৌশলের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছিল।
* ব্যাপক পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি।
* পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ।
* কেন্দ্রীয় পরিবেশ কর্তৃত্ব ও দায়িত্ব।
* করারোপ।
* পরিবেশ উন্নয়নে উৎসাহদান।
* পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিকতার সমন্বয় সাধন ইত্যাদি।
গ্রীন হাউজ : মেরু অঞ্চলে তাপমাত্র খুব কম থাকে। সেখানে সূর্যালোক বড় একটা দেখা যায় না। যেখানে গাছ-পালা জন্মানোর অনুকুল নয়। তবুও কেউ কেউ কৃত্রিমভাবে সবুজ গাছ জন্মিয়ে থাকে। যে কৃত্রিম ব্যবস্থায় সবুজ গাছ জন্মিয়ে থাকে তা গ্রীন হাউজ ।
সবুজ ঘর আসলে একটা কাঁচের ব্যবস্থামাত্র। কাঁচ নির্মিত বা বেষ্টনীতে তাপমাত্রা খুবই বেশি থাকতে দেখা যায়। সৌর রশ্মি অপরিবর্তিতভাবে কাঁচের ভেতর ঢুকে পড়ে। উত্তপ্ত দেয়াল থেকে লম্বা দৈর্ঘ্যরে তরঙ্গগুলো বিকিরণ হয়। এগুলো আবার কাঁচ হতে প্রতিফলিত হয়। ভেতরের দিকে বারবার প্রতিফলিত হয় বলে এরা আর বের হতে পারে না। ফলে যতন সূর্য জ্বলতে থাকে রশ্মিগুলো কাঁচের ফাঁদে আটকা পড়ে ভেতরটা উত্তপ্ত করতে থাকে।
উপরোক্ত কারণে সবুজ ঘর সৌর তাপের ফাঁদ হিসেবে কাজ করে। তবে সবুজ ঘরে তাপমাত্রা অনির্দিষ্ট মাত্রায় বাড়ে না। নানাভাবে তাপ পালিয়ে যায়। তবুও রৌদ্রাজ্জল দিনে সবুজ ঘর যন্ত্রনাদায়ক তাপ উৎপন্ন করতে পারে। সাম্প্রতিককালে গ্রীন হাউজ ইফেক্ট সারা পৃথিবীকে ভাবিয়ে তুলেছে। উদ্ভিদ ও প্রাণীকুলের জন্য আজ এটা মারাত্মক হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। শ্বাস গ্রহণকালে আমরা বাতাসের অক্সিজেন গ্রহণ করি। ফুসফুস বাতাসের এ অক্সিজেন গ্রহণ করে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বর্জন করে। এই কার্বনডাই অক্সাইড বাতাসে মিশে যায়।
প্রকৃতির গাছ-পালা লতাগুল্ম এমনকি যে ুদ্র ঘাসকে আমরা নিত্য পায়ে দলি, সে ঘাসও অক্সিজেন তৈরির প্রক্রিয়ায় নিখুঁতভাবে অবিরত কাজ করছে। আর বাতাসে অক্সিজেন সরবরাহ অবিরত চলছে বলেই প্রাণীকুল বেঁচে আছে। মানবসভ্যতার অগ্রগতির ফলে বিভিন্ন কল-কারখানা গড়ে উঠেছে এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে অক্সিজেনের ওপর। বিপুল পরিমাণ অব্যবহৃত কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস বায়ুমন্ডলের উপরিভাগে উঠে চারদিকে একটি আবরণীর সৃষ্টি করছে। দিনের বেলায় সূর্যালোক এসে পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে আর রাতের বেলায় এই তাপ বিকিরিত হয়ে শূন্যে হারিয়ে যায়। ফলে পৃথিবীর সব জায়গায় তাপমাত্রার একটা সাম্যবস্থা বিরাজ করে। সম্প্রতি গবেষণা করে দেখা যাচ্ছে যে, বায়ুমন্ডলে তাপমাত্রা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। ফলে উদ্ভিদ ও প্রানীকূলের ওপর মারাত্মক প্রতিক্রিয়া বিস্তার করছে। প্রতি এক ডিগ্রি ফারেনহাইট উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ধান-গম ইত্যাদি ফসলের বা ফলন পুষ্টি কম হয়ে যাচ্ছে। ফলে ধান-গম ইত্যাদি শস্য চিটা হয়ে যায়। আমেরিকার মত গম উৎপাদনকারী দেশ ও এশিয়ার মত ধান উৎপাদনকারী দেশে এর প্রভাব পড়তে শুরু করছে খুব মারাত্মকভাবে।
বায়ুমন্ডলে তাপমাত্র বৃদ্ধির আর একটি প্রভাব হচ্ছে সমুদ্রের পানির উষ্ণতা বৃদ্ধি পাওয়া। এ উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে সমুদ্রে জমা হচ্ছে। এর ফলে ক্রমান্বয়ে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন।
বিজ্ঞানীরা  বলছেন, দনি মেরুর বরফ গললে পৃথিবী যতটা বিপন্ন হবে, উত্তর মেরুর বরফ গললে তার চেয়ে আরো বেশি মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হবে। ওজনস্তর ধ্বংস হলে অতি বেগুনী রশ্মির প্রতিক্রিয়ার মানবদেহে চর্ম, ক্যান্সার ব্যাপক আকারে দেখা যাবে। অতি বেগুনী রশ্মির প্রভাবে সমুদ্রকূলে মৎস্যের খাদ্য জৈব প্লাংটন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। ফলে সমুদ্রে আর মাছ থাকবে না।
পরিবেশ দূষণের প্রতিক্রিয়া আজকের এই গ্রীণ হাউজ ইফেক্ট। পরিবেশকে বাঁচাতে হলে আমাদের বাঁচতে হলে এ দূষণ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।

†jLK: M‡elK I mv‡eK Aa¨¶ iƒcmv wWMÖx K‡jR
36 MMb evey †ivo,Lyjbv-9100
†gvevBj: 01711579267
email.fourkanali@yahoo.com.



0 comments:

Post a Comment